কায়রোর চিঠি: রামসিস, তুতেনখামেন ও নিউ কিংডম

নীলনদ অববাহিকায় গড়ে উঠা প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম প্রধান একটি শহর লুক্সর। এখানে বিদ্যমান মন্দির ও সমাধি ফেরাউনি আমলের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য। সমাধিগুলো আজ থেকে প্রায় চার হাজার বছর আগের, আর মন্দিরগুলো তারও আগের।

মোহাম্মাদ আবু জাবের, মিশর থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2018, 05:37 AM
Updated : 16 Nov 2018, 05:37 AM

সবচেয়ে প্রসিদ্ধ মন্দিরটির নাম ‘মাবাদ লুক্সর’ বা লুক্সর উপাসনালয়। এটি শহরের উপকণ্ঠে এবং নীলনদের তীর ঘেঁষে অবস্থিত। প্রায় চার লাখ ছেচল্লিশ হাজার পঁচাশি দশমিক ৬ মিটার জায়গার উপর এটি প্রতিষ্ঠিত। এখানে মোট তিনটি মন্দির আছে। ‘মাবাদ কারনাক’ তার মধ্যে একটি। মাবাদ কারনাকের সঙ্গে মাবাদ লুক্সরের একটা সংযুক্তি আছে। বাৎসরিক পূজা পালনের সময় উভয় মাবাদে গিয়ে লোকেরা উপাসনা করতো।

দুপুরের ভোজন শেষে সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রাম। এক বিশ্রামেই সন্ধ্যা পার। এসময় রাত নিকশ কালো হয়ে এলো। আমরা তখন রাত্রিকালীন কারনাক মন্দির দর্শনে গেলাম। এসময় এখানে শব্দ ও আলোক প্রদর্শনী চলছিল। এ মন্দিরে প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান আর কার্যাবলী নিজ মুখে বলছিলেন আর সঙ্গে সঙ্গে আলোর প্রতিবিম্ব হচ্ছিলো। আমরা সেসব বক্তব্যগুলো শুনছিলাম আর আলোর সাহায্যে সবকিছু নির্ণয় করছিলাম। প্রথম বক্তব্য শুরু করছিলেন তৎকালীন মিশরের উপাস্য আমূন। তিনি কী কী করছিলেন তার বিশদ বিবরণ দিচ্ছিলেন। একে একে তার স্ত্রী-পুত্র, দ্বিতীয় রামসিস ও অন্যান্যরা। বড় চমৎকার লাগছিল ব্যাপারগুলো। প্রায় তিন ঘণ্টা চলে এ প্রদর্শনী।
পরদিন সকাল পুনরায় আমরা কারনাক মন্দির পরিদর্শনে আসি। গতরাতে এদের সম্পর্কে জেনেছিলাম, এবার আসলাম স্বচক্ষে সবকিছু দেখতে। লুক্সর মন্দিরের তিন কিলোমিটার দূরত্বে কারনাক মন্দির অবস্থিত। আয়তনে এটি লুক্সর মন্দির থেকে কয়েকগুন বড়। সম্ভবত এটি সমকালীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় মন্দির। প্রায় তেষট্টি একর জায়গা নিয়ে এটি অবস্থিত। বর্তমানে পূর্বের অবস্থায় নেই এটি। স্থানে স্থানে ভেঙ্গে গেছে। কয়েক জায়গায় শুধু অনেকগুলো পাথর জমা করা আছে। অনেক জায়গায় মন্দিরের ছাদ ধ্বসে পড়েছে। তাতে বিশাল স্তম্ভগুলো ছাদবিহীন ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। 
মূলত কারনাক মন্দির বলে একসঙ্গে অনেকগুলো মন্দির, প্রাসাদ ও স্তম্ভকে বুঝায়। ফেরাউনি যুগ থেকে শুরু করে রোমান যুগ পর্যন্ত এ মন্দিরের নির্মাণ এবং সম্প্রসারণের কাজ অব্যহত থাকে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে এর নির্মাণ কাজ শুরু করেন খ্রিস্ট দুই হাজার বছর পূর্বে ঊনবিংশতম পরিবারের প্রথম রামসিস। এরপর দ্বিতীয় রামসিস এর অধিকাংশ কাজ সমাপ্ত করেন, এবং মন্দিরের দেয়ালে বিভিন্ন আকৃতির নকশা আঁকেন। এ নকশাগুলো প্রাচীন মিশরিয় পুরাণের প্রতিচ্ছবি। এছাড়া মন্দিরের দেয়ালে হায়ারোগ্লিফিক বর্ণে দ্বিতীয় রামসিসের খোদাই করা নাম থেকে এগুলোর সময় সম্পর্কে জানা যায়।
সেসময়কার রাজসিল কে বলা হতো ‘খারতুশ’। এতে রাজার নাম খোদাই করা থাকতো। তার ব্যক্তিগত তথ্য, সিংহাসনে সমাসীন হওয়ার তারিখ ইত্যাদিও লেখা থাকতো। অনেক সময় রাজা নিজের নামের সঙ্গে স্ত্রীর নাম যোগ করতেন, ফলে খারতুশের উপর পরিবর্তীত নামটা খোদাই করা হতো। যেমন আমূন ছিলেন দুনিয়ার উপাস্য ও রাঢ় ছিলেন পরবর্তী জগতের উপাস্য। আমূন স্ত্রীলোক রাঢ়কে বিয়ে করার ফলে দুজনে এক উপাস্যে পরিণত হন, এবং তাদের সম্মিলিত নাম হয় আমূন রাঢ়। সে হিসেবে এ সময়কার উপাস্য হিসেবে প্রথমে আমূনের নাম থাকলেও পরবর্তীতে এটি ‘আমূন রাঢ়’ হয়ে যায়।
এ মন্দিরটিতে উপাস্যত্রয়ীর ইবাদত করা হতো। এ উপাস্যত্রয়ী হলেন- আমূন রাঢ়, তার অপর স্ত্রী মূতু এবং তাদের সন্তান খুনসু। কারনাক উপাসনালয় সীমার মধ্যে এদের প্রত্যেকের জন্য একটি উপাসনালয় ছিল। এগুলোতে পৃথক পৃথকভাবে এদের প্রত্যেকের ইবাদত করা হতো। যদিও অনেকসময় পর্যটকরা মাবাদ বলে মাবাদ আমূনই বুঝে থাকেন। আরবি শব্দ ‘খুরনক’ এর পরিবর্তীত রূপ ‘কারনাক’। এর মাধ্যমে কোনো সংরক্ষিত অঞ্চলকে বুঝায়। এ হিসেবে তৎকালীন সময়ে এ অঞ্চলের প্রতিটি মাবাদকে ‘কারনাক’ বলা হতো। তবে এর পূর্বে এ মন্দিরগুলো ‘ব্রাহ্মণ’ নামেও পরিচিত ছিল, এর মানে হলো ‘আমূন উপাসনালয়’ বা ‘আমূনের ঘর’।

এই নামকরণের সঙ্গে প্রাচীন মিশরিয়দের বিশ্বাসের একটা যোগসূত্র ছিল। তারা বিশ্বাস করতো, পুরো পৃথিবীতে একসময় শুধু পানি আর পানি ছিল। পানি থেকেই এই পৃথিবীর সৃষ্টি। পানি তরাঙ্গায়িত হবার ফলে এক জাতীয় ফেনার সৃষ্টি হয়। সেখান থেকে ধীরে ধীরে সৃষ্টি হয় মাটির। আর এ মাটির উপর দাঁড়িয়ে উপাস্য আমূন পৃথিবীর অবশিষ্ট ভূখণ্ডগুলো সৃষ্টির পরিকল্পনা করেন। তারা এটাও বিশ্বাস করতো, পৃথিবীর এ অংশটির উপর কারনাক মন্দিরটি তৈরি হয়েছে।

মিশরের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যখন ১১তম পরিবারের রাজা-বাদশাগণ অধিষ্ঠিত হন, তখনও এ মন্দিরটিকে কার্যত পবিত্রভূমি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। সেসময় কারনাক মন্দিরের ভেতর ইলাহ আমূনের জন্য বিশেষভাবে একটা স্থান নির্ধারণ করা হয়। আমূনকে তখন সারা দেশের সবচেয়ে প্রতাপশালী, শক্তিধর আর অসীম ক্ষমতার অধিকারী ভাবা হতো। বিপদ-আপদ ছাড়াও যেকোনো বিষয়ের সিদ্ধান্ত নিতে লোকেরা আমূনের দ্বারস্থ হতো। উপাস্য আমূন দিনরাত মানুষের কল্যাণের কথা ভাবতেন। কিন্তু বছরে একদিন তিনি জনগণের সামনে আসতেন এবং এক এক করে সবার কথা শুনতেন। প্রত্যেককে তার উপযুক্ত পরামর্শ দিতেন।

আমরা ঘুরে ফিরে প্রতিটি বিষয় জানলাম, দেখলাম আর অবাক বিস্ময়ে অভিভূত হলাম। এখান থেকে প্রস্থান করলাম বেলা দুইটায়। পরদিন বের হলাম লুক্সর মন্দির দেখতে। নীলনদ অববাহিকায় গড়ে উঠা প্রাচীন মিশরিয় মন্দিরসমূহের মধ্যে লুক্সর মন্দির সবচেয়ে বড়। খ্রিস্টপূর্ব এক হাজার ৪০০ বছর পূর্বে অষ্টাদশ ও ঊনবিংশতম পরিবারের রাজত্বকালীন সময়ে এটি নির্মাণ করা হয়। এখানেও আমূন রাঢ়, তার স্ত্রী মূতু ও তাদের সন্তান খুনসুর ইবাদত করা হতো। মন্দিরের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো নির্মাণ করেন আমিনহাওতেব (খ্রিস্টপূর্ব ১৩৬০-১৩৯৭) এবং দ্বিতীয় রামসিস (খ্রিস্টপূর্ব ১২২৩-১২৯০)। দ্বিতীয় রামসিস মাবাদের সামনে উন্মুক্ত আঙিনা এবং আরো কয়েকটি ভবন নির্মাণ করেন।

রাজা তৃতীয় তাহুতমুস উপাস্যত্রয়ীর দর্শনার্থীদের জন্য অনেকগুলো বৈঠকখানা নির্মাণ করেন। তুতাংখামূন দেয়ালের মধ্যে চিত্রাঙ্কন করেন। রাণী হাবশেতসুত ও তৃতীয় তাহুতমুস কর্তৃক নির্মিত ভবনগুলো ধ্বংস হয়ে পড়লে রাজা দ্বিতীয় রামসিস সেগুলো পুনর্নিমাণ ও সংস্কার করেন। এ উপাসনালয়টিকে ‘ইবাত রুসিয়াত’ নামেও ডাকা হতো। এর মানে হচ্ছে দক্ষিণের ক্যাম্পাস ও আমূন রাঢ়ের ঘর। এটি মিশরের সর্বাধিক সুরক্ষিত মন্দির। এছাড়া অন্যান্য মন্দিরগুলোর চেয়ে এর নির্মাণশৈলীও ভারি চমৎকার।

এদিন এখানে আর অতিরিক্ত সময় ব্যয় করলাম না। সরাসরি চলে গেলাম ‘কিং ভ্যালি’, এর আরবি শব্দ হলো ‘ওয়াদি আল মুলুক’। এটি হচ্ছে লুক্সরে অবস্থিত একটি উপত্যকা। খ্রিস্টপূর্ব ১৬ শতক থেকে ১১ শতক পর্যন্ত এখানে মিশরের নিউ কিংডমের (প্রাচীন মিশরের ১৮তম ও ২০তম যুগ) ফারাওদের সমাহিত করার জন্য মন্দির নির্মাণ করা হতো। উপত্যকাটি নীল নদের পশ্চিম তীরে, তেহবান নেক্রোপলিসের কেন্দ্রে অবস্থিত। এ উপত্যকার দুটি অংশ, একটি হচ্ছে পূর্ব উপত্যকা, যেখানে বেশিরভাগ রাজকীয় মন্দিরগুলো অবস্থিত এবং অপরটি হচ্ছে পশ্চিম উপত্যকা।

২০০৬ সালে একটি নতুন প্রকোষ্ঠ, এবং ২০০৮ সালে আরো একটি আরো নতুন দুটি মন্দিরের প্রবেশমুখ আবিষ্কারের পর জানা যায়, এ উপত্যকায় মোট ৬৩টি মন্দির আছে। এগুলোর মধ্যে কিছু সাধারণ গর্তের মতো প্রকোষ্ঠের সঙ্গে একশত ২০ প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট মন্দিরও আছে। এটি ছিলো প্রাচীন মিশরের নিউ কিংডমের রাজন্যবর্গের সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত কবরস্থান। এ মন্দিরগুলোর নকশায়ও তৎকালীন মিশরীয় পুরাণের বিভিন্ন চরিত্রের ছবি আঁকা রয়েছে, যার থেকে সেই সময়কার বিশ্বাস ও মৃত্যু পরবর্তী বিভিন্ন সৎকার কর্ম ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সবগুলো মন্দিরেই মূল্যবান দ্রব্যাদি থাকার কারণে লুট হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু এখনো যা আছে তা তৎকালীন শাসকদের ক্ষমতা সম্পর্কে একটি ধারণা লাভে সহায়তা করে।
১৮ শতক থেকে এ স্থানটি প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইজিপ্টিলোজির একটি আগ্রহের কেন্দ্র হয়ে উঠে। এ মন্দিরগুলো মানুষের আকর্ষণ ও প্রত্নতাত্ত্বিকদের গবেষণার বিষয় হয়ে উঠে। বর্তমান সময়ে এ উপত্যকাটি ফারাও তৃতীয় তুতেনখামেনের মমি আবিষ্কার ও তার সমাধিস্থ মন্দির কেভি৬২-এর আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। কারণ তৃতীয় তুতাংখামুনের মমির মাধ্যমেই ফারাওদের অভিশাপের গুজব বিস্তৃতি লাভ করে। এটি বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। ১৯৭৯ সালে এটি অবশিষ্ট তেহবান নেক্রোপলিসের সঙ্গে একত্রে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হওয়ার মর্যাদা লাভ করে।
এ রাজ উপত্যকায় আমরা সন্ধ্যা পার করি। কিন্তু এ সময় আমাদের কেমন ভয় ভয় করছিল। কাজেই বিলম্ব না করে চলে যাই। পরদিন একেবারে সর্বশেষ দিন। ইতিহাস আর ঐতিহ্যমণ্ডিত এ লুক্সর-আসওয়ানকে বিদায় দেওয়ার দিন। আমরা শুরুতেই জামা-কাপড় সব গুছিয়ে ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে এলাম। কিন্তু ফেরার আগে লুক্সর যাদুঘর পরিদর্শন করি। নীল নদের কুর্নিশে লুক্সর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত লুক্সর যাদুঘর। ১৯৭৫ সনে মিশরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত যাদুঘরটির উদ্বোধন করেন। এখানে বিদ্যমান সামগ্রীগুলো সঙ্গে কোনভাবেই কায়রো যাদুঘরের সামগ্রীগুলোর তুলনা চলে না। যদিও উভয় যাদুঘরের সামগ্রীগুলো প্রাচীন মিশরিয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রতি ইঙ্গিত করে।
এখানে আছে মিশরের ফারাও তুতেনখামেনের ও নিউ কিংডমের অন্যান্য রাজা-বাদশাদের মমি। এছাড়াও ১৯৮৯ সনে এদের ভাস্কর্যও এখানে তৈরি করা হয়। অনুরূপভাবে এখানে আরো আছে প্রাচীন ফারাওদের মমি। বিশেষ করে প্রথম আহমুস ও প্রথম রামসিসের মমি এখানে খুব লক্ষ্যনীয়ভাবে স্থাপন করা হয়েছে। ২০০৪ সালে আখনাতুন উপাসনালয় প্রতিস্থাপনের জন্য যাদুঘরটির ব্যাপক সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়।
একে একে আমাদের লুক্সর যাদুঘর দর্শনও শেষ হলো। এবার বিদায়ের পালা। ফিরে যেতে হবে আপন নীড়ে। কিন্তু মনে অতৃপ্তি আর অপূর্ণতার রেশ রয়েই যবে সর্বদা। সেই অতৃপ্তি কোনদিন ঘুচবে না। যদি লম্বা সময়ও লুক্সরে ব্যয় করা যায়, তথাপি অপূর্ণতা থেকেই যাবে। শত সহস্র বছর ধরে চলা এ নগরীকে দৃষ্টি ও মননে খুব কম লোকেই পরিব্যাপ্ত করতে পারেন। আমিও পারলাম না। অনেক কিছুই ছেড়ে দিতে হয়েছে। আরো অসংখ্য ঐতিহ্যই দৃষ্টি সীমার পেছনে রয়ে গেছে। তবে যদি কোনদিন সময় হয়, ছুটে আসবো অতৃপ্ত মনের পিপাসা নিরারণে।

লেখক: প্রবাসী শিক্ষার্থী, আযহার বিশ্ববিদ্যালয়, কায়রো, মিশর

এ লেখকের আরও লেখা

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!