স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় আইনজীবী মোহাম্মদ এন মজুমদার ও ইয়াকুব এ খান সিপিএর সার্বিক সহায়তায় এ সেমিনার থেকে অভিবাসনের মর্যাদা নিয়ে সংকটে থাকা বাংলাদেশিদের নানা পরামর্শ দেওয়া হয়।
অভিবাসন-আইনে বিশেষভাবে পারদর্শী এটর্নি ছাড়া অন্য কারও কথায় যেন নিজের বিপদ কেউ ত্বরান্বিত না করেন-সে অনুরোধও জানানো হয় সেমিনার থেকে।
ধর-পাকড় এড়াতে অভিজ্ঞ এটর্নির পরামর্শ মতো চলাফেরা করার পাশাপাশি পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারে কিংবা চলতি পথে থামাতে পারে- এমন কোনও কাজ অথবা আচরণ করা থেকেও বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় সেমিনারে।
সেমিনারে পরামর্শ দেওয়া হয়, গাড়ি চালানোর সময় ট্রাফিক আইন লংঘন করা যাবে না কিংবা সভা-সমাবেশে কোনও হাঙ্গামায় লিপ্ত হওয়াও চলবে না। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটিও পরিহার করতে হবে। অভিবাসনের এজেন্টরা দরজায় নক করলেও তা খোলা যাবে না। ভেতর থেকেই কথা বলতে হবে এবং নিযুক্ত এটর্নির পরামর্শ ব্যতিত দরজা খোলা হবে না বলে এজেন্টদের জানাতে হবে।
এ সেমিনারে প্যানেলিস্টদের মধ্যে ছিলেন এটর্নি ব্যারি সিলভারওয়াইজ, এটর্নি কেন সিলভারম্যান, এটর্নি ফেরদৌসী চৌধুরী, এটর্নি মার্ক লেভিনসন ও ইন্যুরেন্স-এক্সপার্ট শাহ নেওয়াজ।
আইনজীবী মোহাম্মদ এন মজুমদার জানান, অভিবাসনের আইন লংঘন ব্যতিত অন্য কোনও অপরাধ না করেও অসংখ্য বাংলাদেশি ডিটেনশন সেন্টারে রয়েছেন। তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
মাজেদা এ উদ্দিন জানান, গত বুধবার নিউজার্সির ব্লুমফিল্ডে নিজ কর্মস্থল থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন বাংলাদেশি আমিনুল হক। গত ১০ জানুয়ারি নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানে ফেডারেল প্লাজায় নিয়মিত হাজিরা দেওয়ার সময় গ্রেপ্তার হন জ্যামাইকার অধিবাসী কাজী আজাদ আরজু।
আমিনুল হক ২০০৪ সালে স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। এরপর এখানে তার ছোট ছেলের জন্ম হয়। আমিনুল হকের ডিপোর্টেশন অর্ডার হওয়ার পর প্রথম দফায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ২০১০ সালে। তখন ১১ মাস ডিটেনশনে কাটিয়ে মুক্তি পান তিনি।
নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকা এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী কাজী আজাদ আরজু পূর্বনির্ধারিত তারিখ গত ১০ জানুয়ারি ইমিগ্রেশন কোর্টে গিয়েছিলেন হাজিরা দিতে। সেখানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কাজী আরজু ২৫ বছর ধরে নিউ ইয়র্কে বসবাস করছেন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছে।
কাজী আরজুর স্ত্রী উম্মে হানি লুবনা জানান, ফেডারেল প্লাজায় হাজিরা দিতে গেলে ইমিগ্রেশন পুলিশ আরজুকে গ্রেপ্তার করে। দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামীর ডিপোর্টেশন অর্ডার ছিল। কিন্তু তিনি ইমিগ্রেশন কোর্টে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আসছিলেন।
এটর্নি মঈন চৌধুরী বলেছেন, “যাদের বিরুদ্ধে ডিপোর্টেশনের নির্দেশ রয়েছে, তারা যেন চলাফেরায় সতর্ক থাকেন। সব সময় যেন নিজ নিজ এটর্নির সেলফোন নম্বর সাথে রাখেন। ইমিগ্রেশন আইনে অভিজ্ঞ নন-এমন কারোর পরামর্শ মতো যেন কোনও পদক্ষেপ তারা না নেন।”
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |