সিডনির চিঠি: তুলনামূলক ভিক্ষাবৃত্তি

ভিক্ষাবৃত্তি যুগে যুগে যুগে অবহেলিত ও ঘৃণিত হলেও এই পেশাকে উন্নত কিংবা উন্নয়নশীল দেশ থেকে বিতাড়িত করা সম্ভব হচ্ছে না। নানা উপায়ে, নানা ফন্দি ফিকির খাটিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি এখনও নিজ পেশায় সমুজ্জ্বল।

নাইম আবদুল্লাহ, সিডনি থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2017, 03:20 AM
Updated : 15 June 2017, 07:07 AM

এক রবিবার এই প্রতিবেদকের সাথে সিডনির ‘সার্কুলার কি’তে পরিচয় হয় এক মূর্তি-ভিক্ষুকের। তাকে মুখে ও চুলে সোনালী রঙ মেখে একটি কাঠের ফ্রেম হাতে পাথরের মূর্তির মতো মিনিটের পর মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

পথচারী কিংবা দর্শনার্থীদের কেউ কেউ আবার তার ফ্রেমের মধ্যে মাথা গলিয়ে নানা ভঙ্গিমায় ছবি তুলছে। তার পায়ের কাছে একটি সোনালী রঙের হ্যাট রাখা আছে যাতে দর্শনার্থীদের কেউ কেউ এই মূর্তি সেজে অনড় ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকার মতো কঠিন অনুশীলন রপ্ত করায় তাকে গোল্ড বা সিলভার কয়েন দিয়ে উৎসাহিত করছে।

পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত দেশের মতো এদেশেও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু আছে। এই ব্যবস্থার অধীনে নাগরিক সুবিধায় বেকার ভাতাসহ আরও অনেক ভাতা চালু আছে। তারপরও এখানকার জনবহুল রাস্তাঘাটে কিংবা ট্রেন স্টেশনে বেহালা বাজিয়ে ভিক্ষা করতে দেখা যায়।

স্থির পাথরের মূর্তির মতো একনাগাড়ে দাঁড়িয়ে থাকার যে কসরত, তার থেকে বরং কোন পাব বা রেস্টুরেন্টে পার্ট- টাইম কাজ করা অনেক সহজ। তারপরেও এসব দেশে মন্দের ভাল এই যে, ভিক্ষা না দিলেও এখানে আমাদের দেশের মতো ভিক্ষুকদের গালমন্দ শুনতে হয় না। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক কসরত কিংবা গান বাজনা শুনিয়ে নীরব ভঙ্গিতে ভিক্ষা করে। আর আমাদের মতো দেশগুলোতে টুপি-পাঞ্জাবি পরে ভিক্ষাকে অধিকারের খাতায় রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে।

লেখক: প্রবাসী বাংলাদেশি

এই লেখকের আরও পড়ুন

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!