ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালিত

জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করেছে সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিরা।

এস এম নাদিম মাহমুদ, জাপান প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 March 2019, 05:21 PM
Updated : 17 March 2019, 05:21 PM

স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে দেশটির বাণিজ্যিক নগরী ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তয়োনাকা ক্যাম্পাসে স্থানীয় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে কেক কাটার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রার্থনা করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আব্দুর রহমান, মাসুদ আলম, হারুন-অর-রশিদ, সাদাত সায়েম, ওমর ফারুক, মারুফ হক খান ও সালমান মাহমুদ সিদ্দিকী।

আব্দুর রহমান বলেন, “জাতির পিতা থাকলে আমরা আজ তার ৯৯তম জন্মদিবস আরও আনন্দঘন করে উদযাপন করার সুযোগ পেতাম। তারপরও তার রেখে যাওয়া বাংলাদেশে তাকে ছাড়া তার জন্মদিন পালন করতে গিয়ে বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে ওঠে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে তার উত্তরসূরীরা যোগ্যতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে।”

মাসুদ আলম বলেন, “বঙ্গবন্ধুর কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ে পরিচিত নন। তিনি সবার। আজ তার জন্মদিবস উদযাপন করতে কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আমাদের লাগে না। তিনি হলেন, সমগ্র বাঙালির নেতা।”

হারুন-অর-রশিদ বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ মাস যুদ্ধের পর বাংলাদেশের মানুষ অর্জন করে স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু আমাদের দিয়ে যান একটি স্বাধীন আবাসভূমি, ভৌগোলিক অবস্থানসহ একটি জাতীয় পতাকা।”

সাদাত সায়েম তার বক্তব্যে বলেন, “দারিদ্র্য, রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্রের অভাব, জনসম্পদের দক্ষতার ঘাটতির মতো কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমরা আশাবাদি যে একটি গতিশীল ও বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির দেশ হিসেবেই আমরা অল্প সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করতে পারবো। আমাদের সমাজ ও অর্থনীতিকে আমরা একটা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে পেরেছি।”

ওমর ফারুক বলেন, “আজ শিশু দিবস। বিশ্বের অন্য কোনো দেশে এ ধরনের দিবস আছে বলে আমি মনে হয় না। বঙ্গবন্ধু যে শিশুদের ভালোবাসতেন তারই স্মৃতি আজকের শিশু দিবস। আমরা বিশ্বাস করি, জাতির কন্যার নেতৃত্বে আগামীর শিশুদের জন্য দারিদ্র ও মাদকমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।”

মিঠুন সাহা বলেন, “বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে যারা ধারণ করেন তারা সব সময় বাংলাদেশকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধারণ করেন। আজ তিনি নেই, হয়তো থাকলে আমরা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যেতে পেতাম।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বজলুল করীম, অসীম কুমার সাহা, লোকমান খান, জীবন কৃষ্ণ মোদক, নওরোজ ফাতেমী, গোলাম সামদানী, আমিনুর রহমান, জুবায়ের হাসান, প্রিয়াংকা সাহা, কণিকা রানী, আসমা সুলতানা, নুসরাত জাহান, প্রতিভা সাহা, মালিহা মাসরুর হিলালী, রুমানা হাওলাদার ফখরুল ইসলাম দিদার, রুহুল হোসেন, আর এ সরকার রবিন, সজিব হাসান ও নাজমুল হোসেন।