শনিবার টরন্টোর ৯ ডজ রোডের দ্যা রয়েল ক্যানাডিয়ান লিজিয়ন হলে দিনব্যাপী এ মেলা আয়োজন করে ‘অন্যমেলা’।
মেলা উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি কবি আসাদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক লুৎফর রহমান রিটন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাচ পরিবেশন করে টরন্টোর নাচের স্কুল ‘সুকন্যা নৃত্যাঙ্গন’। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন স্কুলটির পরিচালক অরুনা হায়দার। উদ্বোধনী কবিতা পড়েন অরুনা হায়দার ও দিলারা নাহার বাবু।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কবি মেহরাব রহমান ও তাকে সহোযোগিতা করেন জামানা হাসিনা ও দিলারা নাহার বাবু।
কানাডার ১৫০তম জন্ম-জয়ন্তী উপলক্ষে মেলায় উন্মুক্ত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতায় বয়সভিত্তিক তিনটি শাখা ছিল। এটি পরিচালনা করেন শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন শিক্ষাকেন্দ্র ‘সম্পান’ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক নূরুন নাহার সুপ্তি। তাকে বিচারক হিসেবে সহযোগিতা করেন ইয়র্ক বিশববিদ্যালয়ের চিত্রকলা বিভাগের ছাত্রী নীলাদ্রি নির্ঝরীনি কলতান।
চিত্রাঙ্কনে বিজয়ীদের পুরস্কার ও অংশ নেওয়া সবাইকে টরন্টো বাংলা বইমেলার পক্ষ থেকে প্রধান অতিথির স্বাক্ষরওয়ালা সনদ দেওয়া হয়।
মেলার আলোচনা পর্বের বিষয় ছিল ‘প্রবাসে সাহিত্য ও সংস্কৃতি ভাবনা’। এতে অংশ নেন কবি আসাদ চৌধুরী, ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন, সৈকত রুশদী হক ও সাদী আহমেদ। এ পর্বটি সঞ্চালনা করেন লেখক জসিম মল্লিক।
মেলার অতিথি পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব জয়দেব সরকার। পর্বটি সঞ্চালনা করেন মোহাম্মদ আশরাফ আলী। এ পর্বে আয়োজক ‘অন্যমেলা’র পক্ষ থেকে অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। চিত্রশিল্পী সৈয়দ ইকবাল, সঙ্গীতশিল্পী রনি প্রেন্টিস রয় এবং কবি ও লেখক রূমানা চৌধুরীকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন মেলার প্রধান আয়োজক সাদী আহমেদ।
মেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন জামানা হাসিনা। সব শেষে বাংলাদেশ ও কানাডার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে ‘১১তম টরন্টো বাংলা বইমেলা’ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
মেলা উপলক্ষে একটি স্মরণিকাও প্রকাশ করা হয়। এটি সম্পাদনা করেন মাহতাব শাওন ও প্রচ্ছদ আঁকেন চিত্রশিল্পী অভিজিৎ দাশ।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |