উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি উদযাপন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের

বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতিতে আনন্দ-সমাবেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2018, 04:39 AM
Updated : 24 March 2018, 12:15 PM

বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের মিলনায়তনে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যৌথভাবে এ উৎসবের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম এমপি এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ এমপি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম বলেন, “যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সেই বাংলাদেশ হতে আজকের এই এলডিসি ক্যাটাগরি উত্তরণ -যার জন্য বাংলাদেশকে পাড়ি দিতে হয়েছে বহু চড়াই-উৎরাই। আর অর্জনের এই উপাখ্যানে মিশে আছে উন্নত ভবিষ্যত ও সমৃদ্ধি অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের অদম্য স্পৃহা।”

প্রতিমন্ত্রী এমডিজি অর্জন ও এসডিজি বাস্তবায়নসহ উন্নয়নের প্রতিটি সেক্টরে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের এই অবস্থানে আসার পেছনে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের অবদানের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের এই উত্তরণকে টেকসই করতে প্রবাসীরা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ এমপি বলেন, “এই অর্জনের অভ্যন্তরের কাহিনীতে রয়েছে বাংলাদেশের নারীরা এবং অবশ্যই তারা আগামীদিনের অর্জনেও মূল দৃশ্যপটে সামনে থাকবে।”

বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিক্রমায় এটি একটি মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার সমাজের সকলকে সাথে নিয়ে অগ্রমূখী যে উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে, এই অর্জন তারই প্রতিফলন।”

জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি), ভূ-বেষ্টিত স্বল্পোন্নত দেশ (এলএলডিসি) ও উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র (সিডস্) সংক্রান্ত কার্যালয়ের পরিচালক হেইডি ফক্স বলেন, “এলডিসি থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তিনটি ক্যাটাগরিতেই বিপুল মার্জিন নিয়ে উর্ত্তীর্ণ হয়েছে। এতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত খাতসহ বিভিন্ন খাতে অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছে। বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত প্রতিঘাত ও প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এ যেন ঘুরে দাঁড়ানোর এক সাফল্যগাঁথা।”

জাতিসংঘের মূলধন উন্নয়ন তহবিলের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি জেভিয়ার মিসিয়ন বলেন, “বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালে এলডিসিতে যোগ দিয়েছিল। সেই দিন আর আজকের মধ্যে ব্যাপক ব্যবধান। এই দেশটি সত্যিকারভাবে বিস্ময়কর অগ্রগতি সাধন করেছে। যা বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় আয়, মাথাপিছু আয়, মানব সম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সংবেদনশীলতার মধ্যে দৃশ্যমান।”

প্রবাসীদের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান এ অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। সামনের নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থীদের জয়ী করতে প্রবাসীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এ উৎসবে কাজী রোজী এমপি, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম এনডিসি, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.ফয়জুর রহমান চৌধুরী, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব কাজী মাফরূহা সুলতানাসহ চলতি সিএসডব্লিউ’র ৬২তম অধিবেশনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ ডেলিগেশনের অন্যান্য সদসরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!