জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় শোক দিবস

যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2018, 07:28 AM
Updated : 16 August 2018, 07:28 AM

বুধবার স্থায়ী মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবস পালনের কর্মসূচি শুরু করা হয়। এ সময় ১৫ অগাস্টের শহীদদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় ও শহীদদের উদ্দেশ্যে দোয়া করা হয়।

জাতিসংঘের চলতি ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য’ তথা এসডিজি’র ১৭টি গোলের অধিকাংশই ৪৪ বছর আগে জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণে উপস্থাপিত ইস্যু বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন।

বিকালে মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান ‘আলোচনা পর্ব’। শুরুতেই জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্য ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

আলোচনা পর্বের আগে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন মিশনের পক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। রাষ্ট্রদূত মাসুদ ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা জাতিসংঘে প্রথমবারের মতো বাংলায় যে ভাষণ দিয়েছিলেন তার বিশেষ বিশেষ অংশ তুলে ধরেন।

মাসুদ বিন মোমেন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অবস্থানরত জাতির পিতার খুনীদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্রবাসীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে অংশ নেন জাতিসংঘের হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট কার্যালয়ের পরিচালক সেলিম জাহান। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর দর্শন থেকে আমরা শক্তি পেতে পারি। তাঁর হিমালয়ের মতো দৃঢ়তা অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুতে আমাদের অবিচল রাখতে পারে।”

নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা বলেন, “জাতীয় শোক দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় জাতির পিতা আমাদের চেতনায় অমর, অক্ষয়। যদি জাতির পিতার জন্ম না হতো, তাহলে আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে এভাবে কথা বলতে পারতাম না। বাংলাদেশের পাসপোর্ট ধারণ করে প্রবাসে সম্মানের অধিকারী হতে পারতাম না।”

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই পারবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে। তাই জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে চলছে সেভাবেই আমরা এদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।”

এছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!