স্থানীয় সময় সোমবার রাতে নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রুকলিনে নিউ ইয়র্ক বিএনপির উদ্যোগে ‘বিজয় দিবস’কে সামনে রেখে রাজনীতি বিষয়ক এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী সম্রাট।
বাংলাদেশি অধ্যুষিত চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড এলাকার গ্রিনহাউজ রেস্তোরাঁয় আয়োজিত ওই সভায় তিনি বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে জিয়া পরিবারের কোনও সম্পদের অস্তিত্ব নেই। সামনের নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এমন আজগুবি তথ্য প্রচার করছে ক্ষমতাসীনরা। এমন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রবাসীদেরকেও রুখে দাঁড়াতে হবে।”
রোববার স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “সৌদি আরবে খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের দুর্নীতির খবর বেরিয়ে গেছে, আর সেটা নিয়ে তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। কী করে এই দায় এড়াবে?”
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল লতিফ সম্রাট বলেন, “আবারও ভোটারবিহীন নির্বাচনের চেষ্টা চালাচ্ছে আওয়ামী-বাকশালীরা। কিন্তু বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে উজ্জীবিত প্রবাসীরা তা হতে দেবে না। প্রবাস থেকেই ক্ষমতাসীন সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত জোরদার করা হবে।’
সংগঠনের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নূরনবী কর্তৃক কোরআন থেকে পাঠের পর ব্রুকলিন বিএনপির উপদেষ্টা আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এসময় খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনাও করা হয়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক গিয়াস আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি আলহাজ্ব বাবরউদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সভাপতি আলহাজ্ব আবু তাহের, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক এম এ বাতিন, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জনি, ব্রুকলীন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হুমায়ূন কবীর, সন্দ্বীপ উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ এবং সেক্রেটারি এস এম ফেরদৌস, বিএনপি নেতা মার্শাল মুরাদ প্রমুখ।
গিয়াস আহমেদ বলেন, “অপকর্মের পালা অনেক ভারী হওয়ায় শেখ হাসিনা এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা বিএনপির বিরুদ্ধে লাগাতার অপপ্রচার শুরু করেছে। কিন্তু কোনটিই ভোটের হিসাবে হেরফের করতে পারবে না।”
বাবরউদ্দিন বলেন, ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী সময়ের তথাকথিত কেয়ারটেকার সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন রচিত হয়েছিল এই নিউ ইয়র্ক থেকে। ঠিক তারই পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকেও হঠাতে হবে গণতান্ত্রিক পন্থায়।
এম এ বাতিন বলেন, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের বিকল্প নেই। এবারের বিজয় দিবসে সে সংকল্পই গ্রহণ করতে হবে প্রতিটি প্রবাসীকে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া স্বত্তেও অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মীরা যোগ দেন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |