কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাউসে ঈদ পুনর্মিলনী

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের নিরিবিলি মনোরম জায়গা আমপাং এর জালান ইউথান্ত। যানবাহন ও মানুষের কোলাহলমুক্ত জালান ইউথান্তে অনেক দেশের দূতাবাস রয়েছে।

রফিক আহমদ খান, মালয়েশিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2019, 09:04 AM
Updated : 30 June 2019, 09:04 AM

কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ হাই কমিশন ও হাই কমিশনারের বাসভবন দুটোই ছিলো সেখানে। গত কয়েক বছরের মধ্যে হাই কমিশন দুই জায়গায় বদলি হলেও হাই কমিশনারের বাসভবন সেই আগের জায়গাতেই রয়েছে। হাই কমিশনারের বাসভবনটি ‘বাংলাদেশ হাউস’ নামেই পরিচিত। ভবনের গেইটের ডান পাশে ইংরেজিতে বড় করে লেখা আছে ‘বাংলাদেশ হাউস’।

সীমানা প্রাচীরের ভেতর বামপাশে আকাশের সীমানায় পতপত করে ওড়ছে মুক্তিযুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের লাল-সবুজ পতাকাখানি। ভিনদেশে নিজ দেশের পতাকা দেখলেই গর্বে বুক ভরে যায়। ভালো লাগে। আরো ভালো লাগতো যদি বাংলাদেশ হাউসের নাম-পরিচয় ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষায়ও লেখা থাকতো। বাংলাদেশ হাউসের সামনে ইতালি অ্যাম্বাসি। ইতালি অ্যাম্বাসির গেইটে প্রথমেই ইতালিয় ভাষায় লেখা, তারপর মালয় ভাষা ও ইংরেজিতে লেখা।

মালয়েশিয়ার বুকে অবস্থিত সেই বাংলাদেশ হাউসে আমরা সাধারণ প্রবাসীরা যাওয়ার সুযোগ আসে মাঝেমধ্যে। যদি ঈদ-কোরবান উপলক্ষে ওই হাউসে প্রবাসীদের জন্য 'ওপেন হাউস' বা পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়।

ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষে বাংলাদেশ হাউসে আগেও গিয়েছিলাম একবার। গত শুক্রবার বিকেলে আবারও গেলাম ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষে 'বাংলাদেশ হাউসে'। মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বিভিন্ন পেশাজীবির উপস্থিতি ছিলো এই পুনর্মিলনীতে। হাই কমিশনার ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বিরিয়ানি, সাদা ভাত, মুরগির মাংস, গরুর মাংস, ডিম, সবজি, ঈদের সেমাই, পায়েসসহ বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিবেশন করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তারা অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান এবং নিজেরাই আন্তরিকতার সঙ্গে আপ্যায়ন করেন অতিথিদের। সেটাই ভালো লেগেছে।

আমরা যখন এক পাশে বসে খাওয়াদাওয়া করছিলাম, তখন অন্য পাশে হাই কমিশনার মহ. শহীদুল ইসলামের সঙ্গে বসে একান্ত আলাপ করছিলেন মালয়েশিয়ায় সফররত বায়রা সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ। তাদের আলাপের বিষয় জানা না গেলেও প্রবাসে কর্মী প্রেরণকারীদের সংগঠনের প্রধান নেতা বেনজির আহমদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রবাসীদের সঙ্গে।

খাওয়া-দাওয়ার পর বাংলাদেশ হাউসের ড্রয়িংরুমে বাংলাদেশের লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা, জাতির জনক, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতির সামনে ফটোসেশন করা, একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হওয়া, হালকা মতবিনিময়, গল্প, এরপর নিজ নিজ বাসা বা কর্মসস্থলে ফিরে যাওয়া। শাওয়াল মাসের শেষ দিকে এসে মান্যবর হাই কমিশনারের সৌজন্যে আরেকটু ঈদের আনন্দ উপভোগ করলাম আমরা।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!