সোমবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বিশেষ কমিটি (সি-৩৪) এর সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “জাতির পিতা অনুসৃত বৈদেশিক নীতি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়’ এবং আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা এ দু’য়ের আলোকেই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মূল্যবোধভিত্তিক অবদান রেখে চলছে বাংলাদেশ।”
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিরক্ষীদের যে কোনো ধরণের যৌন নির্যাতন ও এর অপব্যবহারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ মহাসচিব ঘোষিত ‘জিরো টলারেন্স নীতির প্রতি পূর্ণ আস্থাশীল এবং এ নীতি অনুসরণ করেই বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয় রয়েছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘অ্যাকশন ফর পিসকিপিং অ্যাজেন্ডা’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক শান্তিরক্ষার প্রতি বাংলাদেশের গভীর ও পূর্ণ প্রতিশ্রুতি জানান।”
রাষ্ট্রদূত মাসুদ আরও বলেন, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শান্তিরক্ষীদের যৌন নির্যাতন ও এর অপব্যবহার রোধে গঠিত ‘সার্কেল অব লিডারশিপ’ এর একজন সদস্য। তাছাড়া আমরা যৌন নির্যাতন ও এর অপব্যবহার বন্ধে জাতিসংঘ মহাসচিবের স্ব-প্রণোদিত কম্প্যাক্টেরও সদস্য।”
রাষ্ট্রদূত মাসুদ জাতিসংঘের শান্তিবিনির্মাণ ও টেকসই শান্তি এবং মহাসচিবের শান্তির কূটনীতি বিষয়ক পদক্ষেপসমূহের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন উপস্থাপন করেন। আজকের দিনে শান্তিরক্ষীরা বিভিন্ন অ-রাষ্ট্রীয় অপশক্তির রীতি-নীতি বর্জিত ও অপ্রতিসম হুমকি ক্রমাগতভাবে মোকাবিলা করছে, এমন জটিল, তীব্র চাহিদাপূর্ণ ও বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ‘সি-৩৪’ কমিটিকে আরও কার্যকর করতে ‘সি-৩৪’ প্লাটফর্মের আওতায় শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ভবিষ্যত দিক-নির্দেশনার বিষয়ে খোলামেলা আলোচনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন স্থায়ী প্রতিনিধি।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের স্থায়িত্ব ও দক্ষতা নিশ্চিতে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ।
এগুলো হল- ১. লক্ষ্য নির্ধারণে সৈন্য ও পুলিশ সরবরাহকারী দেশ, নিরাপত্তা পরিষদ ও জাতিসংঘ সদরদপ্তরের মধ্যকার ত্রয়ী সম্পর্ক শক্তিশালী করা, ২. কর্তব্যরত শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার উন্নয়ন, ৩. শান্তিরক্ষীদের কর্মদক্ষতা ও মান নিরূপনে সমন্বিত মূল্যায়ন ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সম্পদ ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সুনিশ্চিতকরণ, ৪. সব ধরণের যৌন নির্যাতন ও এর অপব্যবহার রোধে মহাসচিবের জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ, ৫. নারী শান্তিরক্ষীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ, ৬. শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের পরিবেশগত প্রভাব হ্রাসে নতুন ও উদ্ভাবনশীল পন্থা খুঁজে বের করা, ৭. প্রযুক্তির (ড্রোন ইত্যাদি) সতর্ক ব্যবহার যেন তা কোনোভাবেই স্বাগতিক দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি না হয়।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |