জার্মানির হালে শহরে বর্ষবরণে চড়ুইভাতি

মাত্র বিশ থেকে বাইশজন বাঙালির বসবাস জার্মানির হালে শহরে৷ জার্মানির রাজধানী বার্লিন থেকে  প্রায় দুই ঘণ্টার পথ পেরিয়ে আসতে হয় এ ছোট্ট শহরটিতে৷

মাহবুব মানিক, জার্মানির হালে থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 April 2018, 01:29 PM
Updated : 16 April 2018, 01:29 PM

বাংলাদেশ থেকে যার দূরত্ব যার প্রায় আট হাজার কিলোমিটার৷ দূরত্ব কখনো ভুলিয়ে দিতে পারেনা নিজের শিকড়, মা-মাটিকে। ঠিক তাই ঘটেছিল বাঙালির বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে৷

হালে শহরে যেসব বাঙালি বাস করছেন এদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী৷ বাংলাদেশ থেকে দূরে থাকলেও মনেপ্রাণে লালন করা হয় বাঙালি সংস্কৃতি৷ বিদেশি সংস্কৃতির পাশাপাশি থেকে বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা করা যদিও সহজ নয়৷ তারপরও যতটুকু পারা যায় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও বাঙালি বর্ষবরণের আয়োজন করা হয়৷

হালে শহরের পর্যটন বিনোদন কেন্দ্র পাইসনিটসে আয়োজন করা হয় বাঙালি বর্ষবরণের আয়োজন চড়ুইভাতির৷ বাঙালি খাবার ও বাঙালি আবহ তৈরি করে দুর্বার এক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এবারের পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়৷

নিজ নিজ উদ্যোগে রান্না করে আনা হয় নিজের হাতের তৈরি বাঙালি খাবার, যার মধ্যে ছিল পোলাও, সাদা ভাত, আলু পোড়া, আলু ভর্তা, শুকনা মরিচের ভর্তা, টমেটো ভর্তা, মুরগির মাংস, ছোলার ডাল ভুনা, মাছের বড়া, মাছের ঝোল, মুরগির রোস্ট, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, মসুরের ডাল ভর্তা, পোড়া মরিচের ভর্তা, ফুলকপি ভাজি, পিঠা, পায়েস, বোরহানি ও লাচ্ছি ইত্যাদি৷

শীতের প্রকোপ পেরিয়ে বসন্তের শুরুতে আবহাওয়া ছিল রৌদ্রজ্জ্বল৷ সকাল থেকেই সবাই মিলিত হন পাইসনিট্স বিনোদন কেন্দ্রে৷ এরপর সবার কুশল বিনিয়মের পর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান৷ নানা রকম লোকজ খেলাধুলার পাশাপাশি বসন্তের দুপুরে গল্পে মশগুল হয় সবাই৷

দুপুরে বিছানা পেতে চড়ুইভাতি শুরু হয়৷ পরিবার পরিজন থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে বসবাস করে শৈশবের স্মৃতিচারণ বা দেশে কাটানো সময়গুলোর স্মৃতিচারণ করা হয় মূল অনুষ্ঠানে৷

কণ্ঠ মিলিয়ে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গানে গানে ভিনদেশে নিজেদের অস্তিত্বকেও জানান দিতে ভুল হয়নি

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!