স্থানীয় সময় বুধবার অটোয়ার পার্লামেন্ট হিলের সিনেটে মানবাধিকার বিষয়ক এ কমিটির শুনানীতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি সিনেটর জিম মানসন।
শুনানীতে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দেওয়ায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রসংশা করা হয়। সেই সাথে অবিলম্বে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি কানাডার চাপ প্রয়োগের বিষয়টি আলোচিত হয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উত্থাপিত পাঁচ দফা প্রস্তাবের কথা পুনর্ব্যক্ত করে হাই কমিশনার বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাব অনুসারে কফি আনান কমিশনের সুপারিশের আলোকে মিয়ানমারকে তাদের নিজেদের সমস্যার সমাধান করতে হবে এবং সংঘাত ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করে তাদের নাগরিক রোহিঙ্গাদেরকে স্থায়ীভাবে তাদের দেশ তথা মিয়ানমারে ফেরত নিতে হবে।”
এ সময় হাই কমিশনের মিনিস্টার নাঈম উদ্দিন আহমেদ ও প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) দেওয়ান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
পরে হাই কমিশনারের বক্তব্যের লিখিত কপি ‘সিনেট হিউম্যান রাইটস কমিটি’র চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মাঝে বিতরণ করা হয়। পুরো শুনানী কানাডার সরকারি পার্লামেন্ট ভিউ টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
সভায় উপস্থিত থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন কমিটির ডেপুটি চেয়ার সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান, সিনেটর মারিলু ম্যাকফ্রেডান, সিনেটর ইয়োনাহ মার্টিন, সিনেটর থান হাই গো, সিনেটর রেইনেল অ্যান্ড্রিচুক ও সিনেটর রাতনা ওমিডভার।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গ্রুপগুলোর মধ্যে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, বার্মিজ মুসলিমস ও রোহিঙ্গা অ্যাসোসিয়েশন অব কানাডার নেতারা শুনানীতে সাক্ষ্য দেন।
‘বার্মিজ মুসলিমস অব কানাডা’র নেতা আহমেদ রামাদান বলেন, “এটি কেবল জাতিগত নির্মূল নয়, এক ভয়ঙ্কর গণহত্যা। এটা বন্ধ করতে কেবল নিন্দা জ্ঞাপন নয়, বরং কানাডাসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী।”
রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন ও ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত এ সকল শুনানীর আলোকে সিনেট মানবাধিকার কমিটি তাদের সিদ্ধান্ত কানাডা সরকারকে জানাবে।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |