কিন্তু এক দিনের ট্যুর ছিলো বলে খুব একটা ভালো করে অক্সফোর্ড শহরটা ঘুরে দেখা হয়নি, তবে মিস করিনি এই পুরাতন ও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়টি দেখার, যা কিনা অনেকদিনের স্বপ্ন ছিলো। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের মানুষ এক নামে যে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে চেনে তা হলো এই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, যা কিনা উচ্চশিক্ষার স্থান ও জ্ঞানচর্চার শেকড় বলে বিখ্যাত।
এছাড়াও রয়েছে বোটানিক্যাল পার্ক ও জেনেটিক পার্ক। এই অপরূপ সৌন্দর্য, ইতিহাস ও ঐতিহ্যই পর্যটকদের মন কেড়ে নিচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। এমনকি এই বিশ্ব বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিছন্নতাও কিন্তু এই অপরূপ সৌন্দর্যের অর্ন্তভুক্ত।
খ্যাতির চূড়ায় যে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান তার শুরুর ইতিহাসটি এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে কোথাও লেখা নেই। তবে এই ট্যুরের মাধ্যমে যতটুকু আমি জানতে পেরেছি তাই আমি এই লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছি। অক্সফোর্ড শহরে অবস্থিত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি ভাষাভাষী জগতের মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রথমদিকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মতত্ত্ব, আইন, চিকিৎসা বিষয় ও দর্শন বিভাগ ছিল। এমনকি প্রথমদিকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজের কোনো ভবন ছিল না, ভাড়া করা হল অথবা চার্চে ক্লাস নেওয়া হতো। ১৩৫৫ সালে রাজার এক আদেশে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে অক্সফোর্ড শহরে স্থান দেওয়া হয়। ১৮৮৭ সালে প্রথম মহিলা কলেজ ‘লেডি মার্গারেট হল’ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বিশ শতকে এই বিশ্ববিদ্যালয়টির আরো সংস্কার করা হয়।
এছাড়া প্রতিটি কলেজে একটি ডাইনিং হল, প্রার্থনা কেন্দ্র, লাইব্রেরি, তিনটি কমনরুম এবং ২০০ থেকে ৪০০ ছাত্রের থাকার স্থানও রয়েছে। আরো জানতে পেলাম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনিটিই হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রকাশনি।
তবে এক কথায় বলতে পারি ঐতিহ্য ও শিক্ষা বিস্তারের ভূমিকায় এই বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয়। সময় স্বল্পতার কারনে পুরো অক্সফোর্ড শহরকে দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করেছিলো প্রতিটি মুহূর্তে।
লেখক: প্রবাসী শিক্ষার্থী ও সাবেক গণমাধ্যমকর্মী
ই-মেইল: topu1212@yahoo.com
লেখকের আরও পড়ুন