‘উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকলে অর্জন সম্ভব’

বাবা রেস্তোরাঁয় কাজ করলেও তার স্বপ্নপূরণে নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষা দিয়ে বর্তমান অবস্থানে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রথম ব্রিটিশ বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত বিচারপতি আখলাকুর রহমান চৌধুরী।

সৈয়দ নাহাস পাশা যুক্তরাজ্য প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2017, 12:34 PM
Updated : 12 Dec 2017, 12:34 PM

সোমবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আইনজীবিদের সংগঠন ‘ব্রিটিশ বাংলাদেশি সোসাইটি অব সলিসিটরস’ (এসবিবিএস) এর বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমার বাবা রেস্টুরেন্টের একজন ‘ওয়েটার’ ছিলেন। তার ছিলো বিশাল স্বপ্ন, ছেলে একদিন বিচারপতি হবে। অনেক বছর এ স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে গেছে। তবে আমি জানতাম, স্বপ্ন ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকলে তা অর্জন করা অসম্ভব কিছু নয়।

“২৫ বছর আগে আমি যখন আইনজীবীদের সংগঠনে যোগ দেই তখন হাই কোর্টের একজন বিচারক হওয়া ছিল দুঃসাধ্য, অসম্ভব। কমিউনিটির সাধারণ অনেকের মতোই ছিল আমার অবস্থান।”

তার বিচারপতি নিয়োগের কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে আখলাকুর রহমান বলেন, “মেধার মূল্যায়ন সম্পর্কে ব্রিটিশ সিস্টেমের উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা ছিল। এর উপর ভিত্তি করেই আমি প্রথমে রেকর্ডার, কিউসি, ডেপুটি হাই কোর্ট জাজ এবং হাই কোর্ট জাস্টিসের আবেদন করি।”

আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফ উদ্দিন খালেদের পরিচালনায় বার্ষিক সাধারণ সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির সভাপতি এহসানুল হক।

সভায় ব্রিটিশ বাংলাদেশি প্রথম নারী বিচারপতি স্বপ্না খাতুন তার বিচারক নিয়োগ হওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, “আমার জন্ম হয়েছে বাংলাদেশে। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাবা-মার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে আসি।”

‘ব্রিটিশ ল সোসাইটি’র সভাপতি জো ইগান বলেন, “একজন অভিবাসীর সন্তান হিসাবে আমিও আপনাদের কমিউনিটির বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারি, যারা উন্নত জীবনযাপনের জন্য এদেশে এসেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশি আইনজীবীরা সমাজে বিশেষ অবদান রাখছেন। তারা আইন সমিতিতে জাতিগত বিচিত্রতা কৌশল উন্নয়নে সহযোগিতা করছেন।”

সভায় আরও বক্তব্য দেন- বেলায়েত হোসেন, মাসুদ ইকবাল, টনি বালড্রি, জেইন ম্যালকম ও এনাম আলী।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!