নিউ ইয়র্ক মহানগর আ.লীগের ‘আনন্দ সমাবেশ’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো ‘মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ যুক্ত করায় যুক্তরাষ্ট্রে আনন্দ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের নিউ মেজবান পার্টি হলে এ সমাবেশ করে নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ।

নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূরল আমিন বাবু ও যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় ৭ মার্চের প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক শিবলী সাদিক শিবলু।

একাত্তরের ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাষণকে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে ‘মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ যুক্ত করার প্রেক্ষিতে এ আনন্দ সমাবেশ করে সংগঠনটি।

‘৭ মার্চকে বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৃঙ্খল মুক্তির দিক-নির্দেশনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানানো হয় এ ‘আনন্দ সমাবেশ’ থেকে।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “বাঙালি জাতির ঐতিহ্যকে মহিমান্বিত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবদান ক্রমান্বয়ে উদ্ভাসিত হচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্ব-গুণের কথা এখন গোটা বিশ্ব অবলীলায় স্মরণ করছে। বাঙালি হিসেবে এসব কর্মকাণ্ড আমাদেরকেও গৌরবান্বিত করবে সারাটি জীবন।”

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, “সামনে নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটি প্রবাসীকে কাজ করতে হবে। এলাকার লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্যে।”

এ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান ও আব্দুল হাসিব মামুন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম, শিল্প সম্পাদক মিসবাহ আহমেদ, উপ-প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো.আব্দুল কাদের মিয়া, আবুল হুসেন ও মাসুদ হুসেন সিরাজি।

নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মিসবাহ আবদীন, নান্টু মিয়া, জাফর আহমেদ ও যুবলীগের সেবুল মিয়া।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [e-mail]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!