ব্রিটিশ হাই কোর্টে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারপতি আখলাকুর

প্রথমবারের মত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একজন ব্রিটিশ নাগরিক যুক্তরাজ্যের হাই কোর্টে বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

সৈয়দ নাহাস পাশা লন্ডন প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2017, 04:30 PM
Updated : 18 August 2017, 08:44 PM

যুক্তরাজ্যের বিচার বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার জানানো হয়, হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে আখলাকুর রহমান চৌধুরী কিউসির নিয়োগ রানী এলিজাবেথ অনুমোদন করেছেন। আগামী ২ অক্টোবর থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে।

এর আগে হাই কোর্টের ডেপুটি বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসা আখলাকুর রহমান চৌধুরী এখন থেকে পরিচিত হবেন বিচারপতি চৌধুরী হিসেবে।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সপ্নারা খাতুন এর আগে যুক্তরাজ্যের ক্রাউন কোর্ট ও ফ্যামিলি কোর্ট বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেলেও আখলাকুর রহমান চৌধুরীই হচ্ছেন ব্রিটিশ হাই কোর্টের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারক।  

৫০ বছর বয়সী আখলাকুর রহমান চৌধুরী ১৯৯২ সালে ব্যারিস্টারি পাস করে আইন পেশায় যোগ দেন। এ পেশায় থাকা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুইজন কুইনস কাউন্সেলের (কিউসি) মধ্যে তিনি একজন। অন্যজন হলেন- ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি।

‘কমার্শিয়াল, এমপ্লয়মেন্ট ও ইনফরমেশন ল’ বিশেষজ্ঞ আখলাকুর রহমান চৌধুরী গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি থেকে রসায়নে স্নাতক ডিগ্রিধারী। পরে তিনি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি পান।

আইন পেশায় যোগ দেওয়ার পর তিনি দ্রুত উন্নতি করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে শীর্ষ পাঁচ ব্রিটিশ আইনজীবীর তালিকায় চলে আসেন। লর্ড আরভিন অব লেয়ার্গ এবং লর্ড জাস্টিস ইলিয়াসের সঙ্গে আপিল আদালতে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

অ্যাটর্নি জেনারেলের ‘এ’ প্যানেলভুক্ত আইনজীবী হিসেবে আখলাকুর রহমান চৌধুরী কিউসি দীর্ঘদিন ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস, মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্স, এইচএমআরসি ও সরকারের অন্যান্য বিভাগে আইন উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন।

ব্রিটিশ তথ্য কমিশনারের কাউন্সেল হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তথ্য অধিকার ও তথ্য সংরক্ষণ আইন নিয়ে অনেক মামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই আইনজীবীকে ২০১৫ সালে কুইনস কাউন্সেল করে নেওয়া হয়।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর কমিউনিটি নেতা রেস্তোরাঁ  ব্যবসায়ী প্রয়াত আজিজুর রহমান চৌধুরীর ছেলে আখলাকের জন্ম হ্যাম্পশায়ারে।  স্ত্রী সফিনা ও তিন সন্তানকে নিয়ে তিনি লন্ডনে বসবাস করছেন।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!