স্থানীয় সময় শনিবার নিউ জার্সির রেরিটি ভ্যালরি কমিউনিটি কলেজ-অ্যাডওয়ার্ড ন্যাশ থিয়েটারে অনুষ্ঠিত ওই সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম ও তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আজিজ আহমদ।
সৃষ্টি একাডেমির কর্ণধার সুবর্ণা খান ও সহযোগী শিক্ষিকা তমার পরিচালনায় ভারতনাট্যম ও কথক শাস্ত্রীয় নৃত্যের যুগলবন্দী দলীয় নৃত্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এতে অংশ নেয় সুবর্ণা, বিচিত্রা, তমা, উর্মিন, আনিকা ও তথাপি।
এরপর একাডেমির বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্রীরা পরিবেশন করে দুটি নৃত্য। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের মূল আকর্ষণ ছিল গ্র্যাজুয়েটিং ক্লাসের সাতজন ছাত্রীর একক নৃত্য পরিবেশনা। অংশগ্রহণকারীরা হলো- তারানা, আমরিন, উপমা, নওরীন, লামিয়া, সোনিয়া, জয়নাব। শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে শেষ হয় সমাবর্তন পর্ব।
দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় সৃষ্টি একাডেমির অ্যালামনাই আনিকা রহমানের পরিচালনায় দলীয় নৃত্যের মাধ্যমে। এই পর্বে সৃষ্টি একাডেমি নিউ জার্সির প্রতিভাবান শিশু-কিশোরকে উপস্থাপন করে, যারা সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্র পরিবেশন করে দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।
সংগীতে ছিল ফারিস, শাইরা, তোশিতা, রিশিতা, রানিয়া, ইশান ও কীয়ান। একাডেমির এই উদ্যোগকে দর্শকরা সাধুবাদ জানায়।
এ পর্বের মূল আকর্ষণ ছিল মরমী কবি হাসন রাজার জীবনী অবলম্বনে নৃত্যনাট্য ‘সোনাবন্দে’। সুবর্ণা খানের পরিচালনা ও নির্দেশনায় এই নৃত্যনাট্যে অভিনয় করে পলাশ, ছোটন, রূপা, রাহাত, তিথি। ধারাবর্ণনায় ছিলেন আফজাল। তমা ও বিচিত্রার পরিচালনায় সৃষ্টি একাডেমির ছাত্রীরা নৃত্যে অংশগ্রহণ করে। হাসন রাজার উপর এমন একটি ভিন্নধর্মী পরিবেশনাও দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
এই অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিল আঞ্জুম, সহযোগিতায় রাহিন ও তথাপি। সহযোগিতায় আরো ছিল মালিহা ও সোমা। সাউন্ড ও মিউজিক নির্দেশনায় শোভন, আলোক নির্দেশনায় সাদী ও ডিজিটাল ব্যাকগ্রাউন্ড নির্মাণে জুথী। সার্বিক সহযোগিতায় নিপা, সামী, সাবাহ, শাহেদ, সোলেমান।
সৃষ্টি একাডেমি নিউ জার্সির একমাত্র বাংলাদেশি পরিচালিত নৃত্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য নতুন প্রজন্মকে নৃত্যের মাধ্যমে তার ঐতিহ্যের সাথে পরিচিত করানো ও শাস্ত্রীয় নৃত্যের প্রসার ঘটানো। এ পর্যন্ত ১০ জন ছাত্রী ডিপ্লোমা অর্জন করেছে শাস্ত্রীয় নৃত্যে।
সৃষ্টি একাডেমির অর্জিত অর্থের ১০ শতাংশ দেওয়া হয় বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠির সন্তানদের লেখাপড়ায় সহযোগিতা প্রদানকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আগামী ইনক’কে।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |