সুপার সাকিব: দেশের জন্য খেলেন, না নিজের জন্য?

একবার ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেল সোনারগাঁও থেকে একটা অনুষ্ঠান শেষে বের হয়ে আসছিলাম। লবিতে দেখা হয়ে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যদের সাথে।

শামীম আল আমিন, যুক্তরাষ্ট্র থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2017, 07:42 AM
Updated : 24 Oct 2017, 07:42 AM

কী একটা আন্তর্জাতিক সিরিজ চলছিল তখন। মাঠে অনুশীলন শেষে হোটেলে ফিরেছে তারা। আমার সাথে ছিলো শিশু কন্যা অপর্ণা ইবনাত আমিন। তখন আমার বাড়ানো হাত ধরে চেনা ভঙ্গিতে করমর্দন করলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ছোট্ট কুশলাদির পরে চলে গেলেন তিনি।

মাশরাফির পেছনেই ছিলেন সাকিব আল হাসান। হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললাম, “আমার নাম শামীম।” সাকিব হেসে বললেন, “আমি আপনাকে চিনি। আপনি একাত্তর টিভিতে টক শো করেন।” ব্যস, ওই ওইটুকুই।

পুরো জীবনের গল্পের রসদ পেয়ে গেল আমার বাচ্চাটা। স্কুলে গিয়ে মোটামুটি সবাইকে সে জানিয়ে দিলো, “জানো, সাকিব আল হাসান আমার বাবাকে চেনে।”

শুধু তাই নয়, আমার মনে পড়ে আরও অনেক জায়গায় এই গল্পটা বলেছে অপর্ণা। কারণ তার মতো ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে বাংলার সর্বস্তরের মানুষের কাছে অনেক বড় এক নায়কের নাম ‘সাকিব আল হাসান’।

বিশ্ব ক্রিকেটের বরপুত্র বলতে একসময় শচিন টেন্ডুলকারকে জানতাম আমি। এখন মনে করি, এই আসনটি আমাদের সাকিব আল হাসানের। ব্যক্তিগত এই মতের সাথে, কারো দ্বিমত থাকতে পারে। কিন্তু সাকিবের উজ্জ্বল উপস্থিতি নিয়ে কেউ বিতর্ক করবেন, এটা আমি মনে করি না।

যাই হোক, সাকিবকে যতোটা দেখেছি দূর থেকেই। তারাদের তারা তিনি। ক্রিকেট পাগল হিসেবে বাংলাদেশের সব খেলার দর্শক হয়ে যাই আমি। সুযোগ পেলে, সেটা মাঠে গিয়ে। দেশের বাইরে গিয়েও অনেকবার খেলা দেখেছি। ভালো লাগে।

দেশ-বিদেশে সবসময়ই গ্যালারির জনসমুদ্রে নিজেকে মিশিয়ে দিতে বেশ লাগে। ‘বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ’ ধ্বনি উঠে কোথায় যেন মিলিয়ে যায়। আবার ওঠে গর্জন। হার-জিত যাই হোক, আছি দেশের সাথে। খেলার মাঠে বোলার, ফিল্ডার কিংবা ব্যাটসম্যান, যে দায়িত্বেই সাকিবকে দেখি না কেনো, পুরো সময়টা হয়ে ওঠে উপভোগ্য।

মাঠের বাইরের সাকিব নাকি বেজায় রাগী, মেজাজও নাকি ধরে রাখতে পারেন না। মানুষের সাথে আন্তরিকতা নিয়ে কথাও বলেন না, বিরক্ত হন। প্রায়ই এমন কথা শুনতে হয় তাকে নিয়ে। কিন্তু আমার তাতে কিছু আসে যায় না। আমি দেখি, দেশের হয়ে কাজটা তিনি করতে পারছেন কিনা, করছেন কিনা। আর সেই কাজে তার সফলতা নিয়ে নিশ্চয়ই কারো মনে কোনো প্রশ্ন নেই।

সাংবাদিকতার কারণে দেশ-বিদেশের অনেক খ্যাতিমান মানুষকে কাছ থেকে দেখা ও সাক্ষাৎকার নেওয়ার সুযোগ হয়েছে আমার। তবে যেহেতু খেলাধুলা নিয়ে কাজ করি না, তাই খেলোয়াড়রা সবসময়ই আমার কাছে দূরের মানুষ। তবে একাত্তর জার্নালে কখনো খেলাধুলা নিয়ে আলোচনা হলে খেলোয়াড়রাও অতিথি হতেন। কিন্তু আমার অতিথির সেই তালিকায় কখনোই সাকিব আল হাসান ছিলেন না।

অবশেষে সেই সুযোগ হলো। তাও দেশের বাইরে এসে। প্রবাসী সাংবাদিকের তকমা গায়ে মেখে। চলতি বছরের অগাস্টে নিউ ইয়র্কে এসেছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

সুধীজনদের সাথে সাকিবের একটি আড্ডার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে আমন্ত্রিত হিসেবে সাকিবের প্রতি আমার প্রশ্ন ছিলো, খেলায় বাংলাদেশ ভালো করলে পুরো বাংলাদেশ আনন্দ জোয়ারে ভেসে যায়। কিন্তু খারাপ খেললে, হেরে গেলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা নিয়ে সাকিবের প্রতিক্রিয়া কী?

স্মিত হেসে তিনি বললেন, “আমাদের প্রতি প্রত্যাশা থেকেই মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখায়। এতে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই। তাছাড়া আমাদেরকে যে ভীষণরকম সাপোর্ট তারা দেন, তাতে রেজাল্ট খারাপ হয়ে গেলে দেশের মানুষ কষ্ট পান। আমরা স্বাভাবিকভাবেই নেই।”

পাশ থেকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, “বলা হয়, আপনি খুবই রাগী। মেজাজি। এ নিয়ে আপনি কী বলবেন?” এমন প্রশ্নে লজ্জিত ভঙ্গিতে হেসে বললেন, “আপনারাই এটা বলেন। সাংবাদিকদের কেউ কেউ বলে। হয়তো তারাই উত্তর দিতে পারবেন। আমার এমনটা মনে হয় না। তাছাড়া আমার পরিবারের কেউ তো বলে না।”

এভাবেই সাকিব আল হাসানকে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন অতিথিরা। এরপর ছবি তোলার পালা। এক পর্যায়ে আমি সাকিবের হাতে তুলে দিলাম আমার লেখা ভ্রমণ উপন্যাস ‘তাসমান পাড়ে ভালোবাসার উৎসব’।

২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা দেখতে গিয়েছিলাম অস্ট্রেলিয়ায়। সেই টুর্নামেন্টেই মূলত বাংলাদেশ হয়ে ওঠে বিশ্ব ক্রিকেটে সমীহ জাগানো দল। সেই জেগে ওঠা এবং দলের প্রতি প্রবাসীদের ভালোবাসা নিয়ে লিখেছিলাম ভ্রমণ উপন্যাস ‘তাসমান পাড়ে ভালোবাসার উৎসব’। প্রকাশ করেছে দেশের অন্যতম প্রকাশনা সংস্থা ‘অন্যপ্রকাশ’।

বইটি উৎসর্গ করা হয়েছিল সেই বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ দলের সদস্যদের। নিউ ইয়র্কে এবার সেই বইটাই তুলে দেওয়ার সুযোগ হলো সাকিবের হাতে। তখন সাকিবকে আমন্ত্রণ জানালাম আমার অফিসে আসার জন্যে। টিবিএন২৪ টেলিভিশনের কথাও কিছুটা জানানোর সুযোগ হলো। অপ্রত্যাশিতভাবে তিনি রাজিও হয়ে গেলেন। পরেরদিন সন্ধ্যা ৬টায় আসবেন, এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমি বিদায় নিলাম।

কথা রাখলেন সাকিব। সত্যিই চলে এলেন তিনি। টিবিএন২৪ টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ, কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে এক ধরনের চাঞ্চল্য দেখা গেল। অনেকে খবর পেয়ে চলে এসেছেন। সাকিবের সাথে একটু কথা বলতে, ছবি তুলতে।

সামনে ঈদ ছিলো। আমাদের উদ্দেশ্য সাকিবের একটা সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠান করা। কিন্তু তিনি বলে দিয়েছেন, বড় জোর ২০-২৫ মিনিট থাকবেন। এমন তারকার ব্যস্ততা থাকবে, এমনটাই স্বাভাবিক। সময় খরচা না করে দ্রুত শুরু করলাম। এবার আমার সুযোগ হলো সাকিব আল হাসানের সাক্ষাৎকার নেওয়ার। অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হলো ‘সুপার সাকিব’।

“আপনি সাকিব আল হাসান। কিন্তু সাকিব না হয়ে অন্য কেউ হতে পারতেন। আপনি সাকিব, ভাবতে কেমন লাগে?” শুভেচ্ছা বিনিময়ের পরে, এমন প্রশ্ন। উত্তর এলো, “জানি না। তবে একটা জিনিস তো উপলব্ধি করি, সবাই আমাকে অনেক পছন্দ করে। অনেক সাপোর্ট করে। এখন পর্যন্ত আমার জীবনে যেটুকু হয়েছে, খুব ভালো। সবার সাপোর্ট, দোয়া আর অনুপ্রেরণা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।”

পরের প্রশ্ন, “আপনি বাংলাদেশের সর্বযুগের সেরা ক্রিকেটার- এই মত যদি আমি আপনার সামনে তুলে ধরি, তাহলে কী বলবেন?” এই প্রশ্নে তার মুখের হাসি আরও বিস্মৃত হলো। বললেন, “এটা মানুষের মতামত। এটা নিয়ে আমার ভাবার সময় এখন না। আমি এখনও ক্রিকেট খেলছি। আমার প্রধান দায়িত্ব দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা ও দেশের জন্যে যত সুনাম অর্জন করা যায়, সেই চেষ্টা করা।”

“টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি, তিন ফরম্যাটেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হয়েছেন আপনি। কীভাবে এটা সম্ভব হলো?” এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানালেন, “হয়তো আমি অনেক ভাগ্যবান। তবে অবশ্যই হার্ডওয়ার্ক, সবার সাপোর্ট, প্রচার গাউডেন্স, ডিসিপ্লিন, নিজের কাজের প্রতি অনেস্টি-সবকিছুরই দরকার আছে। আমি বলবো, ভাগ্যটাও একটু দরকার আছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে, সবকিছুর কম্বিনেশনে।”

“আপনি কি নিজের জন্যে খেলেন, নাকি দেশের জন্যে?” উত্তর সোজাসাপ্টা, নিজের জন্যে ভালো খেললে সেটা তো দেশের জন্যেও খেলা হয়। তবে দেশের হয়ে খেলতে পারাটাকেই সবচেয়ে সৌভাগ্য বলে মনে করেন সাকিব। নিজে বিশ্বসেরা খেলোয়াড়, এরপরও দলে অন্যদের চেয়ে নিজেকে আলাদা ভাবেন না বলেই জানালেন।

সাকিব বলেন, “কখনোই নিজেকে দলের অন্যদের চেয়ে আলাদা ভাবি না। কারণ মাঠে ১১ জন মিলে একটি দল। সবার প্রচেষ্টা ছাড়া কেউ একা একটি দলকে জেতাতে পারে না। আমি হয়তো একশ’ রান করলাম, কিংবা পাঁচ উইকেট নিলাম। বাকি কাজটুকুতে অন্যদের ভূমিকা রাখতে হবে। আবার কখনও ভালো করতে পারলাম না, অন্যদের তখন সেই দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাছাড়া সাপোর্টিং স্টাফ থাকে। সবমিলিয়েই তো টিম।”

তার বড় হয়ে ওঠার পেছনে অনেকের ভূমিকার কথা স্মরণ করলেন। পরিবারকে দিলেন সবচেয়ে বেশি নম্বর। শৈশবে মাগুরার কোচ সাদ্দাম হোসেন গোর্কির কথাও জানালেন। এছাড়া কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন বিকেএসপি ও বিসিবির প্রতিও। আর দেশের মানুষের সমর্থন তো রয়েছেই।

দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন ধারাবাহিকভাবে। সেই সাথে বাংলাদেশের ক্রিকেট লিগে বিভিন্ন টিমের হয়ে খেলেছেন।  এছাড়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। খেলেছেন বিগব্যাশ ও কাউন্টি ক্রিকেটের মতো মর্যাদার আসরে। পৃথিবীর যত নামিদামি আসর, সব জায়গাতেই পা পড়েছে তার।

জানতে চাইলাম, কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক সুপারস্টার শাহরুখ খানের কথা। হেসে বললেন, “শাহরুখ খুব ভালো মানুষ। ভীষণ হাম্বল। দলের সাথে যখন তিনি যুক্ত হন, খুব ভালো সময় কাটে। সবসময়ই তিনি বলেন, কীভাবে ভালো ফ্যামিলি মেম্বার হওয়া যায়, কীভাবে ভালো হাজবেন্ড হওয়া যায়, কীভাবে ভালো বাবা হওয়া যায়। তার কাছ থেকে শেখার আছে অনেক কিছু।”

সাক্ষাৎকারের একটি পর্যায়ে বিশ্ব ক্রিকেটের বিস্ময় শচিন টেন্ডুলকার প্রসঙ্গ এলো। সাকিব বললেন, “বিভিন্ন সময়ে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে তাকে। খেলা ছাড়াও কিছু অনুষ্ঠানেও আমরা একসাথে গিয়েছি। বাংলাদেশে আমি যে ক্লাবে খেলেছি, সেই ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। মোহাম্মদ আশরাফুল ভাইয়ের বাড়ির দাওয়াতেও দেখা হয়েছে। মাঠে যখন দেখা হতো, খেলা নিয়ে অনেক কথা হতো। তার কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে পারাটা ছিল সত্যিই ভাগ্যের বিষয়।”

প্রথমে সময় বেঁধে দেওয়া থাকলেও শেষটায় সাক্ষাৎকার পর্ব একটু লম্বাই হয়ে গেল। হাসিমুখে সময়ও দিলেন সাকিব। বললেন বাবা মাশরুর রেজা, মা শিরিন আক্তার আর একমাত্র ছোটবোন জান্নাতুল ফেরদৌস রিতুর কথা। হাজারও ব্যস্ততায় নিজের পরিবার তার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

কীভাবে উম্মে আহমেদ শিশিরের সাথে সাকিবের পরিচয়, প্রেম ও পরিণয়? এ নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের সীমা-পরিসীমা নেই। এই প্রশ্নের উত্তরও হয়তো দিতে হয়েছে অনেকবার। কিন্তু বলতে হলো আরেকবার।

সাকিব বললেন, “ফেইসবুকে পরিচয়। ও থাকতো ইউএসএ। উইসকনসিনের মেডিসনে ওদের বাড়ি। ইংল্যান্ডে আমাদের প্রথম দেখা। এরপর অবশ্য খুব বেশি দেখা বা কথা হয়নি। আমাদের সবকিছু জানা হয়েছে মূলত বিয়ের পর। বলতে পারেন বিয়ের পরে প্রেম।”

জীবনে স্মরণীয় মুহূর্ত এসেছে অনেক, কিন্তু একমাত্র মেয়ে আলায়না হাসানের  জন্মের দিনটিকে তিনি একদম আলাদা করে রাখতেই পছন্দ করেন। পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। তিনি বলেন, “আমার মেয়ে তো আমার জন্যে পাগল। আমি থাকলেই ওর আর কিছু লাগে না। কিন্তু আমার প্রফেশনটাই এমন যে কিছু করার থাকে না। মিস করতে হয় ওদের। পুরো বিষয়টাই ইমোশনাল।”

আগে সব ফরম্যাটে দেশের ক্যাপ্টেন ছিলেন, জানালেন নতুন করে টি-টোয়েন্টি দলের নেতা হওয়ার চ্যালেঞ্জের কথা। ওয়ানডে, এমনকি টি-টোয়েন্টিতে ভালো খেললেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ খুব একটা ভালো করছে না। কারণ হিসেবে বললেন, “খেলা হচ্ছে কম। তাছাড়া বিশ্ব ক্রিকেট মঞ্চে বিভিন্ন বড় বড় লিগে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সংখ্যা কম। এখন অনেকেই উঠে আসছেন। আশা করছি ভবিষ্যতে আরও অনেক খেলোয়াড় খেলবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ লিগে। তাছাড়া আরও পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ এই ফরম্যাটেও ভালো করবে বলেই আমার বিশ্বাস।”

বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ এগিয়েছে অনেক দূর। কিন্তু বিশ্বকাপ জিতবে কবে? হেসে দৃঢ়তার সাথে বলেই দিলেন, “আগামী বিশ্বকাপে। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড আর ওয়েলসে বিশ্বকাপ ক্রিকেটেই হয়তো বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হবে। আমি চাই, আমার খেলোয়াড় জীবনেই এটা ঘটুক।”

আশা নিয়েই শেষ হলো সাকিব আল হাসানের সাথে সাক্ষাৎকার পর্ব। এরপর কিছুক্ষণের প্রীতি সম্মিলনী। এক ধরনের মোহবিষ্ট করে বিদায় নিলেন তিনি। এরপরও যেন আমার জন্যে কিছু একটা রেখে গেলেন। মনে মনে বললাম, “সুস্থ্য থাকুন। ভালো খেলতে থাকুন। বাংলাদেশ হোক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।”

লেখক: সাংবাদিক ও লেখক

ইমেইল: amin.one007@gmail.com

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!