স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সোমবার জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসানের সভাপতিত্বে এবং সেকেন্ড সেক্রেটারি বাকি বিল্লাহর উপস্থাপনায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম উম্মুল হাসনা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির দেওয়া বাণী পাঠ করেন ইকনোমিক মিনিস্টার সুপ্রিয় কুমার কুন্ডু এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর তৌফিক ইসলাম শাতিল।
অপরদিকে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর দেবপ্রিয় চক্রবর্তী এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর হেড অব চ্যান্সেলরি এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী। এসময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র দেখানো হয়। জাতীয় গণহত্যা দিবস এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের উপর উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জেনেভা বাংলাদেশ ক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সুইজারল্যান্ডের সাবেক সভাপতি ও সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান।
তিনি তার বক্তব্যে জাতীয় গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসে পরিণত করার জোর দাবি জানান। নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানার উপর গুরুত্ব দেন।
সচিব বেগম উম্মুল হাসনা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তার দেখা বিভীষিকাময় অমানবিক হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান স্বাধীনতাযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ভুমিকা ও আদর্শ ও বাস্তবায়নের উপর দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান তার সমাপনী বক্তব্যে জাতীয় গণহত্যা দিবস এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
পরিশেষে আবুবকর মোল্লার পরিচালনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারসহ বাংলার স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবাসীরা এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অরুন বরুয়া, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাসুম খান দুলাল, সৈয়দ কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ ক্লাবের সাবেক সভাপতি নজরুল জমাদার, সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম আজাদ, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি খলিলুর রহমান সহ আরো অনেকে ।
অনুষ্ঠানের স্থির ও চলচ্চিত্রের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন সুইজারল্যাণ্ড আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিজাম উদ্দীন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |