শনি ও রোববার অঙ্গরাজ্যটির আটলান্টা শহরে 'বাংলায় বিশ্ব, বিশ্বে বাংলা' শ্লোগানে এ আয়োজন করে ‘উত্তর আমেরিকা বাংলা সাহিত্য পরিষদ’।
স্থানীয় আয়োজক সংগঠন ছিল ‘সেবা বাংলা লাইব্রেরি’। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য, কানাডা, বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কবি সাহিত্যিকরা এতে অংশ নেন।
সমাবেশের আহ্বায়ক ছিলেন গল্পকার ও কথাসাহিত্যিক জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত। প্রধান সমন্বয়কারি ছিলেন লেখক সাহাব আহমেদ। সমাবেশের তত্ত্বাবধানে ছিলেন লেখক ও গবেষক পূরবী বসু।
শনিবার সকালে বার্কমার হাইস্কুল মিলনায়তনে লেখক ও সাংবাদিক শামীম আল আমিনের সঞ্চালনায় সমাবেশের উদ্বোধন হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে’ সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে। বক্তব্য দেন জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত ও সাহাব আহমেদ।
আটলান্টা প্রবাসী প্রকৌশলী ও লেখক অভিজিৎ রায় স্মরণে এসময় এক মিনিটের নিরবতা পালন করা হয়। এরপর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে বিশ্ব বাংলা সাহিত্য সমাবেশের উদ্বোধন করেন জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে দিনব্যাপী কবিতা, গল্পপাঠ, সাহিত্য বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। বিকেলে প্রদর্শিত হয় ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশের’ উপর শামীম আল আমিনের পরিচালনায় তৈরি একটি তথ্যচিত্র।
পরদিন রোববারও ছিল সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক নানা আয়োজন। সকালটি শুরু হয় সাহিত্য আসরের মধ্য দিয়ে। ছিল কয়েকটি সেমিনার। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের নামে তৈরি দুটি আলাদা মঞ্চে আলোচনায় অংশ নেন বক্তারা। সন্ধ্যায় আটলান্টার স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি সঙ্গীত পরিবেশন করেন অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন। সবশেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পূরবী বসু।
সমাবেশের আহ্বায়ক জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত বলেন, “প্রথমবারের মতো এ আয়োজনে ধারণার চেয়েও বেশি সাড়া পাওয়া গেছে। সফল এ সম্মেলনের পথ ধরে ভবিষ্যতেও এটি চলতে থাকবে। সেই সঙ্গে দিনে দিনে এই সমাবেশের আঙ্গিক আরও বাড়বে।”
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |