কুইন্সে বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যামাইকার হিলসাইড এলাকা নিয়ে গঠিত ডিস্ট্রিক্ট-২৪ এর বর্তমান কাউন্সিলম্যান ররি ল্যাঙ্কম্যানের বিরুদ্ধে একমাত্র প্রার্থী হয়েছেন হারুন।
আসন্ন দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের এ নির্বাচন উপলক্ষে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলন করেন হারুন। দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১২ সেপ্টেম্বর।
মানিকগঞ্জের সন্তান হারুন জানান, “৫১ হাজার ৭৬৫ ভোটারের মধ্যে ৪ সহস্রাধিক বাংলাদেশিসহ এশিয়ান হলেন ১৩ হাজার। আর মুসলমান ভোটারের সংখ্যা হচ্ছে ৪ হাজার।”
“তবে আগে থেকেই যারা মূলধারার রাজনীতিতে জড়িত রয়েছেন, তাদের অনেকেই প্রকাশ্যে কাজ করতে সাহস পাচ্ছেন না। নেপথ্যে বর্তমান কাউন্সিলম্যানের কাছে থেকে পাওয়া সুযোগ-সুবিধাও হতে পারে” বলে উল্লেখ করেন ফখরুল আলম।
এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ তৈয়বুর রহমান হারুন অভিযোগ করেন, “নির্বাচনী কাজে অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন এক নারী সংগঠককে আমি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছিলাম। নানা ধরনের ভয় দেখিয়ে তাকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এহেন জঘন্য তৎপরতায় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতাদেরও মদদ রয়েছে। কারণ, অনেকেই অভিবাসীদের নেতৃত্বে দেখতে আগ্রহী নয়।”
সংবাদ সম্মেলন থেকে মিডিয়ার আন্তরিক সহায়তা কামনা করা হয় প্রত্যেক বাংলাদেশি-আমেরিকানকে ভোট কেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত করার জন্যে।
মোহাম্মদ হানিফের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে হারুনের নির্বাচনী প্রচার কমিটির ম্যানেজার ডোনাল্ড ক্যাপলেন অভিযোগ করেন, “বর্তমান কাউন্সিলম্যান ররি ল্যাঙ্কম্যান বিভিন্ন সংস্থাকে বিপুল অর্থ দিচ্ছেন। অর্থের লোভে পড়ে অনেকেই নিজ কম্যুনিটির যোগ্য প্রার্থীর কথাও আমলে নিতে চাচ্ছেন না। তবে সকল মুসলমান এবং সকল বাংলাদেশি জোট বাঁধলে কেউই ঠেকাতে পারবে না হারুনের বিজয়।”
এই নির্বাচনী এলাকার ৮০ শতাংশেরও বেশি ভোটার ডেমোক্র্যাট। তাই দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে যিনি টিকে যাবেন, তিনিই মূলত বিজয়ী হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সংগঠক মুজিবর রহমান, তাজুল ইসলাম, শাহনেওাজ ও আজহারুল হক মিলন।
সিটি কাউন্সিলের ৩২ নম্বর ডিস্ট্রিক্ট থেকেও হেলাল শেখ নামে আরেক বাংলাদেশি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়নের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। একইদিনে তার জন্যেও ভোট চাওয়া হচ্ছে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের কাছে।
নিউ ইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের ৫১টি আসনেই নির্বাচন হবে আসছে নভেম্বরের ৭ তারিখ, মঙ্গলবার। এ শহরে দুই লাখেরও বেশি বাংলাদেশি বসবাস করলেও এখন পর্যন্ত একজনও সিটি কাউন্সিল কিংবা অঙ্গরাজ্য পার্লামেন্টে জয়ী হতে পারেননি।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |