বিদেশ ভালো: ভাষার দোষে লোহা ভাসে!

কবি বলেছেন- জন্ম হোক যথাতথা কর্ম হোক ভালো। কিন্তু আমার মনে হয়, জন্ম হোক যথাতথা ভাষা হোক ভালো।

রিনভি তুষার, যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2018, 09:35 AM
Updated : 19 Feb 2018, 09:35 AM

বৈদেশে কর্ম মানেই ভাষা। সোজা বাংলায়, যে দেশ সেই দেশের ভাষা।

ভাষার মাস। বাঙালির মুখের ভাষার কথা চিন্তা করলে এটা আষাঢ় মাস। তাই এই মাসে আমিও হাজির আষাঢ়ে গল্প নিয়ে। ও হ্যাঁ, আমার আষাঢ়ে গল্প ‘বিদেশ ভালো’ বই হয়ে এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এসেছে। পাওয়া যাচ্ছে বর্ষাদুপুর প্রকাশনীর ৬৪০-৬৪১ নম্বর স্টলে।

ভাষার মাসের উছিলায় আপনাদের শোনাব ভাষা নিয়ে আমার যতো ইউরোপিয়ান অভিজ্ঞতার কথা। কোন ভাষা? নিশ্চয়ই জার্মান, সাথে ইংরেজি। লিখছি কিন্তু বাংলায়।

কপিল দেবের মুখে শোনা। কপিল দেবরে একবার জরুরী তলব করা হইলো অস্ট্রেলিয়ায়। কারণ ইনজুরি রিপ্লেসমেন্ট। টেস্ট খেলতে হবে। তিনি সোজা ফ্লাইট ধরে অস্ট্রেলিয়া। সক্কাল সক্কাল হোটেলে নাস্তা খাচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ান দলের সহকারী কোচও নাস্তা খেতে এসেছেন। দেববাবুকে দেখে এগিয়ে গেলেন।

কড়া অস্ট্রেলিয়ান উচ্চারণে জিজ্ঞেস করলেন- ডু ইউ কাম হিয়ার টুডাই?

দেববাবু শুনলেন- ডু ইউ কাম হিয়ার টু ডাই?

কপিল দেব চিৎকার করে বলে উঠলেন, নাহ্‌, আমি এখানে মরতে আসি নাই। ক্রিকেট  খেলতে আসছি।

বলে রাখি, অস্ট্রেলিয়ানরা সাধারণত ইংরেজি শব্দের শেষের এ-ওয়াই’কে এ-আই উচ্চারণ করে।

এই ছিলো আর্ন্তজাতিক মানের খেলোয়াড়ের আন্তর্জাতিক ভাষাজ্ঞান। একট সময় ছিলো যখন নাকি উপমহাদেশের ইংরেজি না জানা ক্রিকেটাররা ইংরেজি জানা মেয়ে ছাড়া বিয়েই করতে চাইতেন না।

জল গড়িয়েছে অনেক। নদীতে তাই চর। ইংরেজি জানে না কিন্তু খুব ভালো খেলে, এমন খেলোয়াড়ের সংখ্যা এখনকালে খুবই কম। কী ভাবছেন? স্পোর্টস রির্পোটিং করছি? নেহ্‌..

তবে ভাষা হিসাবে ইংরেজি নিয়ে আমার অনেক উত্তেজনা ছিলো। কপিল দেব বুড়ো হয়েছেন। সময়ের সাথে উনার ইংরেজি চোস্ত হয়েছে। কিন্তু আমার বৈদেশি ভাষাজ্ঞান এখনও অস্ট্রেলিয়ার সেই হোটেলে নাস্তাই খাচ্ছে।

ব্যবহারের দিক থেকে বাংলা ভাষার চেয়ে পিছিয়ে আছে জার্মান ভাষা। জার্মান দশম আর বাংলা সপ্তম। তবে এ ভাষা শুধু জার্মানির ভাষা নয়। এ ভাষা ব্যবহার করা হয় অস্ট্রিয়া, লুক্সেমবার্গে। এমনকি খোদ ব্রাজিলে ১৫ লক্ষ জার্মান ভাষাভাষী বাস করেন।

সাধারণত যে জার্মান ভাষা জার্মানিতে ব্যবহার হয়, তাকে বলা হয় ‘হকডয়েশ্চ’। জাতীয় দৈনিক থেকে শুরু করে দাপ্তরিক কাজে ব্যবহৃত হয় এই ভাষা। এর বাইরে অঞ্চলভেদে  জার্মান ভাষার কিছু আঞ্চলিক ব্যবহার দেখা যায়।

জার্মানিতে যাবার আগে প্রথমেই যা জানলাম, তা হলো জার্মানিতে জার্মান ভাষা অবশ্যই। কোনো বিকল্প নেই। জার্মান ভাষা শেখার একটাই নির্ভেজাল সেন্টার। গ্যাটে ইন্সটিটিউট।

জ্বী না! এটা গ্যাটেও না, ইন্সটিটিউটও না। এটা হলো গয়েথে ইন্সটিটিউট।

জ্বী! এসো জার্মান শিখি।

জার্মান ভাষার সমস্তটাই একটা জটিল ধাঁধার মতো। গোটা ভাষাটাই এমন যে, কোনো বিদেশির পক্ষে এই ভাষা পুরোপুরি শেখা সম্ভব নয়। ভাষা যতই জটিল হোক, জার্মানদের নিজেদের কিন্তু বর্ণমালা নাই। ইংরেজি এবং জার্মান ভাষায় ব্যবহার করা হয় রোমান বর্ণমালা। তবে ইংরেজির চেয়ে জার্মান ভাষায় একটা কনসোনেন্ট বেশি আছে, যেটা দেখতে অনেকটা ইংরেজি বড় হাতের ‘বি’-এর মতো ß (এসসেট)।

তাছাড়া জার্মান ভাষায় কিছু উদ্ভট দর্শন মাথার উপর দুই চোখওয়ালা ভাওয়েল আছে। উনাদের বলা হয় ‘উমলাউট’।  উনারা তিন রকমের হয়ে থাকেন ä, ö এবং  ü।

তবে জার্মান ভাষাকে সবচেয়ে কঠিন করেছে তার আর্টিকেল এবং জেন্ডার। ডেফিনেট এবং ইনডেফিনেট আর্টিকেল। লিঙ্গ বা জেন্ডার হোন, তিন প্রকার- পুরুষ, স্ত্রী এবং নয়েত্রুঙ বা নিরপেক্ষ। ডেয়ার (পুরুষ) ডি (মহিলা) এবং ডাস (নিরপেক্ষ)। ডেফিনেট আর্টিকেল ডেয়ার, ডি এবং ডাস। ইনডেফিনেট আর্টিকেল হচ্ছেন ‘আইন’ এবং ‘আইনে’।

মুশকিল হলো এই ‘আইন’ একই সাথে পুরুষ এবং নিরপেক্ষ জেন্ডারের ক্ষেত্রে ব্যবহার হতে পারে। ‘আইনে’ সবসময়ই স্ত্রী লিঙ্গের জন্য ব্যবহার হয়।

জার্মান ভাষার ক্ষেত্রে কোনো কমন-সেন্স বা সূত্র কাজে আসে না। যেমন ধরেন, সূর্য কঠোর। চন্দ্র কোমল। সুতরাং সূর্যকে আমরা পুরুষ ধরে নিতে পারি। চন্দ্রকে নারী। কিন্তু জার্মানরা সূর্যের আগে বসায় ‘ডি’ (নারী বা বহুবচনের আর্টিকেল) আর চন্দ্রের আগে বসায় ‘ডেয়ার’ (পুরুষবাচক)। কী বুঝলেন?

বোঝার দরকার নাই। বাদ দেন। আপনি আর কি বুঝবেন? জার্মানিতে এত এত টার্কিশ। তারাও আজ  পর্যন্তু সবাই এই হিসাব ঠিকমতো বুঝে উঠে নাই। তাই হাটবাজারে সবাই ব্যাকরণ লজ্জা এড়ানোর জন্য অস্পষ্টভাবে বলে- দো, দো। এই দো দো দিয়েই ডেয়ার, ডি, ডাসের কাজ চালিয়ে দেয়।

এই তো গেল র্নিভেজাল ভেজাল তৈরিকারী আর্টিকেল আর জেন্ডারের কথা। এদের বর্ণমালা ইংরেজির মতো দেখতে হলেও উচ্চারণ কিন্তু আলাদা। এ-র উচ্চারণ আ, বি হলো বে, সি হলো সে, জি হলো গে, ডব্লিউ হলো ভে।

যেমন আপনি বলেন, জার্মান গাড়ির ব্র্যান্ড ভক্স ওয়াগন। জার্মান উচ্চারণ ফক্স ভাগেন। তবে বাংলা ভাষায় আমার জানা মতে সবচেয়ে বিশুদ্ধ জার্মান শব্দ হলো: কিন্ডারগার্টেন। মানে শিশুদের বাগান।

এই ‘কিন্ডার’ শব্দটা নিয়ে ইংরেজিতে একটা কৌতুকও চালু আছে। সেটা হলো, আপনি যতই কাইন্ড হোন না কেনো, জার্মান শিশুরা সবসময়ই কাইন্ডার (কিন্ডার)।

জার্মান ভাষার সাথে ইংরেজি ভাষার নাকি ব্যাপক মিল। এমনটা ভাষা পণ্ডিতরা দাবি করেন। তাদের মতে, জার্মান আর ইংরেজি ভাষা নিজেদের শব্দভাণ্ডারের ৬০ ভাগ শব্দ শেয়ার করে। এই মিলের কথা জানার পর আমার বারবার মনে হয়েছে, শিম্পাঞ্জির সাথে মানুষের ডিএনএ’র ৯৫ ভাগ মিল থাকার কথা।

মিল না ছাই! এই তো সেদিন জার্মান আর ইংরেজির একই সময়ের আলাদা মানের খপ্পরে পরে ট্রেন মিস করলাম। গচ্চা গেলো এত এত টাকা। কীভাবে?

ইংলিশ নিয়মে আড়াইটাকে বলা হয় হাফ টু বা হাফওয়ে আফটার টু। কিন্তু জার্মানরা আড়াইটাকে বলবে হাফ থ্রি। এবার বোঝা গেলো, জার্মানরা কেনো এত পাঙ্কচুয়াল?

এ তো গেলো সময় নিয়ে সংখ্যার বিভ্রাট। এবার আসি তাদের সংখ্যা উচ্চারণে। ইংরেজি এবং বাংলায় আমরা সংখ্যা মোটামুটি একই নিয়মে উচ্চারণ করি। যেমন ধরেন- বায়ান্ন, ঊনসত্তর, টুয়েন্টি ওয়ান। জার্মানরা বায়ান্না উচ্চারণ করতে গিয়ে বলবে, সোয়াই (দুই) উন্ড (এবং) ফুন্ফসিস। মানে আগে দুই পরে পঞ্চাশ।

তবে ইংরেজি ভাষাভাষীরা জার্মানদের এই নম্বরের উচ্চারণ নিয়েও কৌতুক করতে ছাড়ে নাই। এটা নিয়ে একটা গল্প আছে। গল্পটা এমন:

জার্মান ভাষায় ‘ফিয়ার’ মানে ফোর বা চার। ‘ফুনফ’ মানে ফাইভ বা পাঁচ। আর ‘সেকস’ (উচ্চারণ জেকস) মানে সিক্স বা ছয়। 

তো একবার সিগমুন্ড ফ্রয়েড সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হলো, তো ফ্রয়েড সাহেব- হোয়াটস বিটুইন দা ফিয়ার অ্যান্ড সেক্স?

উনি উত্তর দিলেন- ফুন্ফ। মানে পাঁচ। বোঝেন অবস্থা!

অবস্থা আসলে এর চেয়েও গুরুতর। আমার এক অস্ট্রেলিয়ান বান্ধবীর জীবন থেকে নেওয়া গল্প। সে গেছে নিউ ইয়র্কে বেড়াতে। রাস্তায় এক মা তার বছর পাঁচেকের ছেলেকে বলছে- ‘‘বাবু তোমার হাতের এই কাগজখানা ফেলে দাও। কারণ ইট সিমস মুশি।”

এ কথা শুনে তো আমার বান্ধবীর কর্নদ্বয় লাল। এ কি নষ্ট কথা বলছে আমেরিকান মা তার দুধের শিশুরে! পরে সে তার ভুল বুঝতে পারলো। আমেরিকান মা ‘মুশি’ বলতে বুঝিয়েছে অধিক ব্যবহারের ফলে ত্যানা ত্যানা হয়ে যাওয়া কাগজ। আর জার্মান ভাষায় ‘মুশি’ মানে ‘নারীর যোনিপথ’। এমনকি এটা এখানে গালি দেবার ক্ষেত্রেই বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে বিষয়টা ঠিক বাংলাদেশের মতো ট্যাবু টাইপ না। এটাই বাঁচোয়া।

কিছুদিন আগে বাংলাদেশের এক পত্রিকা ফরাসী স্ট্রাইকার গ্রিজম্যানের লাল কার্ড দেখা নিয়ে খবর ছেপেছিলো। তাদের ভাষায় গ্রিজম্যান রেফারিকে বলেছিলেন- ‘আপনি একটি বিড়াল।’ মানে পুসিক্যাট।

আসলে গ্রিজম্যান গালি দিয়েছিলেন, ‘ইউ আর আ পুসি।’ আর বাঙলাদেশের খবরের কাগজ বেমালুম তা চালিয়ে দিলো ‘বিড়াল’ বলে। যৌনতার বিষয়ে ট্যাবু কাটাতে এই বাঙালি বেড়ালের গলায় ঘণ্টাটা যে কে বাঁধবে?

ভাষা বিভ্রাট নিয়ে বাংলা ভাষায় তো একটা কথাই চালু আছে। ‘কারো দেশে বুলি কারো দেশে গালি।’ বিদেশে এসে ভাষার এই বিড়ম্বনায় পড়েন নাই, এমন মানুষের দেখা মেলা কঠিন।

কিন্তু ভাষার ভুলে রাজনৈতিক আশ্রয়! এমনটা জার্মানিতেই সম্ভব। কিছুদিন আগে এক চায়নিজ ট্যুরিস্ট তার ওয়ালেট হারিয়ে ফেলেছেন। গেলেন পুলিশের কাছে। জার্মান পুলিশও তার ভাষা বোঝে না। সেও বোঝে না জার্মান পুলিশরে। পুরাই ‘বোঝে না সে বোঝে না’ অবস্থা।

তারপর এই ভাষার ভুল বোঝাবুঝিতে সে আবেদন করে বসলো অ্যাসাইলামের। মানে রাজনৈতিক বা মানবিক আশ্রয়ের। আর যায় কই! পুলিশ তারে নিয়ে রেখে দিলো শেল্টার সেন্টারে। পরে ঘটনাক্রমে এক চায়নিজ দোভাষী পাওয়াতে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটে।

এতো গেলো অনিচ্ছার ভুল। কিছু ভুল জার্মান ভাষায় ইনবিল্ট। একেবারে অর্ন্তনিহিত যাকে বলে। জার্মানরা হাজার চেষ্টাতেও টিএইচ-এর যোগে ‘থ’ উচ্চারণ করতে পারে না। তারা উচ্চারণ করে ‘স’। মানে যেমন, তারা আপনারে ধন্যবাদ দিতে গিয়ে বলবে ‘স্যাংক ইউ’।

এটা নিয়ে বেশ মজার একটা বিজ্ঞাপন আছে জার্মান ভাষায়। বিজ্ঞাপনের কাহিনীটা অনেকটা এরকম-

জার্মানা কোস্টগার্ডের অফিস। সিনিয়র তার জুনিয়রকে রাতে ডিউটি বুঝিয়ে দিলেন। বলে দিলেন- ওয়্যারলেস রেডিওতে ‘মেডেই’ ‘মেডেই’ ম্যাসেজ মানেই কারো সাহায্য দরকার। তৎক্ষণাত সাহয্যের জন্য এগিয়ে যেতে হবে।

তো হঠাৎ করেই ওয়্যারলেস রেডিওতে ‘মেডেই’ ‘মেডেই’ ম্যাসেজ আসলো। জুনিয়র অফিসার সেই ম্যাসেজের জবাবও দিলো।

ওপাশ থেকে একজন খুব যায় যায় কণ্ঠে বললেন- ‘মেডেই, মেডেই ..উই নিড হেল্প। উই আর সিংকিং। উই আর সিংকিং।’

জুনিয়র অফিসারও খুব ব্যস্ত হয়ে জানতে চাইলেন- ‘হোয়াট আর ইউ সিংকিং অ্যাবাউট?’

ভাষার দোষে এভাবেই লোহার তৈরি জাহাজ ডুবে যেতে পারে। ভাবছেন জাহাজ যদি ডুবেই, তবে লেখার শিরোনাম লোহা ভাসা নিয়ে কেনো?

আপনার আশেপাশে দেখেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেন। প্রতিনিয়তই আমরা এর ওর সঙ্গদোষে লোহা হয়ে ভাসছি। ‘তোমরা’কে প্রথমে করলাম ‘তুমরা’, তারপর ‘তুম্রা’। ‘আপনারা’ হয়ে গেলো ‘আপ্নেরা’। আপনাদের আর কি বলবো, জার্মান সঙ্গে আমার THE’ও মাঝে মাঝে হয়ে যায় ‘সি’। থ্যাংকস হয়ে স্যাংকস। তারপর ভেসে থাকে সি’তে।

তবে ভাষার সাথে কেনো মায়ের মুখের ভাষার তুলনা করা হয়, তা বুঝতে হলে বিদেশ পাড়ি দিতেই হবে। বাংলা ভাষা কম্পিউটারে টাইপ করার পর মনে হয় মুক্তার মতো। বিদেশে বাংলা ভাষাভাষী পেলে অনেক তুচ্ছ বিষয় নিয়েও ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলাপ করতে ইচ্ছা করে।

সেদিন এক বাঙালি আড্ডায় গিয়ে দেখি চার-পাঁচজন বাঙালি ময়লা ফেলার বিন নিয়ে ধুন্ধুমার আড্ডা দিচ্ছেন।

রামনিধি গুপ্ত ঠিকই বলেছেন-

নানান দেশের নানান ভাষা।

বিনে স্বদেশীয় ভাষা,

পুরে কি আশা?

কত নদী সরোবর কিবা ফল চাতকীর

ধারাজল বিনা কভু

ঘুচে কি তৃষা?

লেখক: গবেষণা আর লেখালেখির চেষ্টা করেন । 

লেখকের ই-মেইল: kurchiphool@gmail.com

রিনভী তুষারের আরও লেখা

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!