নিউ ইয়র্কে সদ্যপ্রয়াত সুবীর নন্দীকে স্মরণ

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে শিল্পী-সাহিত্যিক-সাংবাদিক এবং মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসীরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছেন সদ্যপ্রয়াত জননন্দিত কন্ঠশিল্পী সুবীর নন্দীকে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকালে নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে যৌথভাবে এ শোক-সমাবেশের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম এবং আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব।

‘গানে গানে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদর্শন’এর এ আয়োজনের সূচনা ঘটান প্রবাসের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তানভির শাহীন।

এরপর সুবীর নন্দীর স্মৃতিচারণ করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তবলাবাদক তপন মোদক এবং কণ্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান।

মাস তিনেক আগে নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে ফেরার সময়ের স্মৃতিচারণকালে শহীদ হাসান বলেন, “সুবীর অক্টোবরে আসতে চেয়েছিলেন। একটি বাসা ভাড়া করে রাখতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু সেই অক্টোবর ঠিকই আসবে, সুবীরকে আর আমরা পাবো না।”

সুবীর নন্দীকে স্মরণ সমাবেশে উপস্থিত সুধীজন।

সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদের সভাপতিত্বে এ শোক-সমাবেশের সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার।

সাদা মনের মানুষ সুবীর নন্দীর পরিচ্ছন্ন জীবন-যাপন এবং সর্বস্তরের বাঙালির হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো গান পরিবেশনের বিভিন্ন অধ্যায় এবং নিউ ইয়র্কে সর্বশেষ তাকে সম্বর্ধনার ইতিবৃত্ত উপস্থাপন করেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সেক্রেটারি রেজাউল বারি, সহ-সভাপতি আবুল বাশার চুন্নু, প্রচার সম্পাদক শুভ রায়, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি খোরশেদ আনোয়ার বাবলু, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট জাকির হোসেন বাচ্চু, বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতনের প্রিন্সিপাল সবিতা দাস, কণ্ঠশিল্পী রাজিব ভট্টাচার্য এবং কামরুজ্জামান বকুল, সাংবাদিক সঞ্জীবন সরকার।

এ সময় বক্তারা উল্লেখ করেন, সুবীর নন্দি স্মরণে শিগগিরই বড় আকারের একটি স্মরণ-সমাবেশের প্রস্তুতি চলছে। ঈদের পর তা অনুষ্ঠিত হবে। বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরও ছিলেন- প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি শহীদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক কানু দত্ত, নির্বাহী সদস্য আজিমউদ্দিন অভি, নির্বাচন কমিশনার মিশুক সেলিম, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের আকাশ খান, শাহ জে চৌধুরী, উইলি নন্দী, যন্ত্রশিল্পী পার্থ, রাকেশ, মুক্তিযোদ্ধা নূরল ইসলাম, সানাউল্লাহ এবং কণ্ঠশিল্পী শাহ মাহবুব।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [e-mail]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!