ইয়ামাগুচির ডায়েরি: স্ট্রবেরি বাগানে কিছু সময়

স্ট্রবেরি জাপানের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ফল। কেক, আইসক্রিম, জুস, জেলি, সফট ড্রিংকসহ অন্যান্য অনেক খাবারে এ সুস্বাদু ফলের ব্যবহার দেখা যায়।

সারোয়ার আহমেদ সালেহীন, জাপান থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2018, 04:33 AM
Updated : 9 June 2018, 04:58 AM
স্ট্রবেরির প্রত্যেকটি আইটেম অত্যন্ত সুস্বাদু, স্বাস্হ্যকর ও জনপ্রিয় জাপানে। বিভিন্ন ধরনের স্ট্রবেরি জাপানে চাষাবাদ করা হয়। এটি খুবই ব্যয়বহুল এবং চাষাবাদ পদ্ধতিও বেশ অভিনব।

স্ট্রবেরি সরাসরি মাটিতে চাষ করা হয় না। বরং মাটি থেকে প্রায় এক মিটার উঁচুতে লোহার স্ট্যান্ডের উপর দাঁড়ানো প্রায় ১০ মিটার লম্বা ও ১০০ সেন্টিমিটার চওড়া বিশেষভাবে তৈরি মাচার উপর স্ট্রবেরি চাষ করা হয়। চাষের পুরো জায়গাটায় স্বচ্ছ কাঁচ দিয়ে ঢাকা থাকে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য।

জাপানে আবহাওয়া বেশ বৃষ্টিবহুল। শীত-গ্রীষ্ম সারা বছর বৃষ্টিপাত হয় এবং শীতকালে তুষারপাত হয়। স্ট্রবেরি মূলত শীতকালে, বিশেষত তীব্র শীতের সময় চাষ করা হয়। যার ফলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এ অভিনব ব্যয়বহুল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

জাপানে গত দেড় বছর সময়ে শুধু স্ট্রবেরি কিনে খাওয়া হয়েছে। কিন্তু এর অভিনব চাষাবাদ বা স্ট্রবেরি বাগানে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। তো সেদিন হঠাৎ একজন পরিচিত জাপানি ভদ্রলোক আমন্ত্রণ জানানোতে বিনাবাক্যে রাজি হয়ে গেলাম।

ইয়ামাগুচি শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিতার দূরে স্ট্রবেরি বাগানে কিছু সময় কাটানো ও বাগানের টাটকা স্ট্রবেরি ইচ্ছামতো খাওয়ার আনন্দ সত্যিই অন্যরকম। প্রায় নয় প্রজাতির স্ট্রবেরির সমারোহে সুন্দর ও পরিপূর্ণ বাগানে জনপ্রতি ১ হাজার ৫০০ ইয়েনের টিকিট কেটে ঢুকতে হয়। আর সেখানে গিয়ে প্রায় কেজিখানেক স্ট্রবেরি আমি একাই খেয়ে ফেলেছি।

প্রত্যেকটা স্ট্রবেরির ওজন প্রায় ৫০-৭০ গ্রাম, টকটকে লাল ও তাজা, খেতে সত্যিই দারুণ সুস্বাদু। বাগানটি বাণিজ্যিক পদ্ধতিতে পাঁচ বছরআগে শুরু হয়। প্রতি মৌসুমে প্রচুর দর্শনার্থী এখানে আসে।

বাগানের কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এক হাজার বর্গ মিটার পরিমাণ জায়গায় চাষাবাদ করতে প্রায় ১০ মিলিয়ন ইয়েন খরচ হয়, যা আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য সত্যিই ব্যয়বহুল।

লেখক: জেডিএস ফেলো, সিনিয়র সহকারী সচিব, ইয়ামাগুচি ইউনিভার্সিটি, জাপান।

এই লেখকের আরও পড়ুন

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!