স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিহত মিজানের বড় মামা মোহাম্মদ মিন্টু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার মরদেহ আটলান্টা থেকে নিউ ইয়র্ক পোঁছাবে এবং নিউ ইয়র্কে ওইদিনই কিংবা পরদিন শুক্রবার জানাজা সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয়া হবে এবং শুক্রবারেই মরদেহ দেশে পাঠাতে বিমানে উঠানো হবে।”
তবে প্রয়াত মিজানের ভগ্নিপতি মোহাম্মদ নিজাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেশে পাঠানোর আগে নিহত মিজনের জানাজা শুক্রবার জুমার নামাজের পর আটলান্টার ডোরাভিলের আত্তাকওয়া মসজিদে হওয়ার কথা ছিলো। সেটি আর সম্ভব হচ্ছে না।”
গত ৭ জানুয়ারি রাতে মেট্রো আটলান্টার শ্যাম্বলি শহরের নর্থ শ্যালোফর্ড রোডে গাড়ি চালিয়ে বাসায় ফেরার পথে অন্যদিক থেকে আসা গাড়ির সাথে মিজানের গাড়িটির সংঘর্ষ হলে গাড়িটি পার্শ্ববর্তী গাছের সাথে ধাক্কা খায়। এতে গাড়িটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন মিজান।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী মিজানের গাড়িতে বসা অপর আরোহী বন্ধু এক শ্বেতাঙ্গ যুবককেও আশংকাজনক অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে করে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
বাবা আব্দুল লতিফ সরকার ও মা রেহানা আকতার ১৯৯৬ সালে লটারি ভিসায় অভিবাসী হয়ে আমেরিকায় এসেছিলেন, তবে তারা কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে ফিরে যান এবং বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করছেন।
মোহাম্মদ মিন্টু নিউইয়র্ক থেকেই আটলান্টার ডিকাব কাউন্টির পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়াটি যথাযথভাবে সম্পন্ন করার পর তা এয়ারপোর্ট সংলগ্ন একটি ফিউনারেল হোমে রাখার ব্যবস্থা করেন।
এদিকে প্রয়াত মিজানের মরদেহের সাথে ছোট ভাই আরিফ নিউ ইয়র্ক হয়ে এবং অন্যান্য দুই বোন ও ভগ্নিপতি আটলান্টা থেকে সরাসরি বাংলাদেশে যাচ্ছেন দাফন ও দোয়া মাহফিলে যোগদানের উদ্দেশে।
প্রয়াত মিজানের দাফন তার পৈত্রিক নিবাস নোয়াখালী জেলার চাটখিলে সম্পন্ন করা হবে বলে জানানো হয়েছে পরিবার থেকে।
প্রয়াত মিজানের চাচা চাটখিলের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিমও এই আকস্মিক মৃত্যুর খবরে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন বলে মামা মিন্টু জানান। তার তত্ত্বাবধানে গ্রামের বাড়ি চাটখিলে দাফনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |