দৈনিক ৩৫ হাজার মানুষ ইফতার করেন যে মসজিদে

আমিরাতের বৃহত্তম, মধ্যপ্রাচ্যের তৃতীয় এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম মসজিদ শেখ যায়েদ গ্র্যান্ড মস্ক। এটি বিশ্বের লাখো ভ্রমণপিপাসু পর্যটকের অনিবার্য গন্তব্য হয়ে উঠেছে।

জাহাঙ্গীর কবীর বাপপি, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2019, 10:16 AM
Updated : 26 May 2019, 10:16 AM

শেখ যায়েদ গ্র্যান্ড মস্কে ২০০৫ সাল থেকে নিয়মিত রমযান মাসের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত পুরো মাসজুড়ে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য গণইফতারির ব্যবস্থা করা হয়। গোড়ার দিকে ২ হাজার মানুষের জন্য বিনামূল্যে ইফতারির ব্যবস্থা থাকলেও দিন যেতে তার পরিধি বাড়তে থাকে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষকে এখানে ইফতারি দেওয়া হয়।

মসজিদটিতে সূর্যাস্তের আগ মুহূর্ত থেকেই শুরু হয় রোজাদারদের আগমন। বিভিন্ন ওয়ার্কার্স সিটিগুলো থেকে এখানে আসতে ফ্রি বাস ব্যবস্থা থাকে এসময়। মসজিদ এলাকায় রয়েছে মহিলা-শিশু ও বয়োবৃদ্ধ জন্য শাটল যান। ধীরে ধীরে এক সময় ভরে ওঠে মসজিদের আঙ্গিনা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাবুগুলো।

মসজিদ চত্বরের ১৭ হাজার বর্গমিটার এলাকায় ইফতারির এ বিশাল আয়োজনের জন্য  কার্পেট বিছিয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবীদের সুচারু পরিবেশনায় সুশৃঙ্খলভাবে পুরো আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। খেজুর, পানীয় ও স্বাস্থ্যকর খাবারের বাক্স দেওয়া হয় সবাইকে।

ইফতার শেষে সবার গন্তব্য থাকে শেখ যায়েদ গ্র্যান্ড মস্কের অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শনটির দিকে। মসজিদটির স্বপ্নদ্রষ্টা ও আমিরাতের জাতির পিতা শেখ যায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের সমাধিও রয়েছে মসজিদের পাশে। ২ বিলিয়ন দিরহাম ব্যয়ে পারস্য মুঘল ও আলেকজান্দ্রিয় স্থাপত্যশৈলীর অনুকরণে নির্মিত শেখ যায়েদ মসজিদে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম কার্পেট যা ৫ হাজার ৬২৭ বর্গমিটার আয়তনের এবং রয়েছে সর্ববৃহৎ ঝাড়বাতি।

৫০ হাজার পূণ্যার্থীর ধারণ ক্ষমতা রয়েছে এ মসজিদে। এখান থেকে পুরো আবুধাবি শহরের মসজিদগুলোতে বেতার প্রযুক্তির মাধ্যমে একযোগে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আজান সম্প্রচারিত হয়।

মাসব্যাপী গণইফতারের আয়োজনের মাধ্যমে মসজিদটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্রতি বছরের মতো এবারও আমিরাতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যসহ আবুধাবির বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর প্রবাসী বাংলাদেশিদের এসে অংশ নিতে দেখা গেছে।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!