শিক্ষার্থী ভিসা নিয়ে নিয়ম বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে জাপানের প্রভাবশালী বার্তা সংস্থা কিয়োডো নিউজ।
চলতি বছর এপ্রিল থেকে জাপানের নতুন ভিসা ক্যাটাগরি চালু হয়। এর মধ্যেই দেশটির সরকার এই কড়াকড়ি আরোপ করলো।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, টোকিও জাপানিজ ভাষা শিক্ষা স্কুল সংস্থার এক জরিপে দেখা গেছে- প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে জাপানি ভাষায় পড়তে আসা বাংলাদেশিদের আবেদনের পর ভিসা পাওয়ার হার ছিল ৬১ শতাংশ। কিন্তু চলতি বছর এপ্রিলে সেই সংখ্যা নেমেছে ২১ শতাংশে।
একইভাবে ভিসা হ্রাস করা হয়েছে মিয়ানমারের জন্য। মিয়ানমারের নাগরিকদের ক্ষেত্রে গত বছর ভিসা পাওয়ার হার ছিল ৭৬ শতাংশ। সেখান থেকে এ হার ১৫ শতাংশে নেমেছে। শ্রীলংকার ভিসার হার ৫০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশ করা হয়েছে।
তবে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের জন্য আগের মত ৯০ শতাংশ বহাল রয়েছে।
জাপানের অভিবাসন ব্যুরোর কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত জাপানি ভাষা শিক্ষা-ভিসায় সপ্তাহে ২৮ ঘণ্টা পার্ট টাইম কাজের অনুমতি দেওয়া হলেও বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকার থেকে আসা নাগরিকরা তা মানছেন না।
ভিসার আবেদনে এসব দেশের নাগরিকরা মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন। এদের অনেকেই শিক্ষা ভিসায় এসে অবৈধভাবে কাজ করছেন, যেটা ভিসার শর্তের সাথে যায় না। যেকারণে এসব দেশ থেকে পাওয়া আবেদন কঠোরতার সাথে পর্যবেক্ষণের পরই ভিসা দেওয়া হচ্ছে।
অভিবাসন ব্যুরোর কর্মকর্তারা আরো বলছেন, বুধবার পর্যন্ত ৮৩২ জন জাপান ত্যাগ করেছে, যাদের শিক্ষা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছিল গত বছর। এদের অর্ধেকই ভিয়েতনামের হলেও ১৫২ জন চীনের, ৬২ জন নেপালের এবং ৪৩ জন ফিলিপাইনের নাগরিক ছিল।
শ্রমিক সংকটের মুখে থাকা জাপান ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ থেকে শ্রমিক আনার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, যে তালিকায় বাংলাদেশ ছিল না। এপ্রিল থেকে বিদেশি শ্রমিক আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জাপানের চাকরিদাতা সংস্থাগুলো কৌশলে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষা ভিসায় শ্রমিক এনে কম বেতনে কাজ দিচ্ছে। জাপান সরকার ইতিমধ্যে শিক্ষা ভিসা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যারা অবৈধভাবে কাজ করছেন, তাদের ধরতে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে।
জাপানের বিচার বিভাগের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে দেশটিতে জাপানি ভাষায় পড়তে আসা বিদেশির সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |