নিউ ইয়র্কে ছিনতাইকারি ধরলেন বাংলাদেশি ট্যাক্সিচালকরা

নিউ ইয়র্কের রাস্তায় ছিনতাইকারিদের ধাওয়া করে ফোন উদ্ধারের পাশাপাশি দুই ছিনতাইকারিকে পুলিশে দিলেন বাংলাদেশি ট্যাক্সিচালকরা।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2019, 07:11 AM
Updated : 26 July 2019, 07:11 AM

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানে লেক্সিংটন অ্যাভিনিউ ও ২৮ স্ট্রিটে বিশ্রামরত চালকদের এ ভূমিকার প্রশংসা করছেন এলাকাবাসীসহ ভিনদেশি পথচারিরা।

বাংলাদেশি উবারচালক আমিনুর রহমান রাজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “৫ তরুণীসহ ১০-১২ জন তরুণের দল মধ্যরাতে রাস্তায় নামে। ওরা ট্যাক্সি ড্রাইভারসহ পথচারিদের ফোন, নগদ অর্থ ছিনতাই করে। নির্জন স্থানে ওরা ওত পেতে থাকে। আজ আক্রান্ত হয়েছিলেন ইয়েলো ট্যাক্সি ড্রাইভার আহসান হাবিব (৪৪)। থার্ড অ্যাভিনিউ ও ২৮ স্ট্রিটে তাকে এক তরুণ প্রচণ্ড বেগে ধাক্কা দেয়। রাস্তায় পড়ে কিছুটা আহত হলেও নিজেকে সামলে নিয়ে কাছেই ক্বারি অ্যান্ড হারি রেস্টুরেন্টের দিকে দৌড় দেন তিনি। সেখানে ২০-২৫ জন ট্যাক্সি ড্রাইভার আড্ডা দিচ্ছিলেন। আহসানের কাছে সবকিছু শুনে তারা সবাইকে দলবদ্ধ হবার আহ্বান জানান।”

রাজ বলেন, “এক ছিনতাইকারি আহসানের পিছু নিয়েছিল, প্রথমে তাকে পাকড়াও করা হয়। এরপর আরও কয়েকজন ছিনতাইকারি তেড়ে আসে ওকে ছাড়িয়ে নিতে। কিন্তু ট্যাক্সি ড্রাইভাররা নারাজ। এক পর্যায়ে আরেকজনকে জাপটে ধরেন বাংলাদেশিরা।”

রাজ জানান, এরই মাঝে পুলিশকে ফোন করা হলে পুলিশ আসার আগেই সবাই ধাওয়া করেন ছিনতাইকারিদের। এ অবস্থায় ওই এলাকার বাসিন্দারাও বাসা-অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বের হন। মানুষের উপস্থিতিতে সবকিছু থমকে দাঁড়ায়। দুজন বাদে অন্য ছিনতাইকারিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ এসে ওই দুজনকে হাতকড়া পরায়।

প্রবাসীরা জানান, লেক্সিংটন অ্যাভিনিউ ও ২৮ স্ট্রিট এলাকার রেস্টুরেন্টগুলো হচ্ছে বাংলাদেশি ট্যাক্সি ড্রাইভারদের আড্ডার অন্যতম স্থান। পরিশ্রান্ত ড্রাইভাররা জড়ো হয়ে কিছুক্ষণের জন্য সেখানে আড্ডা দেন, ফোনে স্বজনের খোঁজ-খবর নেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী প্রবাসী সংগঠন ‘বাংলাদেশ সোসাইটির’ সাবেক কর্মকর্তা জামান তপন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রুখে দাঁড়াতে তাৎক্ষণিক এ বুদ্ধিমত্তাকে জাগ্রত রাখতে হবে। কারণ দুর্বৃত্তরা দুর্বল ভেবেই টার্গেট করে। আক্রান্ত ক্যাবি অথবা পথচারির পাশে দাঁড়ালে ছিনতাইকারিরাও ঘাবড়ে যাবে এবং অনেক অঘটন থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হবে।”

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!