‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইউকে’র আয়োজনে রোববার পূর্ব লন্ডনের দ্য উইলোস ইভেন্টস ভেন্যুতে দিনব্যাপী এই আনন্দযজ্ঞে অংশ নেন প্রায় সাতশ মানুষ।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন অনেকে। বেলা ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সময় কাটে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, দলে দলে গল্প আর খানাপিনায়।
অনুষ্ঠানস্থলের সবুজ চত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল বাসের চেহারায় তৈরি একটি রেপ্লিকা সাবেক শিক্ষার্থীদের মনে তারুণ্যের সেই সব দিনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনে।
আর মাঠের মধ্যে মধুর ক্যান্টিনের আদলে সামিয়ানা টানিয়ে যেখানে চা-নাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তার নামও দেওয়া হয়েছিল মধুর ক্যান্টিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ উপাচার্য শহিদ উদ্দিন আহমদ।
বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এ সময় অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইউকে’র আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আনিস আহমদ, সম্পাদক মারুফ চৌধুরীসহ কমিটির সদস্য হাবিব রহমান, বিধান গোস্বামী, সৈয়দ ফারুকসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন সংগঠনের সদস্যরা। এছাড়া ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগসূত্র স্থাপনে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
এই পুনর্মিলনী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেওয়া বাণী রয়েছে স্মরণিকায়। বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার সবচেয়ে বড় বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অবলম্বন করেই বাঙালি জাতির রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটেছে বলে রাষ্ট্রপতি লিখেছেন।