নিহত আইয়ুব আলীর (৬১) বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানোপুর গ্রাম। তিনি ফ্লোরিডা স্টেট যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের নর্থ লডারডেল সিটির ১৬৯১ সাউথ স্টেট সড়কে আন্ট মলি’জ ফুড স্টোরে তার মাথায় গুলি করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের হোমিসাইড শাখার কর্মকর্তা জেমস হাইয়েস গণমাধ্যমকে বলেন, গুলির খবর পেয়ে লডারডেল লেইকস ও টামারাক ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রক্তাক্ত আইয়ুব আলীকে পাশের ব্রাউয়ার্ড হেল্থ মেডিকেল সেন্টারে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আশপাশের সিসিটিভি পরীক্ষার পর হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারে এলাকাবাসীর সহায়তা চেয়েছে ব্রাউয়ার্ড শেরিফ অফিস।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফ্লোরিডায় অ্যাসোসিয়েশন অব বাই-ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “স্টোর থেকে কিছুই লুট হয়নি। তাই এটা ডাকাতির ঘটনা হতে পারে না। এটা হেইট ক্রাইম।”
১৯৯৪ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন আইয়ুব আলী। ১০ বছর আগে এই দোকান কেনেন তিনি। গত বছর পার্কল্যান্ড এলাকায় একটি বাড়িও কিনেছেন আইয়ুব। তিন মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী ফারহানাকে নিয়ে সেখানেই বসবাস করছিলেন তিনি।
আইয়ুব আলী হত্যার সংবাদে ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন অব ফ্লোরিডা, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্লোরিডা, ঢাকা ক্লাব, নাগরিক, ফ্লোরিডা চেম্বার অব কমার্সের নেতারা হাসপাতালে যান এবং আইয়ুব আলীর পরিবারের খোঁজ-খবর নেন।
তারা মর্গ থেকে লাশ নেওয়ার পরই স্থানীয় মসজিদে জানাজার পর দাফনের বিস্তারিত কর্মসূচি নেবেন বলে জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতা আমির আলী, আলী নূর মঞ্জু, আব্দুল ওয়াহিদ মাহফুজ, এবিএম মোস্তফা, আরিফুল হক টনি, টিটন মল্লিক, আতিকুর রহমান, কবির চৌধুরী তুহিনসহ আরও অনেকে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |