ইতালিতে নতুন সরকার, স্বস্তির আশা প্রবাসীদের

ডানপন্থি সালভিনির জোট সরকার ভেঙে ইতালিতে গঠিত হলো নতুন সরকার, এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা।

সাইফুল ইসলাম মুন্সী, ইতালি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2019, 07:51 AM
Updated : 30 August 2019, 07:51 AM

ইতালির জনপ্রিয় তরুণ নেতা দি মায়িওর দল ফাইফ স্টার মুভমেন্ট ও নিকোলা জিঙ্গারেত্তির ডেমোক্র্যাটিক পার্টি জোটবদ্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার নতুন এ সরকার গঠন করে।

তবে এক সপ্তাহ আগে পদত্যগ করা জুসেপ্পে কন্তেই নবগঠিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেল্লা বৃহস্পতিবার জুসেপ্পে কন্তের নেতৃত্বে গঠিত নতুন সরকারের অনুমোদন দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশও নবগঠিত এ সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন বলে দি মায়িও জানিয়েছেন।

নতুন সরকার প্রবাসীদের জন্য কেমন হবে সেটা নিয়ে ইতোমধ্যে নানা আলোচনা হচ্ছে ইতালিজুড়ে। এ সরকারের দুটি দলই যেহেতু মধ্যপন্থী, সেহেতু সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি প্রবাসীদের জন্য অনুকূলে থাকবে বলেই কমিউনিটি নেতারা ধারণা করছেন।

দি মায়িওর ‘ফাইফ স্টার মুভমেন্ট’ বিগত দিনে প্রবাসীদের পক্ষে কোনো কাজ না করলেও বিরোধিতা করেনি।

ফাইভ স্টার মুভমেন্ট প্রবাসীদের বেলায় সবসময় মধ্যবর্তী অবস্থানে ছিল। অন্যদিকে জিঙ্গারেত্তির ‘ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’ সবসময় প্রবাসীদের পক্ষে কাজ করে আসছে।

ইতালিতে বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতা এম কে রহমান লিটন বলেন, “কট্টরপন্থী সালভিনির দল ক্ষমতায় এসে সরাসরি প্রবাসীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে অনেক আইন পাল্টে দিয়েছে। এসব আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে এদেশে বসবাস করাই অনেকটা কঠিন হয়ে যেত। কিন্তু নতুন সরকার প্রবাসীদের পক্ষে থাকায় এসব আইন অনেকটাই শিথিল হবে বলে মনে হচ্ছে।” 

তবে আরেক প্রবাসী টিটু আনিসুজ্জামান মনে করেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি আপাতত পার্লামেন্টে বিরোধী দলের আসনে বসলেও পরবর্তী নির্বাচনে তার জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি।

“কারণ সম্প্রতি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডানপন্থি দলই বেশি আসনে জয়লাভ করেছে। এ থেকে ধারণা করা যায় পরবর্তী নির্বাচনে সালভিনি বিরোধীদলে থেকে নির্বাচন করলে তার জয়ের সম্ভাবনাই বেশি।”

মাত্তেও সালভনি বৃহস্পতিবার এক ফেইসবুক লাইভে ঘোষণা দেন, শিগগিরই তিনি নতুন আন্দোলনে নামবেন।

“এখন সময় এসেছে জনগণের মতামতের ওপর সরকার গঠন করার। এদেশের জনগণ যাকে চাইবে সেই দেশ পরিচালনা করবে।”

২০১৮ সালের নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় মধ্যপন্থী দি মায়িওর ‘ফাইভ স্টার মুভমেন্ট’ এবং মাত্তেও সালভিনির কট্টর ডানপন্থী দল লেগা নর্দ সরকার গঠন করে। সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন আইনের অধ্যাপক জুসেপ্পে কন্তে।

কিন্তু সালভিনির সঙ্গে বিরোধে গত ২০ অগাস্ট পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী কন্তে।তবে এক সপ্তাহের মাথায় নতুন জোট সরকার গড়ে তিনিই আবার ইতালির সরকার প্রধানের দায়িত্বে ফিরলেন।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!