স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুম ২-এ জাতিসংঘের বৈশ্বিক যোগাযোগ বিভাগ, ইউনেস্কোর নিউ ইয়র্ক কার্যালয়, জাতিসংঘ পোস্টাল বিভাগ, জাতিসংঘ সচিবালয়ের বহুভাষাবাদ সমন্বয়কারী কার্যালয়, নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র অফিস এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনসহ গুয়াতেমালা, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া ও পাপুয়া নিউগিনি মিশনের সম্মিলিত উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান হয়।
আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান- এ দুই পর্বে বিভক্ত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের এ আয়োজনের শুরুতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাগত ভাষণ দেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
এছাড়া এ এফ এম রুহুল হকের নেতৃত্বে জাতিসংঘে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এর বার্ষিক শুনানিতে যোগদান উপলক্ষে নিউ ইয়র্ক সফররত বাংলাদেশের সংসদ সদস্য মো. আবু জহির ও আহসান আদেলুর রহমানও ছিলেন।
আলোচকরা পৃথিবীর প্রতিটি ভাষার সংরক্ষণ ও সুরক্ষা, বহুভাষিক শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়া এবং ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্রকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বাহন হিসেবে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তারা নিজ নিজ দেশের ভাষাগত বৈচিত্রের সংরক্ষণ ও উন্নয়নে নেওয়া পদক্ষেপের কথা বলেন।
এছাড়া আলোচকরা বাঙালির ভাষা আন্দোলন এবং এরই ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পেতে বাংলাদেশের নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন। প্রতিবছর জাতিসংঘে এ দিবসটি উদযাপনে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বিশেষ ভূমিকার কথাও উঠে আসে জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিদের বক্তব্যে।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিশ্বের ২৫ কোটি মানুষের ভাষা এবং সপ্তম জনপ্রিয় ভাষা বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবটি পুনরায় উত্থাপন করেন।
বিশ্বের ৭ হাজার ভাষার মধ্যে প্রায় ৪০ ভাগই আজ হুমকির সম্মুখীন উল্লেখ করে অ্যালিসন স্মেল বলেন, “আজকের দিনটি বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র সংরক্ষণে আমাদের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।”
বহুভাষাবাদকে জাতিসংঘের ডিএনএ উল্লেখ করে অ্যালিসন স্মেল আরও বলেন, “এবছরকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ‘আন্তর্জাতিক দেশীয় ভাষা বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে যা বৈশ্বিকভাবে ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র সংরক্ষণে সচেতনতা সৃষ্টিতে আমাদেরকে একটি সুযোগ এনে দিয়েছে”।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেওয়া ইউনেস্কোর মহাপরিচালকের বাণী পড়ে শোনান নিউ ইয়র্ক ইউনেস্কো অফিসের পরিচালক মারিয়ে পাওলি রোউডিল ও নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাসিও এর বাণী পড়েন নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র কার্যালয়ের ডেপুটি কমিশনার এ্যাইসসাতা কামারা।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |