ঢাকায় আসছে নিউ ইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটির কাছে নর্দার্ন স্টেট পার্কওয়েতে দুর্ঘটনায় নিহত তিন বাংলাদেশির লাশ ঢাকায় আসছে।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2017, 07:17 AM
Updated : 16 May 2017, 07:17 AM

স্থানীয় সময় সোমবার রাতে আমিরাত এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশ্যে লাশ পাঠানো হয়েছে বলে কমিউনিটি নেতা ও প্রবাসীরা জানান। লাশের সাথে তাদের পরিবারের সদস্যরাও বাংলাদেশে যাচ্ছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে বুধবার সকালে কফিন তিনটি ঢাকায় পৌঁছবে।

নিহতরা হচ্ছেন- ঢাকার মাতোয়াইলের শামসুল আলম (৬১), কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আতাউর রহমান দুলাল (৩৫) এবং ময়মনসিংহের নৌমহল এলাকার রায়হান ইসলাম (২৮)। অপর আহত আল আমিনকে (৩৬) স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতরা সবাই নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যামাইকার বাসিন্দা।

স্থানীয় টহল পুলিশ জানায় সময় শনিবার নিউ ইয়র্কের কাছে লং আইল্যান্ড এলাকার নর্দার্ন স্টেট পার্কওয়ের এক্সিট ৩১-এ এই দুর্ঘটনা ঘটে। বহনকারি প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছের সাথে ধাক্কা খায়।

এতে ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত হন ও অপর দু’জনকে আহত অবস্থায় কাছের উইনথ্রপ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আরো একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

আহত আল আমিন

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আল আমিনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায়। তার ডান হাত ও পা এবং বুকের পাজরের অংশবিশেষ ভেঙ্গে গেছে বলে চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে তার স্বজনরা জানিয়েছেন। এখনও তার জ্ঞান ফিরেনি। তাকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

নিহত ও আহতরা সবাই নিউ ইয়র্ক সিটির কুইন্স বরোর জ্যামাইকা এলাকায় বসবাস করতেন এবং লং আইল্যান্ডে তাদের কর্মস্থল ইনভাজিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে সকালের শিফটে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। প্রতিদিনের মতো রায়হান ইসলাম সহকর্মীদের নিয়ে তার নিজের গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।

নিহত শামসুল আলম তার এক ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে জ্যামাইকায় বসবাস করতেন। তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম ঢাকার মিরপুর কলেজের অধ্যাপক। তাদের বড় মেয়ে শামস জেরিন তাসনিম ঢাকায় আর্মি হাসপাতালের ডাক্তার, দ্বিতীয় মেয়ে মমো নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ড ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের ছাত্রী। একমাত্র ছেলে তনয় নিউ ইয়র্কের আলফ্রেড নোবেল ইউনির্ভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

নিহত আতাউর রহমান তার স্ত্রীকে নিয়ে জ্যামাইকায় বসবাস করতেন। যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর প্রায় দুই বছর ফ্লোরিডায় বসবাসের পর মাসখানেক আগে তারা নিউ ইয়র্কে আসেন এবং লং আইল্যান্ডের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন।

দুর্ঘটনায় অপর নিহত রায়হান ইসলাম স্ত্রী ও ৪ বছর বয়সি এক মেয়েকে নিয়ে জ্যামাইকার সাটফিন এলাকায় বসবাস করতেন।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!