খালেদার মুক্তি চেয়ে নিউ ইয়র্কে বিএনপির সভা

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে সমাবেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও তার অঙ্গ-সংগঠনগুলো।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2019, 05:50 AM
Updated : 31 May 2019, 05:50 AM

দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশ থেকে জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান নেতা-কর্মীরা।

নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাঈদের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বাদল।

প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু।

আয়োজকরা অভিযোগ করেন- বিএনপি, জাসাস, যুবদল, তারেক পরিষদ ও ছাত্রদলের সম্মিলিত উদ্যোগে এ কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে বিএনপির অপর গ্রুপের কিছু নেতাকর্মী সভা ভণ্ডুলের জন্য আসেন। কিন্তু সম্মিলিত প্রতিরোধে তারা ব্যর্থ হন।

আকতার হোসেন বাদল বলেন, “একাশির ৩০মে যে সব ষড়যন্ত্রকারি রাষ্ট্রপতি জিয়াকে হত্যা করেছে তারই ধারাবাহিকতায় ১/১১তে বিএনপিতে ঘাপটি মেরে থাকা বাকশালের এজেন্টরা বিএনপি অফিসের তালা ভেঙ্গেছিল। একই গোষ্ঠীর লোকজনের ষড়যন্ত্রের ভিকটিম হয়ে বাংলাদেশের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ও সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক বেগম জিয়াকে কারাগারে যেতে হয়েছে। ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী-বাকশালীদের দালালরা এ নিউ ইয়র্কে বসে নতুন খেলায় মেতে উঠেছে, যাতে বেগম জিয়া মুক্তি না পান এবং তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরতে না পারেন। এজন্য ওরা এসেছিল জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর এ সমাবেশ ভণ্ডুলের মতলবে।”

শরাফত হোসেন বাবু বলেন, “বিএনপির বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ষড়যন্ত্র চলছে। এদেরকে রুখতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে।”

যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সভাপতি আবু তাহের বলেন, “বেগম জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত হবে। এজন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।”

যুবদলের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক এম এ বাতিন বলেন, “জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একদলীয় শাসনের অবসান ঘটেছিল। শেখ হাসিনা রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন। বেগম জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বে নব্বইয়ে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটেছে। এখন আবার সময় এসেছে নবউদ্যমে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার।”

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা মাহফুজুল মাওলা নান্নু বলেন, “আমরা পদ-পদবির কাণ্ডারি নই। আমরা বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের সৈনিক হিসেবে মাঠে রয়েছি।”

নিউ ইয়র্ক মহানগর বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা বলেন, “এটা আমাদের জন্য বড়ই দুর্ভাগ্যের ব্যাপার যে, অতীতে যারা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি পরিবারে বিবাদ-বিভক্তি ঘটিয়েছেন, আজ এই চরম সংকটের সময়ে তারা নতুন করে মাঠে নেমেছেন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন নস্যাতের জন্য।”

নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্য বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক পরিষদ আন্তর্জাতিক কমিটির মহাসচিব জসীমউদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশের গণতন্ত্র নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে শপথ গ্রহণের সময় এসেছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং নব স্বৈরাচারের পতনে দুর্বার আন্দোলন রচনার।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্য বিএনপির সভাপতি অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জনি, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সাধারণ সম্পাদক কাওসার আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা রুহুল আমিন নাসির, জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা দারাদ আহমেদ ও নিউ ইয়র্ক বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন।

নেতা-কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্বাস উদ্দিন দুলাল, অয়েস আহমেদ, আহসান উল্লাহ বাচ্চু, হাসান মাহমুদ, জোহরা বেগম, রইসউদ্দিন, এ কে আজাদ, আলমগীর হোসেন, সিদ্দিক হোসেন রুবেল, সায়েদ আলী, এম এ মান্নান ও দেওয়ান হোসেন।

খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় মোনাজাতে নেতৃত্ব দেন অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। এছাড়া জিয়াউর রহমানের জীবনীভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয় সমাবেশে।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!