বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লন্ডনে বাংলাদেশি অধ্যুষিত ওই বারার মেয়র জন বিগস ব্রিক লেইনের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে দেখা করে নতুন আইনটির ব্যাপারে মতামত জানার চেষ্টা করেন।
ব্যবসায়ীরা মেয়রকে কাছে পেয়ে ব্রিক লেইনের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে তাদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন।
ব্রিক লেইনকে বিশেষ জোনের আওতায় এনে সম্প্রতি টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের উদ্যোগে ‘পিএসপিও’ চালু করা হয়েছে।
তিন বছরের জন্য কার্যকরী নতুন এ আদেশের বলে পুলিশ এবং কাউন্সিলের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী অফিসাররা এখন নির্দিষ্টজোনের মধ্যে নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানার নোটিশ দিতে পারবেন।
পিএসপিও আওতায় থাকা এলাকাগুলোতে মল-মূত্র ত্যাগ, ভিক্ষাবৃত্তি, প্রতারণা বা কাস্টমার হাঁকাহাঁকি অথবা পথচারিদের গতিরোধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে নতুন আইনে।
আইনটি সম্পর্কে মেয়র জন বিগস উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “এই ওর্ডার সমাজবিরোধী আচরণজনিত কার্যকলাপ রোধে পুলিশ এবং কাউন্সিল অফিসারদের ক্ষমতা বাড়াবে। যারা বিশৃঙ্খলা করবে বা বাজে আচরণ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ কিংবা আর্থিক জরিমানা করা হবে।
“টাওয়ার হ্যামলেটসকে বসবাস, কাজ ও ভ্রমণের জন্য উন্নত জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের বিভিন্ন উদ্যোগের অন্যতম একটি হচ্ছে এই পাবলিক স্পেস প্রটেকশন ওর্ডার।”
মেয়র বিগস বলেন, “কারি ক্যাপিটাল ব্রিক লেইনের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।”
ব্রিক লেইন এলাকার চারপাশের জনসাধারণের জীবনমানের উন্নয়ন এবং সমাজবিরোধী কার্যকলাপ রুখতে পিএসপিও চালু করা নিয়ে পরিচালিত মতামত জরিপে চারশ’রও বেশি বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী ডাকযোগে ও অনলাইনে অংশ নেন।
পিএসপিও কার্যকর সংক্রান্ত মতামত জরিপে অংশ নেওয়াদের ৮৪ শতাংশই বলেছেন, ব্রিক লেইন ও এর চারপাশের সামাজিক অপরাধজনিত কাজের কারণে তাদের জীবনযাত্রা ব্যহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
মেয়রের সাথে সাক্ষাৎকালেও ব্রিক লেইনের ব্যবসায়ীরা জরিপের ফলাফলের পক্ষেই আবারো বলেছেন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |