বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই একটা মোটা অংকের টিউশিন ফি দিয়ে দেশের বাইরে পড়তে আসেন। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সাধ ও সাধ্যের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি হওয়াতেই অনেক শিক্ষার্থী তাদের স্বপ্ন পূরণে পাড়ি দেয় ভিন দেশে। তারপর ধীরে ধীরে পরিচিত হতে থাকে ভিন দেশের সমাজ,সংস্কৃতি আর আচার-ব্যবহারের সাথে।
আর টার্ম ব্রেকে সর্বোচ্চ ৪০ ঘণ্টা পর্যন্ত। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি আর জুন থেকে অগাস্ট এই ছয়মাসে শিক্ষার্থীরা ফুলটাইম কাজ করতে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স ভেদে টার্মব্রেক একেকটি ক্ষেত্রে একেক রকমের হয়।
যেই ভাবনা সেই কাজ। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি টানা তিনমাস কাজ করে জমা করা হলো কিছু বাড়তি অর্থ। উদ্দেশ্য ও গন্তব্য শুধুই ঢাকা। টাকার পেছনে ছুটে শেষ মুহূর্তে যখন টিকেট কাটতে গেলাম তখন দেখি তার দাম আকাশচুম্বী!
বিমানের টিকেট খরচ (আনুমানিক), কেনাকাটা (উপহার) আর দেশে হাত-খরচ বাবদ যে টাকা জমানো হয়েছে তাতে অন্তত এইবারের মতো যাওয়া হচ্ছে না ওই পিকটাইমে কিংবা বলা যেতে পারে শেষ সময়ে এসে টিকেটের দাম দেখে।
ছুটিরদিনগুলোতে ইউরোপের কোনো দেশে গিয়ে ১৫০ থেকে ৩০০ পাউন্ডে সব খরচ সারতে পারলেও নিজ দেশে যেতে হলে ওই অংকের সাথে আরেকটি শূন্য যোগ করতে হবে। অর্থাৎ দেড় থেকে তিন হাজার পাউন্ড পকেটে না থাকলে দেশ থেকে ঘুরে আসার চিন্তাই করা যায় না।
আর এ কারণেই হয়তো কোনও মাসে বাসার পুরনো ছবি, কিনে রাখা সেই উপহার কিংবা চোখের সামনে দিয়ে একের পর এক চলে যাওয়া উৎসব দেখে যখন মন ও শরীর ক্লান্ত হয়ে এলিয়ে পড়ে বিছানায়- তখনই কোনও এক স্বপ্নের ঘোরে ঘুরে আসি প্রিয় দেশ থেকে; যার পুরোটাই অজানা থেকে যায় সবার কাছে।
লেখক: প্রবাসী সাংবাদিক ও নিউজ প্রেজেন্টার
ই-মেইল: Sharminbhutto@yahoo.com
এই লেখকের আরও লেখা
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |