পরিবার আর বন্ধুদের ছেড়ে আসতে সত্যি একটু বেশি কষ্ট লাগছিল। তখন ভাবিনি বরফ আর শীতের এই দেশের প্রেমে পড়ে যাব। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি, আমার স্বপ্ন বোনার প্রথম কারখানা। এর রুশ নাম ‘রুদেন ইউনিভার্সিটি’। বাংলায় বলা হয় ‘গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়’।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বের ১৬৩ দেশের প্রায় ২২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। আর বাংলাদেশের আছেন ৭৩ শিক্ষার্থী।
মেডিকেল অনুষদ ছাড়াও রয়েছে প্রকৌশল অনুষদ, ইতিহাস ও দর্শনবিজ্ঞান অনুষদ, কৃষি অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, আইন ও অর্থনীতি অনুষদ। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ১৪টি হোস্টেল আছে।
ইউনিভার্সিটি হোস্টেলের পাশে ছোট্ট একটা বন আর বনের ভেতর লেক। লেকের অপরূপ সৌন্দর্য সবাইকে বিমোহিত করে। গ্রীষ্মের সময় সেখানে সবুজের সমারোহ আর শীতের সময় বকের পালকের মতো সাদা সবকিছু। এমনকি লেকের পানিও বরফ হয়ে যায়। এই জায়গাটি শিক্ষার্থীদের সব থেকে পছন্দের জায়গা।
আমরা এশিয়রা যে ক্রিকেটপ্রেমী সেটা রুশ শিক্ষার্থীরা জানে। প্রতি বছর শীতের বিদায় বেলা, গ্রীষ্মের আগমনী বার্তা শুরু হয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট দিয়ে। সেখানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, আফগানিস্তান অংশ নেয়। বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ঐতিহ্য জানার জন্য এই টুর্নামেন্ট একটা ভীষণ কার্যকরী পন্থা।
লেখক: প্রবাসী শিক্ষার্থী, রুদেন ইউনিভার্সিটি, মেডিকেল শেষ বর্ষ, মস্কো, রাশিয়া
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |