দরিদ্রতা ২১.৮ শতাংশে নামাতে পেরেছি: পরিকল্পনামন্ত্রী

জাতিসংঘের এক সভায় বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) জানাতে গিয়ে দারিদ্র্য হার ২১.৮ শতাংশে নামাতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

নিউ ইয়র্ক  প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2019, 04:39 AM
Updated : 14 July 2019, 04:40 AM

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চলতি ‘কার্যকর উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব (জিপিইডিসি)’ এর সিনিয়র-লেভেল মিটিং (এসএলএম) এ একথা বলেন তিনি।

বক্তব্য দিচ্ছেন এম এ মান্নান (বাম থেকে দ্বিতীয়)

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) ও কার্যকর উন্নয়ন অংশীদারিত্ব উভয় বিষয়েই দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃশ্যপট অনুযায়ী এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ দারুণ সফলতার সাথে এগুচ্ছে। আমরা দারিদ্র্য হার ২১.৮ শতাংশে  নামিয়ে আনতে পেরেছি যা ২০০৫ সালে ছিল ৪০ শতাংশ। টেকসই প্রবৃদ্ধি ও এর উচ্চধারা অব্যাহত রাখতে আমরা ব্যাপক কর্মসংস্থান, অসমতা দূর, লিঙ্গসমতা নিশ্চিত ও সমগ্র সমাজ দৃষ্টিভঙ্গির মতো কৌশলসমূহ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। পাশাপাশি উন্নয়ন অংশীদারদের সাথে কার্যকর অংশীদারিত্ব সৃষ্টি করেছি।”

প্রথমবারের মতো আয়োজিত জিপিইডিসির এ সভায় ফোরামটির কো-চেয়ার হিসেবে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী। কেনিয়ার নাইরোবিতে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত জিপিইডিসির দ্বিতীয় উচ্চ পর্যায়ের সভার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “নাইরোবি থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ কো-চেয়ার হিসেবে জিপিইইডসিকে একটি কার্যকর প্লাটফর্মে পরিণত করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্ঠা গ্রহণ করেছে যাতে জিপিইডিসি-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হয়।”

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এইচএলপিএফ-এ অংশগ্রহণ উপলক্ষে নিউ ইয়র্ক সফরররত জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, জাতীয় সংসদের জ্যেষ্ঠ সচিব জাফর আহমেদ খান এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে. মোহাম্মদ, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও উন্নয়ন বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জেফ্রে চলাজেনহফ এবং ইউএনডিপির পরিচালক উলরিকা মুডার এবং দ্য রিয়েলিটি অব এইড আফ্রিকার প্রতিনিধি ভিটালাইচ মেজা। মডারেটর ছিলেন কেনিয়ার উদ্যোক্তা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জুলি গিকহুরু।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!