স্থানীয় সময় শনিবার এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় বই ব্যবচ্ছেদ ও একুশের কবিতাপাঠ।
ভাষার মাসের তাৎপর্যকে বিবেচনায় রেখে এ মাসের জন্য নির্বাচন করা হয় ওবায়েদুল্লাহ মামুন সম্পাদিত গ্রন্থ ‘একুশের কথা একুশের চেতনা’। এই গ্রন্থে সন্নিবেশিত হয়েছে ২১ জন ভাষা সৈনিকের ২১টি প্রবন্ধ।
অনুষ্ঠানে মূল আলোচক ছিলেন কবি ও প্রাবন্ধিক কাজী জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “বাংলা ভাষার দাবিকে যারা যৌক্তিক আন্দোলনে রূপ দিয়েছিলেন, সেইসব ভাষা সৈনিকদের কলম থেকে বিভিন্ন সময়ে বেরিয়ে এসেছে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকথা, তাৎপর্যপূর্ণ প্রবন্ধ-নিবন্ধ। এমন ২১ জন ভাষা সৈনিকের লেখা একুশটি রচনা এই গ্রন্থে সন্নিবেশিত হয়েছে।”
মোরশেদুল আলম নিউ ইয়র্ক সিটির মূল স্রোতধারার ভেতরে বাংলা ভাষার একটি বুক ক্লাবের সরব অস্তিত্ব দেখে আনন্দ প্রকাশ করেন।
ফাহিম রেজা নূর পাঠকের পাতার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বলেন, “এই আয়োজন আমাদেরকে নিয়মিত ভালো ভালো বাংলা বই পড়তে উৎসাহ জোগাবে যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।”
মুক্তি জহির এ গ্রন্থের একমাত্র নারী লেখিকা সুফিয়া আহমেদের রচনাটির সূত্র টেনে বলেন, “তার প্রবন্ধটি আমাদের জানিয়ে দেয় যে ভাষা আন্দোলনে বেশ ক’জন নারী অসামান্য অবদান রাখেন, তাঁরা হলেন- লায়লা সামাদ, শামসুন নাহার, শাফিয়া খাতুন, সারাহ তৈফুর ও রওশন আরা বাচ্চু। এই নামগুলো জেনে একজন নারী হিসেবে আমি অনুপ্রাণিত বোধ করেছি।”
বই ব্যবচ্ছেদ পর্ব শেষে একুশের কবিতা আবৃত্তি করেন নজরুল কবীর, পারভীন সুলতানা, তাহরীনা প্রীতি ও শুক্লা রায়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাজিয়া নাজমী।
আগামী ২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘পাঠকের পাতা’র দ্বিতীয় বই ব্যবচ্ছেদ। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ওবায়েদুল্লাহ মামুন। ২৪ মার্চের অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার কবিতা পাঠ করবেন বাচিক শিল্পীরা।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |