স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের হাই-লেভেল পলিটিক্যাল ফোরামের সভায় ‘বাংলাদেশে ডেটা বিপ্লব ও পয়ঃনিষ্কাশন’ বিষয়ক দুটি সাইড ইভেন্টে উদ্বোধন ও সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, “সরকারের ব্যাপক প্রচার ও পদক্ষেপের ফলে উন্মুক্ত স্থানে পয়ঃনিষ্কাশনের হার মাত্র ১ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশে ৮৮ ভাগ মানুষ এখন নিরাপদ পানির আওতায় এসেছে।”
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মানবিক আশ্রয়’ দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা ক্যাম্পসমূহে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হলেও আমরা তা করতে পেরেছি।”
ইভেন্ট দুটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়ন বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব জাফর আহমেদ খান, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমিরেটাস ফিরোজ আহমেদ, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, গণস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. রাশিদুল হক।
বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়নের মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ডেটা রেভ্যুলেশনের মাধ্যমে এজেন্ডা ২০৩০ এর মূলমন্ত্র বাস্তবায়নার্থে কার্যকর ও গতিশীল উন্নয়ন প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করতে আমাদেরকে অবশ্যই পাঁচটি ক্ষেত্রে রূপান্তর ঘটাতে হবে।”
সাইড ইভেন্টটিতে আরও বক্তব্য দেন জাতিসংঘের ইকোনমিক ও স্যোসাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের পরিচালক স্টেফান স্কুইনফেস্ট, ইউএনডিপির উপ পরিচালক ডগলাস কিহ, নরওয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সিনিয়র অ্যাডভাইজর লাইভ মারগ্রেথ রগনরাদ, ইউএন গ্লোবাল পালস-এর পরিচালক রবার্ট ক্রিকপ্যাট্রিক, এয়ারবিএনবির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান থাও নাগুয়েন, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিস্ট ওমর সিরাজউদ্দিন, এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরী।
বক্তারা এসডিজির প্রকৃত বাস্তবায়নে ডেটার যথাযথ ব্যবহার, ডেটা প্রাপ্তি ও প্রবেশে বৈষম্য কমানোসহ এর বহুমুখী ব্যবহারের উপর আলোচনা করেন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |