সিডনির চিঠি: ক্যানবেরায় ছোট্ট এক পৃথিবী

ককিংটন গ্রিন গার্ডেন। নামে বাগান হলেও এটি আসলে এক টুকরো পৃথিবী।

নাইম আবদুল্লাহ, সিডনি থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2017, 04:52 AM
Updated : 24 July 2017, 04:52 AM

অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা থেকে পনেরো কিলোমিটার উত্তরে গোল্ড ক্রিক রোডে ককিংটন গ্রিন গার্ডেন অবস্থিত। সেখানে দেখতে পাওয়া যায় ৩৩টির মতো দেশের গ্রাম।

প্রায় ৩৭ বছর আগে ডগ ও ব্রেন্ডার পারিবারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই বাগানবাড়িতে রয়েছে বিভিন্ন উপহার সামগ্রীর চমৎকার প্রদর্শনী। এছাড়া আছে বিস্তৃত পিকনিক ও বিনামূল্যে বারবিকিউ ও খেলাধুলার জায়গা, বিভিন্ন দেশের ডিসপ্লে গ্রাম, খুদে ট্রেনে করে পুরো বাগান ঘুরে দেখাসহ আরও অনেক ধরনের শৈল্পিক ব্যবস্থাপনা ও আয়োজন।

প্রদর্শনী দেখতে প্রতিদিন আসেন দেশ-বিদেশের পর্যটকরা। পাঠক, অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণকালে দেখে আসতে পারেন এ কংক্রিটের গ্রাম। প্রদর্শনীটি ১৯৭৯ সালে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে দর্শনীয় স্থানটি অস্ট্রেলিয়ান ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ডসহ আরও অনেক স্থানীয় সম্মাননা পেয়েছে।

১৯৯৮ সালে রাজধানী ক্যানবেরার বেশ কিছু দূতাবাস ও হাই কমিশনের আগ্রহ ও পৃষ্ঠপোষকতায় এই পর্যন্ত ককিংটন গ্রিন গার্ডেনে ৩৩টি দেশের শিল্প ও সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করে প্রতিটি দেশের জন্য আলাদা গ্রাম তৈরি করা হয়েছে।

অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিত্বকারী এই ডিসপ্লে গ্রামগুলো দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের কাছে জনপ্রিয়তা পায়। ইতোমধ্যে অনেক আগ্রহী দেশ তাদের দূতাবাসের মাধ্যমে নিজ দেশের গ্রাম তৈরির জন্য গার্ডেন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে।

প্রতিটি দেশের ডিসপ্লে গ্রামগুলোর পাশের ফলকে দেশটির একটি সুন্দর সংক্ষিপ্ত পরিচিতিও দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে। ককিংটন গ্রিন গার্ডেনে দেখা গেছে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা তাদের ছেলেমেয়েদের নিজ নিজ দেশের ডিসপ্লে গ্রামগুলোর সামনে নিয়ে গিয়ে গর্বভরে দেশের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ব্যাখ্যা করছে ও ছবি তুলছে।

২০১৫ সালের শেষের দিকে দেশের অনলাইন ও স্থানীয় প্রিন্ট পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনকে ককিংটন গ্রিন গার্ডেন ৩৩টি দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও প্রদর্শনের ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নিতে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

অদূর ভবিষ্যতে যদি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ হাই কমিশন এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়, তবে প্রবাসে বাংলাদেশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেশের ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সাথে পরিচয় দেওয়ার পথ সুগম হবে।

লেখক: প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিক

 এই লেখকের আরও পড়ুন

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!