চলতি মাসের গোড়ার দিকে ৫ বছরে মধ্যে ৩ লাখ ৩৪ হাজার কর্মী নিয়োগের বিষয়ে দেশটির সংসদে বিল পাশ হয়। এরপর বাংলাদেশের কর্মীদের নেওয়া হবে বলে বিভিন্ন মহলে তথ্য প্রচার হওয়ার পর টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস সেই তথ্যকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রাথমিকভাবে জাপান সরকার যে কর্মী নিয়োগের আইন পাশ করেছে সেখানে আটটি দেশ রয়েছে- ভিয়েতনাম, চীন, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও পূর্ব এশিয়ার অন্য একটি দেশ, তালিকায় বাংলাদেশ নেই।’
বাংলাদেশের নাম তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে ‘কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে’ বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। কর্মী নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে যেকোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করারও অনুরোধ এসেছে দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে।
গত ৮ ডিসেম্বর দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা অভিবাসন আইনের সংশোধন করে শিনজো আবে সরকার। বিরোধীপক্ষের বাধা উপেক্ষা করে শ্রমিক নিয়োগে অভিবাসন বিলটি সংসদে উপস্থাপনের পর সেটা নিয়ে অনেক আলোচনা ও বাক-বিতণ্ডাও হয়।
পরে ক্ষমতাশীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) সাংসদরা সর্ব-সম্মতিতে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের বিলটি সংসদের উচ্চকক্ষে পাশ করান।
দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে বলা হয়েছে, ‘যারা অত্যন্ত দক্ষ (গবেষক, শিক্ষক ও ব্যবসায়ী) তারা এদেশে যতদিন খুশি ততোদিন থাকতে পারবেন। সেই সঙ্গে তারা তাদের পরিবারের সদস্যদেরও জাপানে নিয়ে আসতে পারবেন।’
জনসংখ্যা ক্রমাগত কমে যাওয়ায় দেশটির কোম্পানিগুলো মারাত্মক জনবল সংকটে পড়ে। এর আগে জাপানে চীন, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল ও ভিয়েতনামের নাগরিকরাই বেশি কাজের সুযোগ পেয়েছেন।
তবে বাংলাদেশ থেকে জাপানে ৭৭টি পেশায় ১৩৭টি কাজের জন্য দক্ষ ও আধা-দক্ষ কারিগরি ক্যাটাগরিতে শিক্ষানবিশ কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয়।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |