চট্টগ্রামের শাহ আমানত হজ কাফেলার এ হজযাত্রীদের মধ্যে এস আলম গ্রুপের ২৩৩ জন রয়েছেন। হজযাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্ধারিত হোটেলে না রেখে বিভিন্ন নন-এসি প্রতিটি কক্ষে ৮ থেকে ১০ জন হাজিকে ঠাসাঠাসি করে রাখা হয়েছে। যেখানে রুমে বাথরুমও নেই। এতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বারবার হোটেল পরিবর্তনসহ ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় ব্যাগেজ নিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে অনেককে।’
এস আলম গ্রুপ নোটিশে অভিযোগ করে- তাদের শিল্প গ্রুপ গত সোমবার প্রতি বছরের মতো এবারো ২৩৩ জনকে হজে পাঠান। যাদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেন চট্টগ্রামের শাহ আমানত হজ কাফেলাকে। কিন্তু হজ কাফেলাটি হাজিদের মদিনায় নিয়ে যাওয়ার পর হোটেলের ব্যবস্থা করে দেননি। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজিরা।
এ ব্যাপারে শাহ আমানত হজ কাফেলার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইয়াছিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মক্কায় আমরা হাজিদের জন্য যে বাড়ি ভাড়া করেছি সে বাড়ির মালিকানা নিয়ে সৌদি দুই ভাইয়ের বিরোধ চলছে। সে কারণে বাড়িটি সিলগালা করে দিয়েছে সৌদি বলদিয়া কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ এ সমস্যার কারণে আমাদের হাজিরা একটু দুর্ভোগে পড়েছেন। আমরা একটি নতুন বাড়ি ভাড়া করে হাজিদের থাকার ব্যবস্থা করছি।”
মোহাম্মদ ইয়াছিন হজযাত্রীদের এ দুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে মদিনা হজ মিশনে কর্মরত কাউন্সিলর মো. জহির আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হজযাত্রীদের অন্যত্র বাসা ভাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান।
মদিনায় হজ মিশনের হাউজিং বিভাগের কর্মকর্তা মো. হামিদ বলেন, “সৌদি হজ মন্ত্রণালয় ও হজ মিশনের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে হোটেলটি পরিদর্শন করে সমস্যা চিহ্নিত করে শিঘ্রই সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন। নতুবা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |