‘বাংলাদেশে ৮৮ ভাগ মানুষ নিরাপদ পানির আওতায়’

‘বাংলাদেশে ৮৮ ভাগ মানুষ নিরাপদ পানির আওতায়’ এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 July 2018, 08:53 AM
Updated : 13 July 2018, 08:53 AM

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের হাই-লেভেল পলিটিক্যাল ফোরামের সভায় ‘বাংলাদেশে ডেটা বিপ্লব ও পয়ঃনিষ্কাশন’ বিষয়ক দুটি সাইড ইভেন্টে উদ্বোধন ও সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, “সরকারের ব্যাপক প্রচার ও পদক্ষেপের ফলে উন্মুক্ত স্থানে পয়ঃনিষ্কাশনের হার মাত্র ১ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশে ৮৮ ভাগ মানুষ এখন নিরাপদ পানির আওতায় এসেছে।”

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মানবিক আশ্রয়’ দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা ক্যাম্পসমূহে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হলেও আমরা তা করতে পেরেছি।”

গত ৯ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ‘ডেটা বিপ্লবে পিছনে পড়ে থাকবে না কেউই’ ও ‘পয়ঃনিষ্কাশনে অংশগ্রহণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলাদেশ থেকে শেখা’ শীর্ষক সাইড ইভেন্ট দুটিতে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্র, নীতিনির্ধারক, বিষয় বিশেষজ্ঞ ও গবেষকসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

ইভেন্ট দুটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়ন বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব জাফর আহমেদ খান, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমিরেটাস ফিরোজ আহমেদ, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, গণস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. রাশিদুল হক।

বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়নের মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ডেটা রেভ্যুলেশনের মাধ্যমে এজেন্ডা ২০৩০ এর মূলমন্ত্র বাস্তবায়নার্থে কার্যকর ও গতিশীল উন্নয়ন প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করতে আমাদেরকে অবশ্যই পাঁচটি ক্ষেত্রে রূপান্তর ঘটাতে হবে।”

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “এজেন্ডা-২০৩০ যথার্থই সামগ্রিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ও এসডিজি’র সকল প্রপঞ্চসমূহের বাস্তবায়নার্থে ডেটাকে একটি টুলস্ হিসাবে নির্ধারণ করেছে। মানসম্মত ও সুবিন্যস্ত ডেটা ব্যাতিত কার্যকর নীতি প্রণয়ন ও সম্পদ বন্টন সম্ভব নয়, একারণেই ডেটা বিপ্লবের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।”

সাইড ইভেন্টটিতে আরও বক্তব্য দেন জাতিসংঘের ইকোনমিক ও স্যোসাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের পরিচালক স্টেফান স্কুইনফেস্ট, ইউএনডিপির উপ পরিচালক ডগলাস কিহ, নরওয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সিনিয়র অ্যাডভাইজর লাইভ মারগ্রেথ রগনরাদ, ইউএন গ্লোবাল পালস-এর পরিচালক রবার্ট ক্রিকপ্যাট্রিক, এয়ারবিএনবির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান থাও নাগুয়েন, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিস্ট ওমর সিরাজউদ্দিন, এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরী।

বক্তারা এসডিজির প্রকৃত বাস্তবায়নে ডেটার যথাযথ ব্যবহার, ডেটা প্রাপ্তি ও প্রবেশে বৈষম্য কমানোসহ এর বহুমুখী ব্যবহারের উপর আলোচনা করেন।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!