বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ‘চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের’ বৈঠক

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রবাসী সংগঠন ‘চট্টগ্রাম সমিতি ওমান’ এর একটি প্রতিনিধিদল।

প্রবাস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2019, 05:26 PM
Updated : 14 Jan 2019, 05:26 PM

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক এবিএম সারওয়ার-ই-জামানের দপ্তরের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান চৌধুরী শাবুর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  এবিএম সারওয়ার-ই-জামানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইমিগ্রেশন, কাস্টম, নিরাপত্তা ও বিমান সংস্থাসহ বিমানবন্দরে দায়িত্বে থাকা সংস্থার প্রতিনিধিরা।

চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের সভাপতি ও প্রবাসী সিআইপি মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ওমানে মাদক পাচার, যাত্রী দুর্ভোগ, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া, প্রবাসীর লাশ পরিবহন ও সিআইপি সুবিধাসহ প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন।

এবিএম সারওয়ার-ই-জামান বলেন , “ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যে মাদক পাচার রোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে আরও জোরদার করা হয়েছে তল্লাশি ব্যবস্থা। কঠোর নজরদারিতে আনা হয়েছে যাত্রীদের ব্যাগেজ। পাশাপাশি প্রবাসী যাত্রীদের সমস্যাগুলো নিরসনসহ বাড়ানো হচ্ছে সেবার পরিধি।”

মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী বলেন, “খাবার, দাঁতের মাজন ও পেস্টসহ নানা মাধ্যমে যাওয়া ইয়াবা-গাজার চালান সম্প্রতি আটকের পর বাংলাদেশি যাত্রীদের কঠোর তল্লাশিতে পড়তে হচ্ছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং জনশক্তি বাজারের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কতিপয়ের অপকর্মে দুশ্চিন্তায় আছেন প্রায় ৮ লাখ ওমান-প্রবাসী।”

বিমানবন্দর প্রবাসীকল্যাণ বিভাগের উপ পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম মজুমদার বিদেশ থেকে আসা লাশ ও অসুস্থদের পরিবহন সুবিধার তথ্য দিয়ে বলেন, “বহির্গমন কার্ড পূরণে দুজন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ফলে লেখাপড়া না জানা প্রবাসীদের কার্ড পূরণে আর দুর্ভোগে পড়তে হবে না।”

অবৈধ গমন ঠেকানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবোর্চ্চ সর্তকতা অবলম্বনের কথা উল্লেখ করে ইমিগ্রেশনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিমউদ্দিন মজুমদার বলেন, “কোনো কোনো যাত্রীর তল্লাশির ক্ষেত্রে কিছুটা সময় নিতে হচ্ছে। দেশের সুনামের স্বার্থে আমাদের তা করতেই হচ্ছে। তারপরও প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী নির্ধরিত সময়েই তাদের ফ্লাইট ধরছেন। ই-ভিসার পর ই-ইমিগ্রেশন চালু হলে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয় দ্রুত ও সহজ হয়ে যাবে।”

ওমান থেকে দেশে লাশ পরিবহনে জটিলতার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন বলে জানান বিমান বাংলাদেশ অ্যায়ারলাইন্স এর সহকারী স্টেশন ব্যবস্থাপক ইমরুল হাসান আনসারী।

মাদক রোধে নেওয়া উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এজাজ মাহমুদ বলেন, “তল্লাশি জোরদারে প্রবাসীদের দুর্ভোগ যেন না বাড়ে সেদিকে যেমন খেয়াল রাখতে হবে তেমনি প্রবাসীদেরও সর্তক হতে হবে চালানি গ্রহণে।”

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিমানবন্দর এপিবিএন এর সহকারি পুলিশ সুপার মো. হুমায়ুন কবির খান, কাস্টমস কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক, স্টেশন যোগাযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ, নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, ইউএস বাংলা অ্যায়ারলাইন্সের স্টেশন ইনচার্জ মো. মাঈনুল ইসলাম, রিজেন্ট অ্যায়ারওয়েজের ডেপুটি স্টেশন ইনচার্জ জেসমিন আক্তার জেসি, বিমানবন্দর আনসার ক্যাম্পের কমান্ডার মো. শফিুকল ইসলাম, নিরাপত্তা সুপারভাইজার মো. মেশকাত হোসেন, মো. ইউছুফ, মো. কামরুজ্জামান, চট্টগ্রাম সমিতির উপদেষ্টা মো. সামসুল আজিম আনছার সিআইপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান চৌধুরী শাবু এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মোহাম্মদ সামশুল আলম।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!