ইতালি থেকে বিনা খরচে প্রবাসীর লাশ যাবে দেশে

ইতালি প্রবাসীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে দেশটি থেকে বিনা খরচে প্রবাসীদের লাশ দেশে পাঠানোর সরকারি সিদ্ধান্ত এসেছে।

হূমায়ূন কবির, ইতালির রোম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2017, 10:08 AM
Updated : 11 August 2017, 10:08 AM

ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদারের উত্থাপিত এ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত ‘ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড’।

বৃহস্পতিবার রোমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের কার্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন রাষ্ট্রদূত সিকদার।

তিনি বলেন, “গত ৩০ জুলাই বাংলাদেশ সরকারের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ২৬৭তম সভায় এ বিষয়টি উপস্থাপন করলে তা গৃহিত হয়। সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘ইতালিস্থ মান্যবর রাষ্ট্রদূতের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এবং মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে ইতালি হতে বাংলাদেশিদের মৃতদেহ দেশে প্রেরণের নিমত্তে ইতালিস্থ দূতাবাস (রোম ও মিলানো) এর অনুকূলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য মৃতদেহ বাংলাদেশে পাঠানো বাবদ যথাক্রমে ৫০ লাখ এবং ২০ লাখ বরাদ্দ প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়’।”

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “সব প্রবাসীর জন্য এ সুযোগ প্রযোজ্য যদি তারা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্যপদ নেন ও এ সংস্থা থেকে সদস্যপদের সার্টিফিক সংগ্রহ করেন। ৪০ ইউরো ফি দিয়ে সংস্থার সদস্য ফরম পাওয়া যাবে।

“ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বাৎসরিক ৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। মৃতদেহ বাংলাদেশে পৌঁছালে বিমানবন্দর থেকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও পরবর্তিতে ৩ লক্ষ টাকা পাবেন মৃতব্যক্তির উত্তরাধিকারীরা।”

দূতাবাসে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- এটিএন বাংলার হাসান মাহমুদ, চ্যানেল আই ও সময় নিউজের উপদেষ্টা সম্পাদক লাবন্য চৌধুরী, বাংলাটিভির রোম প্রতিনিধি ও সময় নিউজের নির্বাহী সম্পাদক হূমায়ূন কবির, সাংবাদিক জুমানা মাহমুদ ও দৈনিক প্রবাসে প্রতিদিনের সম্পাদক।

বিশ্বের মোট ১৬০টি দেশে প্রায় ১ কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী জীবিকার প্রয়োজনে কাজ করছেন। তাদের কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকার ১৯৯০ সালে ‘ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ তহবিল’ গঠন করে। বর্তমানে তা ‘ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড’।

বোর্ডের নানা সেবার মধ্যে রয়েছে- প্রবাসী বন্ধু কল সেন্টার, অসুস্থ প্রবাসী কর্মীদের জন্য আর্থিক সহযোগিতা, অ্যাম্বুলেন্স সাহায্য, তাদের হাসপাতালে ভর্তি ও সুস্থতার পর পরিবারের কাছে পাঠানো,  মৃত প্রবাসী কর্মী ও তার পরিবারের জন্য আর্থিক সহযোগিতা, মৃতদেহ দেশে আনা, মৃতদেহ পরিবহনের জন্য ও দাফনের খরচের জন্য আর্থিক সহযোগিতা ইতাদি।