বিদেশ ভালো: দ্বীপ, জল, পাহাড় আর একটি ক্যান্সার আক্রান্ত কুকুর

আমি নাকি ছেলে হিসাবে ভালো। শুধু মাঝে মাঝে পেঁয়াজ খাবার বদলে লেখালেখি করি। এখন তো মাঝে মাঝে না, লম্বা লম্বা বিরতি নিয়ে- তারপর লিখি। যা মনে আসে তাই লিখি।

রিনভী তুষার, লন্ডন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Nov 2017, 04:30 AM
Updated : 7 Nov 2017, 05:15 AM

কিন্তু  ইদানিং আমি ‘ভোজনং যত্রতত্র, শয়নং হট্ট মন্দির’। তাই লিখিবার জন্য দু-দণ্ড আশ্রয় এবং বনলতা সেনের খোঁজে পাড়ি দিলাম এক দ্বীপে।

এই দ্বীপকে একটা আলাদা দেশ বলা যেতে পারে। চারিপাশে জল। অতল। সাগরের নীল। শঙ্খচিল। রাতে তারা ঝিলমিল। দ্বীপের নাম ‘আইল অব ওয়াইট’। যুক্তরাজ্যের দক্ষিণের এই দ্বীপে যেতে ভিসা লাগে না। লাগে মন আর সময়।

একদিন সারাদিন দ্বীপে কাটাবেন। তারপর ফিরে যাবেন? আনন্দ পাবেন। এমনটা ভাবলে এক কৌটা কনডেন্সড মিল্ক কিনুন। সেটা গোল করে কাটুন। বৃদ্ধাঙ্গুলি চুবিয়ে দিন। চুষতে থাকুন। খালি চুষে তো আর মজা পাবেন না... তাই এই ট্রিক্স।

যা বলছিলাম। দ্বীপটা কোথায়?

-গুগল করে জেনে নিন।

পয়সা কেমন লাগে?

-ওরা পয়সা নেয় না। নেয় পাউন্ড। সো...

সস্তায় দ্বীপে যেতে ভালোই বায়ান্নকা করতে হয়। গাড়িতে সোজা। গাড়ি চালিয়ে তারপর ফেরি। তারপরই দ্বীপ। প্লেন যায়। কিন্তু উড়ে উড়ে দ্বীপে যাবার অধিকার একমাত্র আছে পাখির। সো, নো মানুষ। সেরা উপায় বাস। তারপর হোভার বোট। অথবা ক্যাটামারান (বড় স্পিডবোট)।

আমার বহুদিনের শখ হোভার বোটে চড়বার। গেলাম, কিন্তু বিধি মধ্যমা। সাগর উত্তাল। নো হোভার বোট- ক্যাটামারান। মনে মনে ভাবলাম এ আর কী উত্তাল। তিন নম্বর সিগনালে সেন্ট মার্টিন যাওয়া লোক আমি। কিন্তু ক্যাটামারান-এ চড়ার পর বুঝলাম, উত্তাল সাগর কতো  প্রকার ও কী কী!

সকাল থেকে এই পর্যন্ত  কী কী খেয়েছি, সবই যেনো সাগরের দেখা চাই। ক্যাটামারানকে মনে হচ্ছিলো উড়ন্ত জাহাজ। খুব বেশিক্ষণ এসব সহ্য করতে হলো না। পৌঁছে গেলাম। পৌঁছেই চড়লাম মধ্য যুগের ট্রেনে। এমন ট্রেন বাংলাদেশকে বিনা পয়সায় দিলেও নেবার কথা না। কিন্তু ট্রেনটি এখানকার  জীবনের অংশ। দ্বীপের মানুষের ধীর স্থির জীবনের সাথেও বেশ যায়।

বেশকিছু দিন থাকবো। তাই একটা ইংলিশ ফ্যামিলির সাথে উঠে পড়লাম। এখানে এ সেবাকে বলা হয় ‘বেড অ্যান্ড ব্রেকফাস্ট’। এসব বাসা ‘মাইন্ড ইউর ওউন বিজনেস’ নীতিতে চলে। কিন্তু হাজার হলেও বাঙালির রক্ত। জানিবে। জানাবে। বলিবে। বলাবে। না কহিলে কথা, ধরিয়া কেলাবে।

 তোমরা কি এতো বড় বাড়িতে দু’জনই থাকো?

- নাহ চারজন।

- চারজন?

- হুমম।

কিন্তু এখানে তো দু’জন। তুমি আর মাইক।

  • নাহ সাশা আর পপি।

উনারা দু’জন কুকুর। সাশা বয়সের ভারে প্রায় অন্ধ। সাশা এই আছে, এই নাই। কিছুদূর হাঁটার পর বৃদ্ধ মানুষের মতো বসে পড়ে। অনেক অনুরোধের পর সে উঠে দাঁড়ায়। কুকুরও যে মানুষ, আমার জানা হলো।

কোথাও বেড়াতে গেলে আমার সকাল হয় দুপুর নাগাদ। তারপর খেয়ে-দেয়ে গড়াতে গড়াতে গভীর রাত পর্যন্ত গ্লাসের জলে সাঁতরানো। এটা তো দ্বীপ। মনে হচ্ছিলো, গোটা দ্বীপে যতো লোক থাকে, তারচেয়ে বেশি লোক থাকে বিআরটিসির দোতলা বাসে।

মাইলের পর মাইল হাঁটলেও মানুষের দেখা মেলে না। একমাত্র গ্রীষ্মকালে এই চেহারা বদলে যায়। যুক্তরাজ্যের অন্যতম সেরা হলিডে ডেস্টিনেশন এই ‘আইল অব ওয়াইট’। এই দ্বীপের আরেক নাম ডাইনোসোর দ্বীপ। এখানে মিলছে ডাইনোসরের ফসিল। দল বেঁধে ঘুরতে গেলেন। সাথে নিলেন শাবল, কোঁদাল। নিয়ে ফিরলেন কেজি খানেক ডাইনোসরের কঙ্কাল। তারপর সে হাড্ডি বেচে.. কাড়ি কাড়ি টাকা। ভাবতে পারেন? ভাবতেই আমার হাড্ডিতে হাড্ডাহাড্ডি হচ্ছে।

এই দ্বীপের ইতিহাস মোটামুটি পুরোটা জানা গেলেও ঠিক কীভাবে এই দ্বীপের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা, তা এখনও  অজানা।

এই দ্বীপের ইতিহাস লিখতে গেলে লিখতে হবে নিওলিথিক, ব্রোঞ্জ যুগ হতে। এমনিতেই মানুষ আমার লেখা পড়ে না। তারপর এসব খটমট ইতিহাস গেলাতে গেলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম আর লেখাই ছাপাবে না। তাই ভ-তে ভিন্ন। গ-তে গল্প।

তবে ইতিহাস সবসময়ই মধুর। আপনি জানেন, এই দ্বীপে ছিলো ভাইকিংদের শীতকালের আশ্রয়! এই দ্বীপের আছে সংগ্রামের মহা-ইতিহাস। ফ্রেঞ্চরা একবার এই দ্বীপ দখল করতে এসে নাকানি-চুবানি খেয়ে ছিলো লোকালদের হাতে।

১৯৭০ সালে জিমি হেনড্রিক্স শেষবারের মতো কনর্সাটে গেয়েছিলেন এই দ্বীপে। আনুমানিক প্রায় ছয় লাখ লোক জড়ো হয়েছিলো সেদিন। অনেকদিন বন্ধ থাকার পর ২০০২ সাল হতে এই রক ফেস্টিভাল আবার চালু হয়েছে দ্বীপে। এখন এই রক ফেস্ট এই দ্বীপে নিয়মিত হয়।

দ্বীপের যোগাযোগ  ব্যবস্থা বেশ উন্নত। কিন্তু একটু ব্যয়বহুল। বাস ভাড়া বেশ চড়া। তবে ঘুরতে হলে গাড়ি না থাকলে বাসই ভরসা। সাত দিনে ২৪ পাউন্ড। তাই যতোক্ষণ বাস, ততোক্ষণ আশ। আই মিন, দিনের বেলা বাসেই ঘরবাড়ি। গোটা দ্বীপ এতোবার বাসে করে চক্কর দিয়েছি যে বাস ড্রাইভারদের সাথেও বেশ খাতির হয়ে গিয়েছিলো।

দ্বীপের চিপাচাপায় অনেক চমকপ্রদ বিষয় লুকানো আছে। আছে অসব্রন হাউস। এই প্যালেসে কুইন ভিক্টোরিয়া আর প্রিন্স আলবার্ট তার নয় সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। এই প্যালেসে ঢুকতে হলে কিছু নগদ গুণতে  হবে। ভাবতে ভালোই লাগে, আমাদের নগদের জন্য রাণীর কুঠির আজ সেজেগুঁজে থাকে। এই দ্বীপে রাণী ছিলো, তাই দুর্গ থাকাও স্বাভাবিক। আছেও। নিডলস ওল্ড ব্যাটারি। আছে ক্যারিসব্রুক ক্যাসল।

দ্বীপের অনেক আর্কষণের একটা হলো ‘রোমান ভিলা’। ১৮৭৯ সালে এক কৃষক ভুল করে একটা মোজাইক করা ফ্লোর আবিষ্কার করেন। পরে জানা গেলো, এখানে রোমানরা ছিলো। এই স্মৃতিই সবচেয়ে তরতাজা রোমান স্মৃতি গোটা যুক্তরাজ্যে।

এইসব তথ্য দিতে গেলে আমার সারা শরীরে খুব অদ্ভুত রকমের চুলকানি শুরু হয়। দ্বীপে যা আছে, তা তো আছেই। উড়ে তো আর যাচ্ছে না। কিন্তু এতো এতো পুরনো এক দ্বীপ। এই দ্বীপের মানুষের জীবন.. জীবনানন্দ দাশের কবিতার সেই ‘ধীরে’ শুয়ে ঘুমানোর এক পেলব অনুভূতি লুকিয়ে আছে এই দ্বীপে। খুঁজলেই দেখা মিলে।

শুধু দর্শনে তো আর পেট ভরে না। এমন দ্বীপে গিয়ে কী খায় মানুষ? মাছ, মাছ এবং মাছ। কিন্তু মাছের পাশাপাশি আমি খেলাম মৎস্য জ্ঞান। ঠিক করেছি, মাছ ভেজে খাবো যতোদিন আছি। কারণ? নিজের রান্না নিজেকেই করতে হয়। তাই গেলাম মাছ খুঁজতে। কিনবো। কিন্তু আমাকে মাছ রীতিমতো ধরতে হলো।

মাছ কই পাবো?

-কি মাছ?

- এই সামুদ্রিক।

- এখানে তো সবই সামুদ্রিক। চাষের নাকি ওয়াইল্ড?

- মাছ আবার বনে থাকে কবে থেকে?

- মানে?

- নাহ মানে দুটোই।

- এখানেই একটা ফিশ মঙ্গার আছে। যাও কিনে খাও।

মৎস্য মারিবো (কিনিবো) খাইবো সুখে, কি আনন্দে লাগছে বুকে! সত্যি সত্যি এই গান গলা ছেড়ে বের হয়ে এলো। গেলাম সেই জেলের কাছে। একবিংশ শতাব্দীর জেলে। স্মার্ট। ড্যাশিং। বললাম- বুন্ডু, কিছু বন্যপ্রজাতীর মাছ দাও। ফ্রেশ। সে হাসলো।

- গোপাল, বন্যমাছ আর নাই।

- স্যামন?

- স্যামন আছে। চাষের।

- বন্য কই পাবো?

- পাবা না। কারণ, এই সময় বন্য স্যামন ধরা যায় না। আর এই এলাকায় খুব কম মানুষেরই বন্য স্যামন ধরার লাইসেন্স আছে। যাদের আছে তাদেরও ধরতে হয় বড়শিতে। তারা সেটা নিজেরা খাবে, না তোমারে দিবে? এখন বন্য মাছ পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

-এই যে রেইনবো ট্রাউট। এটা?

  • এটারে বন্য ভাবতে পারো। নদীতে চাষ করা মাছ।

-  একটাও বন্য মাছ নাই?

- আছে ম্যাকারেল। ম্যাকারেল নিয়ে যাও।

মাছ কিনতে এসে মাছের জ্ঞানে নুয়ে পড়লাম। তারপর, বন্য সব মাছের জন্য ‘মাছের মায়ের মতো পুত্র শোক’ করতে করতে রেইনবো ট্রাউট আর ম্যাকারেল লোকাল টেসকো থেকে কিনে ফেললাম। দামও কম।

অতঃপর আমি টেসকো থেকে মাছ কিনে খুশিতে বেলুন হয়ে উড়ে এলাম ঘরে। ঘরে ঢুকতে আমার একটু সময় ভয় করে। কারণ সাশা। উনি সজোরে চিৎকার করে ওঠেন। কখনো কখনো তেড়ে আসেন। বৃদ্ধ বয়সেও উনার এমন অহেতুক তেজ...!

তবে মজার ব্যক্তিত্ব পপির। উনি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং বাইরে থেকে আসার পর  ‘লেগশেক’ করেন। মানে, উনার সামনের পা-খানা আমার পায়ে তুলে দেন। পপির মালিক কেরির ভাষায় এভাবেই পপি ‘হ্যালো’ বলে।

পপি। উনি একজন সসেজ ডগ। আসল নামটা জার্মান। ডাকসহুন্ড। জার্মানিতে ষোলোশ’ সালের কোনো এক সময়ে উনার পূর্বপুরুষ-নারীদের জন্ম দেবার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পপি একজন টারশিয়ারি স্তরের খাদক। উনি সবই খান। এমনকি ফেলে দেওয়া কিচেন টিস্যুও।

ভাবলাম সবাই মিলে মাছ খাবো। কিন্তু বাড়ির মালিক সবাইকে মাছ দিতে চান না। বিশেষ করে পপিকে। জানি না কেন! আমার বেশ মায়া হলো। লুকিয়ে লুকিয়ে পপিকে একটু মাছ খেতে দিলাম।

কিন্তু পপির সমন্ধে এরপর যা শুনলাম, তা শুনে মনো হলো এটা অন্যায় হয়েছে। পপির লিভার ক্যান্সার। পপি একজন উদ্ধার পাওয়া কুকুর। উনি থাকতেন এক অতি বুড়ো দম্পতির সাথে। সেই দম্পতি ভুলেই গিয়েছিলেন যে পপি একজন কুকুর।

পপিকে মানুষের মতো করে খাইয়েছিলেন। এতে করে সসেজ সাইজের পপির পেট ফুলতে ফুলতে লেগে যেতো ফ্লোরে। সেই পেট ঘঁষায় ঘঁষায় ঘা হয়ে বিচ্ছিরি অবস্থা। কেরির হাতে পরে পপি ফিরে পেয়েছে তার কুকুর জীবন। নিয়ম করে খাওয়া। হাঁটতে যাওয়া। নিয়ম করে ডাক্তার দেখানো, এভাবেই চলছে জীবন।

পপি যেন ঠিক মানুষের মতো। ঝড়ের রাত। টয়লেটের বেগ পেতেই বাগানে যাবার দরজা খুলে দেওয়া হলো। দরজা খোলা রাখতে হলো না। প্রকৃতির ডাক সেরে সে নিজেই দরজা নক করতে শুরু করলো। দরজা খুলতেই চুপচাপ পা মুছে ঘরে।

দ্বীপে ঘোরা নিয়ে আমার একদমই  তাড়া ছিলো না । অনেকদিন ছিলাম দ্বীপে। ঘুরতে ঘুরতে সেখানে আবিষ্কার হলো বিশাল বিশাল ফুলকপির ক্ষেত। কঠিন ব্যস্ত রাস্তাঘাট। বানরের স্বর্গরাজ্য। টটল্যান্ড, কোউস, ইস্ট কোউস, নিউপোর্ট, বেমব্রিজ, স্যাংকলিন, ভেনটর, স্যানডাউন, ব্রাইটস্টোন, ফ্রেশওয়াটার, ইয়ারমাউথ, রাইড সব ঘুরলাম। আলসেমিও করলাম। এখানে চাইলেই নৌকা ঘরে থাকা যায়। ভরা গ্রীষ্মে  সাধারণত নৌকা ঘর ভাড়া দেওয়া হয়। পরের বার গিয়ে থাকবো।

ঘর মানেই ফেরা। ফিরবো তবে হোভারবোটে। মহা উত্তেজনা নিয়ে হোভারবোটে চড়লাম। নিয়ম ভেঙে কাছ থেকে ছবিও ওঠালাম। হোভারবোটে ওঠার আগে চোখ আটকে গেলো ‘রাইড পিয়ার’-এ। যাকে আমাদের ভাষায় আমরা বলি ‘ঘাট’। এই ঘাট ব্রিটেনে প্রাচীনতম। দৈর্ঘ্যে দ্বিতীয়। যদিও ঘাটের অবস্থা মরমর। তাই পাশেই নুতন ঘাট বানানো হয়েছে।

হোভার বোটের জার্নি মোটেও আনন্দের ছিলো না। এই বোট খুবই দ্রুত গতির। চোখের পলকে মূল ব্রিটেনে এনে ফেললো। সূর্য তখনও দ্বীপের পার থেকে মায়াবী আলোয় ডেকে যাচ্ছে।

কী ফেলে এলাম মনে করতেই ভেসে উঠলো পপির সেই নিষ্পাপ চোখ। আবার দেখা হবে? ভাবলাম হবে নিশ্চয়ই।

কিছুদিন আগে জানলাম, পপি মারা গেছে। আর দেখা হবে না। হবে না ‘লেগশ্যাক’। পপি  একটা সামান্য কুকুর। অথচ এই কুকুরের জন্য কয়েকটা লাইন লিখতে গিয়ে হাত ধরে আসছিলো। থমকে ছিলাম।

এ যদি হয় মানুষ জন্মের দায়, তবে তো তা মহামারি হয়ে সবার মাঝেই আছে। বেশি বা কম। এই দায় চুকালেই তো মানুষের জীবনযাপন করা যায়।

পপির শোকে মাঝে মাঝে জীবনানন্দ দাশের এই কবিতার কিছু লাইন মনে উঁকি দেয়:

‘কবেকার মৃত কাক: পৃথিবীর পথে আজ নাই সে তো আর;

তবুও সে ম্লান জানালার পাশে উড়ে আসে নীরব সোহাগে

মলিন পাখনা তার খড়ের চালের হিম শিশিরে মাখায়;

তখন এ পৃথিবীতে কোনো পাখি জেগে এসে বসেনি শাখায়;

পৃথবিীও নাই আর; দাঁড়কাক একা-একা সারারাত জাগে;

কিবা হায়, আসে যায়, তারে যদি কোনোদিন না পাই আবার।’ 

ছবি: রিনভী তুষার

লেখক: গবেষণা আর লেখালেখির চেষ্টা করেন । 

ই-মেইল: kurchiphool@gmail.com

রিনভী তুষারের আরও লেখা

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!