রোববার দেশটির নিউ ইয়র্কের কুইন্স সেন্ট্রাল লাইব্রেরির চিলড্রেনস ডিসকভারি সেন্টারে দিনটি উপলক্ষে এ আয়োজন করে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন ও নিউ ইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল।
‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর জীবন করো রঙ্গিন’ স্লোগানে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
নওফেল বলেন, “যেভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার শিশুরা নেলসন ম্যান্ডেলাকে জানবে, যেভাবে ভারতের শিশুরা মহাত্মা গান্ধীকে জানবে, ঠিক তেমনি বাংলাদেশের শিশুরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানবে। জাতির পিতা তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বের মাধ্যমে জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন, কারাবরণ সহ্য করে আমাদের শিশুদের জন্য এক স্বপ্নময় স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়ে গেছেন। তাই দেশ ও প্রবাসের সব বাঙালি শিশু জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে বড় হয়ে উঠবে, এটাই আমার প্রত্যাশা।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন নিউ ইয়র্ক বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা।
তিনি বলেন, “জাতির পিতার বিশ্বজনীনতা আরও বিকশিত হচ্ছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে তাঁর আদর্শ সঞ্চারিত হচ্ছে। কুইন্স লাইব্রেরিতে জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই দুটি সরবরাহ করা হয়েছে এবং তা এখানেও প্রদর্শিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে কুইন্স লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইসহ বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্বলিত বই দিয়ে ‘বাংলা সেন্টার’ স্থাপন করার জন্য লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কনস্যুলেট জেনারেল অফিস কাজ করছে, যা বেশ অগ্রসর হয়েছে।”
সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আকতার হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
আলোচনায় অংশ নেন আব্দুস সামাদ আজাদ, লুৎফুল করিম, শামসুদ্দিন আজাদ, আইরিন পারভিন, মহিউদ্দিন দেওয়ান, আবুল হাসিব মামুন, আশরাফুজ্জামান, মোজাহিদুল ইসলাম, আবুল মনসুর খান, এম এ মালেক, মোর্শেদা জামান, জাহাঙ্গির হোসেন, মমতাজ শাহনাজ, সোলায়মান আলী ও মাসুদুল হাসান।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |