সিডনির ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলে পিঠা উৎসব

পিঠা উৎসব করেছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশিদের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল’

নাইম আবদুল্লাহ, সিডনি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 August 2019, 06:30 AM
Updated : 6 August 2019, 06:30 AM

রোববার সিডনির ইংগেলবার্ন কমিউনিটি হলে এ উৎসবের আয়োজন করে তারা।

স্থানীয় সময় সকাল এগারোটায় বাংলা স্কুল সাধারণ সম্পাদক কাজী আশফাক রহমান সবাইকে স্বাগত জানান। দিনের অনুষ্ঠানসূচি সম্পর্ক উপস্থিত দর্শকদের জানান সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিজয় সাহা।

পিঠা উৎসবের পুরো সময় জুড়ে ছাত্রছাত্রী, স্কুলের নিজস্ব শিল্পী এবং সিডনির শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হয়। শুরুতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের একটি আকর্ষণীয় পরিবেশনা উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করে। তিনটি বৃন্দ আবৃত্তি, পাঁচটি একক আবৃত্তি, চারটি সমবেত সংগীত, তিনটি একক সংগীত এবং একটি একক ও একটি দ্বৈত নৃত্য পরিবেশিত হয়।

একক আবৃত্তিতে অংশ নেয় ঋষিকা, রুশনান, আরিজ, নাজিহা, তাহিয়া, নাশিতা, দৃপ্ত ও তাওহিদ। একক সংগীত পরিবেশন করে জেইনা, নাশওয়া ও এলভিরা। একক নৃত্যে ছিল অবনি এবং বাংলা স্কুল শিক্ষক নাসরিন মোফাজ্জলের আবৃত্তির সাথে দ্বৈত নৃত্যে অংশ নেয় তাসমিয়া ও রিয়ানা।

এই পর্বে তিন প্রজন্মের একটি অসাধারণ পরিবেশনা সবার মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে। হারমোনিয়ামে ছিলেন স্কুলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা দাদা নাজমুল আহসান খান, তবলায় বাবা প্রাক্তন ছাত্র সাহিল খান এবং মেয়ে স্কুলের বর্তমান ছাত্রী জেইনা খান।

পরবর্তীতে স্কুলের নিজস্ব শিল্পী এবং আমন্ত্রিত শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দর্শক শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখে। দোতারা, মন্দিরা, খমক, খঞ্জনী ও গিটারে আবহমান বাংলার শেকড়ের সুর তুলে আনেন আহমেদ তারিক, মাহবুব শাহরিয়ার, ইফতেখার আলম ও সিদ্ধার্থ পাল।

আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী বাংলা স্কুল শিক্ষক রুমানা সিদ্দিকী। সংগীত পরিবেশন করে সবাইকে বিমোহিত করেন শিল্পী আনিসুর রহমান, রোকসানা বেগম, ফারিয়া আহমেদ, লুনিয়া আহমেদ, সাজ্জাদ চৌধুরী, তামিমা শাহরিন, তাহমিনা খান ও রুমানা ফেরদৌস লনি। দলগত পরিবেশনা নিয়ে এসে পিঠা উৎসবকে ভিন্ন মাত্রা দেয় সংগীত দল ‘স্বপ্ন’ এবং সিডনির গানের দল ‘লাল সবুজ’।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ‘সেরা বাঙালি সাজের’ জন্য পুরস্কার এবং রাফেল ড্র। এই পর্বটি পরিচালনা করেন স্কুলের কার্যকরী কমিটির সহ সভাপতি মাসুদ মিথুন এবং পুরস্কার দেন সভাপতি আবদুল জলিল।

পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিজয় সাহা। উপস্থাপনায় ছিলেন স্কুলের অধ্যক্ষ রোকেয়া আহমেদ ও শিক্ষক রুমানা সিদ্দিকী। শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন শব্দ প্রকৌশলী আত্তাবুর রহমান। আবহমান বাংলার চিরায়ত রুপ ফুটিয়ে তোলা মঞ্চের ও সাজসজ্জার মূল পরিকল্পনায় ছিলেন মাসুদ মিথুন।

সহযোগিতায় ছিলেন তামজিদ ও বিজয়। প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন ইয়াকুব আলী ও রুমানা খান। আপ্যায়নে ছিলেন মোনা, সাজ্জাদ, ইয়াকুব, ননী, অনিতা, আহমেদ, রেখা, নুসরাত, জেলিন, পপলি, সন্ধা, হিরন, রুপা, বর্নী, শুভ, পুলক, শাহিন, বিশাখা, মৃন্ময়, অমিত, রঞ্জন, ফেরদৌস, এপোলো, সাইফ, নিবির, আহমেদ, নিলা, তানিয়া, তাহিয়া, নুরিন, এল্ভিরা, আলিশা ও দিশা।

স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীতেও সবার সহযোগিতা কামনা করে পিঠা উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করেন সভাপতি আবদুল জলিল।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!