যুক্তরাষ্ট্রের সল্ট লেকে প্রবাসী শিক্ষার্থীদের বনভোজন

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কাছে শীতের চেয়ে গ্রীষ্মকাল বেশি কাঙ্খিত। কারণ গ্রীষ্মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা প্রায় থাকে না বললেই চলে। আবার উপভোগ্য আবহাওয়ার সুবাদে ঘোরাঘুরি একটু বেশিই হয় এ সময়টাতে।

যোবায়ের এ. যুবি, যুক্তরাষ্ট্র থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2018, 12:18 PM
Updated : 30 Sept 2018, 12:18 PM

যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যে পিএইচডি বা মাস্টার্স করতে আসা বাংলাদেশি গবেষক, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবার নিয়ে প্রায় দুইশ লোকের বসবাস। বছরের এ সময়ে প্রায় প্রতি বছর বাংলাদেশিরা মিলনমেলার আয়োজন করে থাকেন। বাংলাদেশি কমিউনিটি ও ‘বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি অব ইউটাহ’ এর যৌথ আয়োজনে এবারও এক মনোরম পরিবেশে পিকনিকের আয়োজন করা হয়।

সেখানে হরেক রকমের খাবার, শিশুদের জন্য দৌড় খেলা ইত্যাদির আয়োজন ছিলো। খাবারের মধ্যে ছিল বাঙালিয়ানার এক অপূর্ব ছোঁয়া। খাবারের মধ্যে খাসির রেজালা ও পোলাও ছিল অন্যতম। এছাড়া মুরগির বারবিউ, নানরুটির আয়োজন ছিল। খাবার শেষে পরিবেশন করা হয় গরুর দুধের চা ও তরমুজ। মিলনমেলায় আসা বাংলাদেশি মেয়েদের পরনে ছিলো শাড়ি ও কামিজ।

আয়োজকদের অন্যতম হাসান মোহাম্মদ মনিরুল বলেন, “দূর দেশে আমরা বছরে মাত্র কয়েকটা দিন আমরা একসঙ্গে উদযাপন করতে পারি। এসব আয়োজন আমরা বারবার করতে চাইলেও সময়ের অভাবে করা হয়ে উঠে না। তারপরও আমরা ভালো কিছু আয়োজন করার চেষ্টা করি।”

ইউটাহতে দীর্ঘদিন যাবত বসবাসকারী বাংলদেশি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম মামুন প্রতিটি আয়োজনে শত ব্যস্ততাকে পাশে রেখে কাজ করে যান। তিনি বলেন, “যখন বাংলাদেশিদের নিয়ে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় আমি সপরিবারে উপস্থিত থেকে গুরুত্বের সঙ্গে কাজকর্ম করি।”

তিনি আরো বলেন, “এসব মিলনমেলা আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের ছেলে-মেয়েদের ‘বাংলাদেশ কী ও বাংলাদেশের সম্প্রীতি কেমন’ তার একটা ধারণা দেবার চেষ্টা করি।”

অনুষ্ঠান আয়োজকদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- শেখ সাইফুল ইসলাম, এইচ এম দারা, শেখ কাদের ও হাফিজুর রহমান।

লেখক: পিএইচডি গবেষক, ইউনিভার্সিটি অব ইউটাহ, সল্ট লেক, যুক্তরাষ্ট্র

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!