‘মুক্তধারা ফাউন্ডেশন’ এর আয়োজনে শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে রোববার পর্যন্ত মেলা চলেছে নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের পিএস ৬৯ স্কুলে।
চতুর্থ দিন সোমবার মেলা বসেছে স্কুলের পাশে জুইশ সেন্টারে। সেখানে শুধু বইয়ের স্টল দেওয়া হলেও কোন আলোচনা সভা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়নি।
এ প্রসঙ্গে নিজেকে ‘বইমেলার অনুরাগী’ দাবি করে এক প্রবাসী জানান, এ বইমেলা মুষ্টিমেয় কিছু শহুরে এলিটশ্রেণির লোকের কাছে বন্দি। তারা চান না যে বইমেলায় আপামর প্রবাসীর সম্পৃক্ততা বাড়ুক। তাদের আচার-আচরণে মনে হয় যে যারা বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন তারাই থাকুক মেলার সঙ্গে।
নিউ ইয়র্কে বাঙালি সাংস্কৃতিক নানা উৎসব-অনুষ্ঠানের খোঁজ-খবর রাখেন এমন এক প্রবাসী জানান, ঢাকা থেকে আসা কবি-সাহিত্যিক-প্রকাশকরাও আমার কাছে মন্তব্য করেছেন যে বইমেলায় সাধারণ প্রবাসীদের সম্পৃক্ততা বাড়লে তারা উপকৃত হতেন।
শুক্রবার ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগানে ডাইভার্সিটি প্লাজা থেকে র্যালির মাধ্যমে শুরু মেলার বিভিন্ন পর্বে বক্তব্য দেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন, লেখক আনিসুল হক, নাট্যব্যক্তিত্ব জামালউদ্দিন হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা-বিজ্ঞানী-লেখক নূরন্নবী, ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার, জ্ঞান ও সৃজনশীল সমিতির নির্বাহী পরিচালক মনিরুল হক, প্রকাশক মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, লেখক নাজমুননেসা পিয়ারি, ফেরদৌস সাজেদীন, ফকির ইলিয়াস, শামস আল মমীন, হোসাইন কবির, রানু ফেরদৌস ও গোলাম ফারুক ভূইয়া।
বইমেলার তৃতীয় দিন রোববার সন্ধ্যায় লেখক ফরিদুর রেজা সাগর ও ওয়ালেদ চৌধুরীকে ‘আজীবন সম্মাননা’ দেয় নিউ ইয়র্ক বইমেলা ও বাংলাদেশ উৎসব কমিটি। ফরিদুর রেজা সাগর সম্মাননা নেন সৈয়দ জাকি হোসেনের হাত থেকে। অসুস্থতার জন্য ওয়ালেদ চৌধুরী মেলায় উপস্থিত হতে পারেননি। তার পক্ষে সম্মাননা নেন মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সভাপতি জিয়াউদ্দিন।
বইমেলার সংগঠক লেখক-সাংবাদিক হাসান ফেরদৌসের সঞ্চালনা ও উপস্থাপনায় বেশ কয়েকটি ইভেন্ট সম্পন্ন হয়। গান শোনান শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও তনিমা হামিদ।
বইমেলার আহ্বায়ক জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ও পরিবেশ-বিজ্ঞানী নজরুল ইসলাম সমাপনী বক্তব্যে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।